জামায়াত প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশ নেয়া কেন অবৈধ নয় : হাইকোর্ট
প্রকাশিত:
২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ১২:৩৪
আপডেট:
১৬ মার্চ ২০২৫ ০৯:৪০

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ২৫ নেতার প্রার্থিতা কেন অবৈধ নয় জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
তবে জামায়াত প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে ইসির ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত বা জামায়াতের ২৫ প্রার্থীকে ভোটের অযোগ্য ঘোষণা করেননি আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি জে বিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।
জামায়াতে ইসলামীর ২৫ নেতার প্রার্থিতার বৈধতা নিয়ে করা রিটের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত।
জামায়াতের ২৫ জন প্রার্থীর নির্বাচনে অংশ নিতে নির্বাচন কমিশনের দেয়া সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। জামায়াত নেতাদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
রুহুল কুদ্দুস কাজল জানান, এ আদেশে জামায়াতের ২৫ প্রার্থীর নির্বাচনে অংশ নিতে কোন বাধা নেই। আদালত নির্বাচন কমিশনের ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত না করায় কিংবা জামায়াতের ২৫ প্রার্থীকে ভোটের অযোগ্য ঘোষণা করেননি। তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনও আইনি বাধা থাকছে না।
শুনানিতে তানিয়া আমীর আদালতকে বলেন, জামায়াতের গঠনতন্ত্র গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) সঙ্গে সাংঘর্ষিক, সংবিধানের ৮-১১ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
গত ২৩ ডিসেম্বর জামায়াতের ২৫ প্রার্থীর প্রার্থিতা বহাল রাখে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রার্থিতা বাতিলের সুযোগ ইসির হাতে নেই বলেই তাদের প্রার্থিতা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এর আগে, জামায়াতের ২৫ প্রার্থীর নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিবসহ চার জন। তাদের আবেদন তিন দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
পরে জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতা বাতিলের সুযোগ ইসির হাতে নেই বলেই তাদের প্রার্থিতা বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতাকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি। এছাড়া, বাকি তিনজন জামায়াত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: