জাতিসংঘে 'ডেল্টা প্ল্যান ২১০০' তুলে ধরল বাংলাদেশ


প্রকাশিত:
১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:২২

আপডেট:
১৬ মার্চ ২০২৫ ০৪:৫৫

জাতিসংঘে 'ডেল্টা প্ল্যান ২১০০' তুলে ধরল বাংলাদেশ

পৃথিবী নামের গ্রহে টেকসই জীবন, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সমৃদ্ধি আনতে স্বাস্থ্যকর মহাসাগর অপরিহার্য। ২০১৪ সালে প্রতিবেশী মিয়ানমার ও ভারতের সাথে সমুদ্রসীমার শান্তিপূর্ণ মীমাংসার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার সমুদ্র ও মহাসাগরীয় সম্পদের ওপর নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।



সে কারণেই বাংলাদেশে এখন সুনীল অর্থনীতি একটি নতুন 'উন্নয়ন ক্ষেত্র' হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে বলে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক আলোচনায় তুলে ধরা হয়েছে। 



সুনীল অর্থনীতির বিকাশের জন্য সামুদ্রিক জাহাজ, সমুদ্রবন্দর, জাহাজ নির্মাণ ও জাহাজের পুনর্ব্যবহার, সামুদ্রিক মৎস্য, সামুদ্রিক লবণ, উপকূলীয় পর্যটন, মহাসাগরীয় শক্তি, ভূমি পুনরুদ্ধার, সামুদ্রিক নিরাপত্তা ও নজরদারি এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন ও প্রশাসনকে অগ্রাধিকার বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এসব বিষয়ে সম্প্রতি 'ডেল্টা প্লান ২১০০' তৈরি করেছে বাংলাদেশ। 



মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে 'মহাসাগর ও সমুদ্রবিষয়ক আইন' নিয়ে এক আলোচনায় অংশ নিয়ে সেই ডেল্টা প্ল্যানের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম। 



'মহাসাগর ও সমুদ্রবিষয়ক আইন'-সংক্রান্ত এ আলোচনায় বাংলাদেশের জাতীয় পদক্ষেপের এ সকল তথ্য উল্লেখ করার পাশাপাশি এসডিজির অভীষ্ট ১৪ এর বাস্তবায়ন এবং এ ক্ষেত্রে মৎস্য ভতুর্কিসংক্রান্ত ডাব্লিউটিও এর নেগোসিয়েশান সম্পূর্ণ করার ওপর বিশেষ জোর দেন উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি। তা ছাড়া জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণে সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি, মহীসোপানের সীমা নির্ধারণসংক্রান্ত কমিশনে মুলতবি থাকা বিভিন্ন আবেদন নিস্পন্ন করার কাজে গতি আনার বিষয়টিও তিনি বক্তব্যে তুলে ধরেন।



উৎসঃ   kalerkantho


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top