চীনে করোনা ভাইরাসের প্রভাব, সরকারের নজরে বিকল্প বাজার: বাণিজ্যমন্ত্রী


প্রকাশিত:
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১০:৫৫

আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ০৬:০১

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চীনে করোনাভাইরাস সমস্যাটি দীর্ঘমেয়াদি হলে এর প্রভাব দেশের বাজারেও পড়বে, আর সে আশঙ্কা থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিকল্প বাজারে নজর রেখেছে সরকার।

সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ-কানাডা বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা জানান। বাংলাদেশে সফররত কানাডার সাচকাচোয়ান প্রদেশের কৃষিমন্ত্রী এইচ ই ডাভিড মারিটের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী।

বর্তমানে যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়, এতে চায়না থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হলেও সমস্যা হবে না জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আদা-রসুনসহ অন্যান্য পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়নার বিকল্প বাজারে নজর রাখছে সরকার।’

মন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীত ক্ষতির বিষয়ে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর কাছে জানতে চেয়েছি। তারা এ বিষয়ে জানাতে দু-তিন দিন সময় চেয়েছে। আশা করছি কালকের মধ্যে তারা হয়তো একটা আইডিয়া দিতে পারবেন, সত্যিকারার্থে কোনো ক্ষতি হবে কি না। তিনি জানান, এখন পেঁয়াজ আসছে মিয়ানমার, টার্কি, মিসর ও পাকিস্তান থেকে। চায়নার জন্য পেঁয়াজের বাজারে প্রভাব পড়বে না। তবে রসুন-আদাসহ অন্যান্য মসলার সমস্যা হবে কি না সেটি দেখছি।

এফবিসিসিআইকে তিন দিন সময় দেয়া হয়েছিল তারা কোনো প্রতিবেদন দিয়েছে কি না? জবাবে টিপু মুনশি বলেন, ‘আমরা গত বৃহস্পতিবার বৈঠক করে সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু এরপর শুক্র, শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় তারা হয়তো দেরি করছে। গার্মেন্টস সেক্টরের যারা ব্যবসায়ী তারা জানেন যে, এ সময়টায় তাদের কোনো আমদানি হবে না। কারণ এ সময় চায়নায় ছুটি থাকে। তাদের কোনো ইমপোর্ট হবে না। ১৩ তারিখ সেখানকার ছুটি শেষ হলে বোঝা যাবে প্রভাব পড়বে কি না।

চায়না কয়েক দফা ছুটি বৃদ্ধি করেছে, তারা ছুটি বাড়ানোর কারণে গার্মেন্টস প্রোডাক্টসে গ্যাপ হতে পারে কি না? জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা আবার ছুটি বাড়ালে গার্মেন্টস সেক্টরে প্রভাব পড়বে। গার্মেন্টস সেক্টরের ব্যবসায়ীরা কী রিপোর্ট দেয় সেটি দেখতে হবে। রাতারাতি এ সেক্টরে বিকল্প মার্কেট পাওয়া যাবে না।’

উল্লেখ্য, চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সে দেশেই মৃত্যু হয়েছে ৯০৮ জনের। এছাড়া ফিলিপাইন ও হংকংয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও দুজনের। অর্থাৎ সবমিলিয়ে সোমবার পর্যন্ত এ ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে ৯১০ জনের প্রাণ। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

চীনের বাইরে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান, সিঙ্গাপুরসহ আরও ২৭টি অঞ্চল বা দেশে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। এক্ষেত্রে চীনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা সিঙ্গাপুরে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে।

এ ভাইরাসের প্রভাবে চীনা নাগরিকদের বিভিন্ন দেশে প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। তবে এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হলে দেশটি থেকে মালামাল আমদানি-রফতানিতেও অনেক দেশ আগ্রহ হারাবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top