ঢাকায় ছিনতাইকারীকে তরুণীর পেটানো ভিডিও ভাইরাল
প্রকাশিত:
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৩:৫৭
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ১১:৩৬

ধানমন্ডিতে কেনাকাটা শেষে রিকশায় করে আজিমপুরের বাসায় ফিরছিলেন এক তরুণী। সাইন্সল্যাব মোড়ে আসার পর হঠাৎ রিকশা থেকে তার মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে দৌড় দেয় এক ছিনতাইকারী। চেয়ে না থেকে তার পিছু দৌড় দেয় ওই তরুণীও। আধা কিলোমিটারেরও বেশি এলাকা দৌড়ানোর পর ওই ছিনতাইকারীকে ধরে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটান তিনি। আর এই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত তা ভাইরাল হয়ে যায়।
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার বিকালের।
ওই তরুণীর নাম তাসমিত আফিয়াত আর্নি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
সেদিনের ঘটনার বর্ণনা করে ওই তরুণী জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকালে ধানমন্ডি থেকে কেনাকাটা শেষে রিকশাযোগে আজিমপুরের বাসায় ফিরছিলেন তিনি। এ সময় মোবাইলটা তার হাতেই ছিল। নিউমার্কেট বলাকা সিনেমা হলের সামনে আসার পর হঠাৎ এক ছিনতাইকারী মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে সাইন্সল্যাবের দিকে দৌড় দেয়। তিনিও রিকশা থেকে নেমে ছিনতাইকারীর পেছনে দৌড়াতে থাকেন। সাইন্সল্যাব মোড়ের কাছে পৌঁছার পর তিনি ছিনতাইকারীকে লাথি দিয়ে ফেলে দেন। পরে রাস্তায় ফেলে কিলঘুষি মারতে থাকলে ছিনতাইকারী ওই তরুণীর পা ধরে মাফ চায়। পরে আশপাশের লোকজন এসেও তাকে আরও মারধর করে।
আর্নি বলেন, ‘আমি ছিনতাইকারীকে ধরে রিকশায় তুলে থানায় নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু নীলক্ষেত মোড় পার হওয়ার সময় দুইজন এসে বলেন আপনি ওকে ধরে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন। তখন আমি বলি ওকে থানায় নিয়ে যাচ্ছি; ওকে আরো মারব, মামলা দেব। তখন ওই দুইজন বলেন- আমরা ঢাকা কলেজের স্টুডেন্ট, এই ছিনতাইকারীদের একটা গ্রুপ আছে। তারা প্রায় ছিনতাই করে। আমরা তাদের গ্রুপটা ধরব। আপনি ওকে থানায় না নিয়ে আমাদের কাছে দিয়ে দেন। এই বলে তারা ছিনতাইকারীকে নিয়ে যায়।’
সেদিনেই ওই ঘটনার ভিডিও কেউ ফেসবুকে আপলোড করেন। এরপর ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। মঙ্গলবার পর্যন্ত ভিডিওটি দেখেছেন ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।
ঘটনার সময় পুলিশের কারও সাহায্য পেয়েছিলেন কি না জানতে চাইলে আর্নি বলেন, ‘পুলিশের কাউকে পেলে কি আর আমি তাকে ধরে থানায় নিয়ে যেতাম।’
{video-on}
এর আগে গত ১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় রিকশায় বনশ্রীর বাসা থেকে জুরাইন যাবার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পরে মোবাইল ও ভ্যানিটি ব্যাগ হারান অন্তরা রহমান নামে এক নারী আইনজীবী। এ সময় তিনি ছিনতাইকারীর পিছু নেন। পরে একটি চলন্ত বাসে উঠে ছিনতাইকারীকে ধরে মারধর করে থানায় নিয়ে যান। পরে ওই নারী আইনজীবীকে পুরস্কৃত করেছিল ঢাকা মহানগর পুলিশ।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: