মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের মুকুট জিতলেন শিলা
প্রকাশিত:
২৪ অক্টোবর ২০১৯ ১২:০৭
আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ১৪:০৮

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০১৯’ নির্বাচিত হলেন শিরিন আক্তার শিলা। বুধবার রাতে বসুন্ধরা কনভেনশনের নবরাত্রী হলে অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত পর্বে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়। প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছেন আনিশা ইসলাম ও দ্বিতীয় রানার্সআপ জেসিয়া ইসলাম।
বিজয়ী শিলার মাথায় মুকুট পরিয়ে দেন মিস ইউনিভার্স ও ভারতীয় তারকা সুস্মিতা সেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান আকর্ষণ ছিল মিস ওয়ার্ল্ড ৯৪ বিজয়ী সুস্মিতা সেন। তিনি রাত ৯টার পর মঞ্চে আসেন। মঞ্চে দাঁড়ানো সেরা দশজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এরপর মাইক্রোফোন হাতে মিলনায়তনে ভর্তি দর্শকের উদ্দেশ্যে সুস্মিতা বললেন, ‘কেমন আছো সবাই? আবার বাংলাদেশে এলাম। যখনই বাংলাদেশে আসি, নিজের ঘর মনে হয়।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি তার বক্তব্যে সুস্মিতা সেনকে অনুষ্ঠানে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি প্রতিযোগীদের শুভেচ্ছা জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন তারা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ জয় করে এগিয়ে যাবেন।
শীর্ষ পাঁচে ঠাঁই করে নেন শিরিন আক্তার শিলা, আলিশা ইসলাম, জেসিয়া ইসলাম, মারিয়া মুমু ও আফলা আমরান। তাদের মধ্য থেকে বেছে নেয়া হয় তিন বিজয়ীকে। প্রথম পাঁচজনকে দুটো করে প্রশ্ন করেন সুস্মিতা সেন। বেস্ট হেয়ার, বেস্ট স্মাইল, বেস্ট স্কিন, পিপল চয়েজ, মিস রিয়েলিটি ও বেস্ট টিথ এর সম্মান জিতেন যথাক্রমে টিনা, তারফা, সোহানি, আফলা, জেসিয়া ও মারিয়া মুমু।
নিজের মিস ইউনিভার্স বিজয়ের কথা স্মরণ করে সুস্মিতা সেন বলেন, ‘এই প্ল্যাটফর্ম আমাকে বিশ্ব চিনিয়েছে, আমার জীবনকে পরিবর্তন ঘটিয়েছে। আজ এখান থেকে যিনি মিস ইউনিভার্স নির্বাচিত হবেন, তিনি বিশ্বমঞ্চে এই সুন্দর বাংলাদেশ তুলে ধরার সুযোগ পাবেন।’ তিনি বলেন, ‘আমি যখন মিস ইউনিভার্সের প্রতিযোগিতায় ছিলাম, তখন ইংরেজি বলতে পারতাম না, ভাষা বড় কথা না, আত্মবিশ্বাসই বড় ব্যাপার।’
এবারই প্রথম এ ধরনের সুন্দরী প্রতিযোগিতা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হলো। প্রতিযোগিতার মূল স্লোগান ছিল ‘আমার আত্মবিশ্বাস, আমার সৌন্দর্য’। ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ'-এর চেয়ারম্যান রিজওয়ান বিন ফারুক বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় আগামী ১৯ ডিসেম্বর বসবে ‘মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতার ৬৮তম আসর। ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ বিজয়ী ওই আসরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
মাথায় বিজয়ের মুকুট পরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শিরিন আক্তার। তিনি বলেন, 'আমি বাংলাদেশের জন্য সব কাজ করবো। আমার বাবা সারাজীবন কষ্ট করেছেন দেশকে রক্ষা করার জন্য। আমি আমার বাবার সাথে কাজ করবো। আমি বাংলাদেশকে তুলে ধরতে চাই বিশ্বদরবারে।'
এই প্রতিযোগিতার মূল বিচারক হিসেবে ছিলেন সংগীত তারকা ও অভিনেতা তাহসান খান, রূপ বিশেষজ্ঞ কানিজ আলমাস খান, হেরিটেজ ক্র্যাফটসের তুতলি রহমান, রুবাবা দৌলা, ফারজানা চৌধুরী, সাবেক ক্রিকেটার আতাহার আলী খান প্রমুখ।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: