বিশ্বের অর্ধেকের বেশি দেশের মানুষের চেয়ে বাংলাদেশিরা বেশি পরোপকারী


প্রকাশিত:
৩ মার্চ ২০১৯ ১৪:২৫

আপডেট:
১৬ মার্চ ২০২৫ ০০:২২

বিশ্বের অর্ধেকের বেশি দেশের মানুষের চেয়ে বাংলাদেশিরা বেশি পরোপকারী

পরের উপকার করার সূচকে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি দেশের মানুষকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশের জনগণ। আর এশিয়ায় আছে নবম স্থানে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা চ্যারিটি এইড ফাউন্ডেশন এই সূচক প্রকাশ করেছে।



 



ডয়চে ভেলে জানায়, জরিপের আওতায় থাকা বিশ্বের ১৪৬টি দেশের মধ্যে ৭৪ নম্বরে বাংলাদেশের অবস্থান। আর এশিয়ায় নবম অবস্থানে। তিনটি বিষয়ের ওপর তথ্য নিয়ে একটি দেশের স্কোর নির্ধারণ করা হয়। সেখানে বাংলাদেশের গড় স্কোর ৩১। ২০১৭ সূচকের চেয়ে ২০১৮ সূচকে সবচেয়ে উন্নতি করা প্রথম তিনটি দেশের একটি বাংলাদেশ। এক ও দুই নম্বরে আছে কঙ্গো ও প্যারাগুয়ে।



 



কী এই পরোপকার সূচক?



 



যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণী সংস্থা ‘গ্যালাপ'-এর ডেটা বিশ্লেষণ করে মূলত এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে চ্যারিটি এইড ফাউন্ডেশন। গ্যালাপের তথ্য নিয়ে বিশ্বের কয়েকটি সংস্থা বেশ জনপ্রিয় কিছু জরিপ ও গবেষণা পরিচালনা করে। এর মধ্যে রয়েছে হ্যাপিনেস ইনডেক্স ও ফিন্যান্সিয়াল লিটারেসি ইনডেক্সের মতো গবেষণা।



 



২০১৭ সাল জুড়ে বিশ্বের ১৪৬টি দেশের গ্রাম ও শহরের নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের কাছে গিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়। সেখানে অন্যান্য প্রশ্নের মধ্যে ছিল-



 



‘আপনি গত মাসে এই তিনটি কাজের কোনোটি করেছেন?



 



- চেনেন না এমন কাউকে সাহায্য করেছেন?



 



- কোনও চ্যারিটিতে দান করেছেন?



 



- কোনও প্রতিষ্ঠান বা সংস্থায় স্বেচ্ছাশ্রম দিয়েছেন?'



 



একটি দেশের নমুনা জনসংখ্যার এসব উত্তরের ভিত্তিতে সারাদেশের জন্য একটি ফলাফল তৈরি করে ‘গিভিং ইনডেক্স' বা ‘পরোপকার সূচক' তৈরি করা হয়।



 



 



 



বাংলাদেশ ও এশিয়া



 



পরোপকার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৭৪ হলেও সংখ্যার বিচারে সবচেয়ে বেশি অচেনা মানুষকে উপকার করার সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ ৭ম। তবে শতকরা হারের হিসেবে অচেনা মানুষকে উপকার করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ৪৪। দান-খয়রাত করার ক্ষেত্রে ৭৯তম অবস্থানে, আর স্বেচ্ছাশ্রম দেবার ব্যাপারে ১১০ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ।



 



তবে বিশ্ব সূচকে শীর্ষ অবস্থানে নেই কোনও ধনী দেশ। এক নম্বরে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। সিঙ্গাপুর ৭ ও মিয়ানমার ৯ নম্বরে রয়েছে। ২০১৭ সালে মিয়ানমার এক নম্বরে থাকলেও এবার ৯ ধাপ পিছিয়েছে। এশিয়ার শীর্ষ দশে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও সিঙ্গাপুর ছাড়াও রয়েছে, শ্রীলঙ্কা, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড ও ফিলিপাইন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top