প্রধানমন্ত্রীর অবদান সোনালি অক্ষরে লিখা থাকবে: আল্লামা শফী
প্রকাশিত:
৪ নভেম্বর ২০১৮ ১২:৩৯
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ১৮:৩০

কওমি শিক্ষার সনদের স্বীকৃতি দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর এই অবদান ইতিহাসে সোনালি অক্ষরে লিখা থাকবে।’
এসময় ওলামাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি আল্লামা শফী।
রবিবার (৪ নভেম্বর) কওমি মাদরাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে স্নাতকোত্তরের (ইসলামিক শিক্ষা ও আরবি) স্বীকৃতি দিয়ে আইন পাস করায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুকরানা মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কওমি মাদরাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমি বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে এই শুকরানা মাহফিল হচ্ছে। শুরুতেই আল্লামা শফী শুকরিয়া স্মারক প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, সনদকে কাজে লাগিয়ে শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যাওয়ার উপদেশ, নিজের ও হেফাজতের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করেন শাহ আহমদ শফী।
তিনি বলেন, ‘ওলামাদের দাবির প্রতি সম্মান দিয়ে শত আপত্তি ও বাধা উপেক্ষা করে ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে কওমী মাদরাসার বিলটি পাস করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকতা ও সাহসিকতার যে ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছেন, নিঃসন্দেহে তা কওমি ওলামাদের প্রতি তার দরদপূর্ণ মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। এজন্য আমি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক শুকরিয়া ও মোবারকবাদ জানাচ্ছি। কেন না, মানুষের শুকরিয়া একটি নৈতিক দায়িত্ব।’
হেফাজত আমির বলেন, ‘কওমি মাদরাসা হচ্ছে জাতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সূচনালগ্ন থেকে সরকারি প্রভাবমুক্ত থেকে আল্লাহ তা’য়ালার উপর নির্ভরশীল হয়ে দল-মত-নির্বিশেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত হয়ে আসছে। ব্রিটিশ আমল থেকে অত্যন্ত বৈরি পরিবেশ ও হাজারো ঘাত-প্রতিঘাতের ভেতর দিয়ে আলেম সমাজ কোরআন-সুন্নাহর শিক্ষা বিকশিত করে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘কওমি মাদরাসা মূলত জনগণেরই প্রতিষ্ঠান। জনগণ আতঙ্কিত কিংবা কোনো রকম বিভ্রান্ত হয়, এমন কাজ সঙ্গতভাবে কওমী মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক করে না, করতে পারে না। জনগণের নৈতিক ও আত্মিক উন্নতি সাধনই তাদের অন্যতম দায়িত্ব।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে আহমদ শফী বলেন, ‘আপনার পিতা (বঙ্গবন্ধু) ইসলামের জন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। আপনার শাসনামলে লাখো কওমি ওলামা আপনার স্বীকৃতি দ্বারা ধন্য হয়েছে। আপনার এ অবদান চিরস্মরণীয়।’
এর আগে বেলা ১১টার দিকে সেখানে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। বক্তব্য শুরু করেন বেলা পৌনে ১টার দিকে প্রধানমনন্ত্রী।
এরইমধ্যে মাহফিলে বিভিন্ন কওমি মাদরাসার শিক্ষক ও নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেয়া শুরু করেছেন।
এদিন সকাল ১০টার দিকেই কওমি মাদরাসার বিপুল সংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে জড়ো হতে থাকে। মাহফিল ঘিরে শাহবাগ মোড় থেকে সোহরাওয়ার্দীর দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: