বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আওয়ামী লীগের জয়


প্রকাশিত:
৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:০৭

আপডেট:
১৬ মার্চ ২০২৫ ০৯:৪৫

বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় আওয়ামী লীগের জয়

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে আওয়ামী লীগ। এর মাধ্যমে রেকর্ড গড়ে টানা তৃতীয় বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে দলটি।      

  

রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে ভোট গ্রহণ শেষে গণনা শুরু হয়। সর্বশেষ তথ্য মতে, বড় ব্যবধানে জয় পেতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। ২৬৬ আসনের মধ্যে ২৪৩ আসন পেয়েছে নৌকা। মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১৫টি আসন। ধানের শীষ ৬ ও অন্যান্য ২। সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট গ্রহণ শেষ হয়।       



নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ নিয়ে  আজ সেই প্রত্যাশিত দিন। সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।      



তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রহসনমূলক উল্লেখ করে এই নির্বাচন বাতিল চেয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি বলেন, আমরা এ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ভোট দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানাচ্ছি। 



এদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, এবারের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা জাতির সামনে একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ প্রধানমন্ত্রী বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মোকাবেলা করেছেন। তাই এ বিজয় বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার বিজয়। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম নির্বাচন কমিশনের অধীনে তা সম্পন্ন হয়েছে। এর সব কৃতিত্বের দাবিদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।      



একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। কানাডিয়ান পর্যবেক্ষক তানিয়া ফস্টার বলেছেন, ‘বাংলাদেশের এ নির্বাচনের সাক্ষী হতে পেরে আমি গর্বিত। প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটাররা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ভোট প্রয়োগ করতে দেখেছি। এটা আমাকে সত্যিকারের অনুপ্রাণিত করেছে।’ 

    

ভারতের পর্যবেক্ষক গৌতম ঘোষ বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের নির্বাচনের মধ্যে মিল রয়েছে। সেখানেও জনগণ লাইনে দাঁড়িয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয় এবং এখানেও একই ঘটনা ঘটছে। এখানে শান্তি বিরাজ করছে।’    



ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-এর পর্যবেক্ষক দলের প্রধান এএমবি হামেদ বলেন, নির্বাচন বিশ্বাস ও ভরসাযোগ্য হয়েছে। তিনি মনে করেন,  নির্বাচনে তাদের দেখা মতে অন্তত ৫০ শতাংশ ভোট গৃহীত হয়েছে। তারা যে সব কেন্দ্রে গিয়েছেন, সেসব কেন্দ্রের পোলিং অফিসাররা তাদের ব্যালট বই প্রদর্শন করেছেন।      


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top