ইন্টারনেট ও সামাজিক মাধ্যম থেকেই দেশে জঙ্গিবাদ ঢুকেছে: গবেষণা
প্রকাশিত:
২৪ জুন ২০১৯ ১৮:১৮
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০৮:৩৬

ইন্টারনেট এবং বিশেষ করে বিভিন্ন ধরণের সামাজিক মাধ্যমের দ্বারাই দেশে জঙ্গিবাদে বেশি জড়িত হয়। এসব মাধ্যমের দ্বারা জঙ্গিবাদে জড়িত ছিল অন্তত ৮০ শতাংশ। যারা বিভিন্ন সময় ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ধর্মীয় উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত ছিলো। এর বাইরে যে ২০ শতাংশ তারা মূলত সুপরিচিত ব্যক্তিদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়ে।
বাংলাদেশ পুলিশের সদর দপ্তরের এক গবেষণায় এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাধ্যমে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য তুলে ধরা হয়।
ওই গোলটেবিল বৈঠকে জানানো হয়, সাধারণ শিক্ষা মাধ্যম থেকেই জঙ্গিবাদে জড়িতদের আসার পরিমাণ বেশি। যা মোট জড়িতদের ৫৬ শতাংশ। মাদরাসা শিক্ষা থেকে আসা ২২ শতাংশ এবং অন্যান্য শিক্ষা মাধ্যম বা ইংরেজি এবং নিরক্ষর থেকে ২২ শতাংশ জঙ্গিবাদে জড়িত।
পুলিশের বিশেষায়িত অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (এটিইউ) অতিরিক্ত উপপরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, জঙ্গিবাদের জন্য কেবল মাদরাসা শিক্ষাকে দোষ দিলেই হবে না। কারণ, আমাদের হাতে আটক বেশিরভাগ জঙ্গিই সাধারণ শিক্ষা মাধ্যম থেকে এসেছে।
তিনি জানান, পুলিশ সদর দপ্তর ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্টতায় গ্রেপ্তার ২৫০ জনের ওপর ভিত্তি করে গবেষণাটি করেছে।
বৈঠকে সন্তানদের ইন্টারনেট ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের উপর নজর রাখতে অনুরোধ জানান বক্তারা। এর জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির কথাও বলেন তারা।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: