কানাডার প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশী ডলি বিজয়ী


প্রকাশিত:
৮ জুন ২০১৮ ০৫:২৮

আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ২২:৫৭

কানাডার প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে  বাংলাদেশী ডলি বিজয়ী

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক

আরটিএনএন

অটোয়া: কানাডার অন্টারিওর প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে বাংলাদেশি ডলি বেগম বিজয়ী হয়েছেন। দেশটির স্কারবারো সাউথওয়েস্ট আসন তিনি জয়ী হন। কানাডার প্রাদেশিক পরিষদের ভোটে এই প্রথম কোন বাংলাদেশী জয়ী হলো। 



ডলি বেগম দেশটির নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) হয়ে প্রার্থী ছিলেন। এতে তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন লিবারেলস পার্টির লোরেঞ্জো বেরারডিনেট্টি ও পিসি পার্টি গ্যারি এলিস।



কানাডার স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৭ জুন) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এদিন রাতেই ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।  তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন প্রগ্রেসি কনজারভেটিভ পার্টির গ্রে এলিস। ডলি বেগম ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ৫৪৩, যা গ্রে এলিসের চেয়ে পাঁচ হাজার বেশি।



গত ১৫ বছর ধরে স্কারবারো সাউথওয়েস্ট লিবারেলদের দখলে ছিল। এবারের নির্বাচনে লিবারেল প্রার্থী বেরারডেনিট্টি আট হাজার ২১৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।



ডলির জন্ম বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলায়। ১১ বছর বয়সে বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি কানাডায় চলে যান।



কানাডায় গিয়ে জীবনের চরম বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় পড়লে অনেক বছর হাসপাতালে থাকতে হয়েছে।



২০১২ সালে তিনি টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৫ সালে উন্নয়ন প্রশাসনে মাস্টার্স করেন টরেন্টো ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে।



পড়ালেখা শেষ করে সিটি অব টরেন্টোতে প্রায় ১০ মাস কাজ করেন। গত এপ্রিল পর্যন্ত রিচার্স অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করেন দ্য সোসাইটি অব অ্যানার্জি প্রফেশনান্সে।



ডলি প্রদেশের কিপ হাইড্রো পাবলিক ক্যাম্পেনের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। স্কারবারো স্বাস্থ্য জোটের সহসভাপতি হিসেবেও কাজ করেছেন। এ ছাড়া ওয়ারডেন উডস কমিউনিটি সেন্টারের উপপ্রধান তিনি।



বাবা-মা ও ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে অধিকাংশ সময় তিনি স্কারবারোতে বসবাস করেন।



এদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী এলিস পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করার পর অবসর নিয়েছেন। টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করা এলিসও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।



১২৪ জন নির্বাচিত প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত হতে যাচ্ছে এবারের প্রাদেশিক সংসদ। সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে হলে বিজয়ী দলকে পেতে হবে ৬৪টি আসন।



১৮৬৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত অন্টারিওর গত ৪১ টি নির্বাচনে লিবারেলরা সরকার গঠন করেছে ১৭ বার, কনজারভেটিভরা ২২ বার আর এনডিপি ১ বার। তবে গত ৩০ বছরে লিবারেল পার্টি সরকার গঠন করে সর্বোচ্চসংখ্যক ৬ বার, কনজারভেটিভ পার্টি ২ বার ও এনডিপি ১ বার।



সর্বশেষ ২০১৪’র নির্বাচনে লিবারেলরা ৫৮ টি, কনজারভেটিভরা ২৮ টি আর নিউ ড্যামোক্রেটরা ২১ টি আসনে জয়ী হয়েছিল। ২০১৪ সালের ৪১ তম প্রাদেশিক নির্বাচনে লিবারেল পার্টি ক্যাথলিন উইনের নেতৃত্বে মেজরিটি সরকার গঠন করে। গত ত্রিশ বছরে এই প্রদেশে ইমিগ্র্যান্টদের ডেমোগ্রাফিক বাস্তবতা হয়তো ইমিগ্র্যান্ট-অবান্ধব দক্ষিণপন্থী কনজারভেটিভদের পরাজয় ত্বরান্বিত করেছে। 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top