বাবা-সন্তান মিলে একসঙ্গে ‘অবৈধ কাজ’, রাস্তায় ১০ যুবক
প্রকাশিত:
৩ মার্চ ২০১৯ ০২:৩২
আপডেট:
১৬ মার্চ ২০২৫ ০০:২২

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকায় আদম ব্যবসায়ী পিতা-পুত্রের প্রতারণার শিকার হয়েছে ১০ জন যুবক।
সাইপ্রাসে মোটা অংকের বেতনের চাকুরীতে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারিত ওই ১০ যুবকের পরিবারের এখন পথে বসার উপক্রম হয়েছে। ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পুত্র এটিএম ফরহাদ ওরফে সুমনকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও পালিয়েছে প্রতারক পিতা ডা. ইব্রাহিম।
জানা গেছে, ফতুল্লা আলীগঞ্জ এলাকার মানবপাচারকারী ডা. ইব্রাহিম ও তার পুত্র এটিএম ফরহাদ সুমন দীর্ঘদিন ধরে আদম ব্যবসা করে আসছে। তারা সাইপ্রাসে চাকুরী করে এবং সেখানে মোটা অংকের বেতনে লোক নেয়া হবে এই প্রলোভন দেখিয়ে এক বছর পূর্বে ১০ জন যুবকের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা করে মোট ৬০ লাখ টাকা এবং তাদের পাসপোর্ট নেয়। কিন্তু ১ বছরের বেশী সময় হয়ে গেলেও ওই যুবকদের সাইপ্রাসে নেয়নি প্রতারক পিতা পুত্র।
ওই ঘটনায় প্রতারণার শিকার আবু বক্কর সিদ্দিক বাদি হয়ে ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে গত ১ ফেব্রুয়ারী নরসিংদী জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রতারক পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন (যার নম্বর ১/২৫)। ওই মামলা দায়েরের পরে গত ৫ ফেব্রুয়ারী পুলিশ প্রতারক ফরহাদকে গ্রেফতার করলেও পালিয়ে গেছে তার পিতা ডা. ইবরাহিম।
পরে ফতুল্লা মডেল থানাতেও গত ১৪ ও ১৯ ফেব্রুয়ারী প্রতারণার শিকার যুবক দেলোয়র হোসেন ও মানিক বাদী হয়ে পিতা-পুত্রের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়াও এর আগে প্রতারক পিতা পুত্রের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দিয়েছে প্রতারণার শিকার যুবকরা। তবে অদ্যাবধি প্রতারক ডা. ইবরাহিমকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
প্রতারণার শিকার যুবকদের আশঙ্কা তাদের অর্থ নিয়ে প্রতারক ডা. ইব্রাহিম যেকোন সময় বিদেশ পালিয়ে যেতে পারে। এজন্য তারা পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শাহ মো. মঞ্জুর কাদের বলেন, ডা. ইব্রাহিম ও তার পুত্রের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের ৩/৪ টি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে। বর্তমানে ডা. ইব্রাহিম পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: