কলকাতা খবর: জরিমানা-বিবাদ এড়াতে থানা ও ট্র্যাফিক গার্ডের সমন্বয়
প্রকাশিত:
৩০ জানুয়ারী ২০২২ ০০:০৫
আপডেট:
১১ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৩৯

প্রভাত ফেরী: শহরের পথে দুর্ঘটনা কমাতে ট্র্যাফিক-বিধি লঙ্ঘনের জরিমানা কয়েক গুণ বাড়িয়েছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। আর সেই মোতাবেক রাস্তায় নেমে বর্ধিত জরিমানা আদায় করছে ট্র্যাফিক পুলিশ। ওই জরিমানা আদায় করার সময়ে ট্র্যাফিক পুলিশকে যাতে কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়, তার জন্য থানাগুলিকে ট্র্যাফিক গার্ডের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলতে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। সেই সঙ্গে রাস্তায় ট্র্যাফিক পুলিশ কোনও বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়লে থানার পুলিশ যাতে দ্রুত সেখানে পৌঁছে যায়, সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ট্র্যাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, বর্ধিত জরিমানা আদায় করা নিয়ে কোনও গোলমালের আশঙ্কা থাকলে ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকদের থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে নিতে বলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, লালবাজারের ওই নির্দেশ পেয়ে শুক্রবার থেকেই বিভিন্ন থানার কর্তারা এলাকার ট্র্যাফিক গার্ডের আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ করেছেন। কোনও সাহায্যের প্রয়োজন রয়েছে কি না, তা-ও জানতে চেয়েছেন তাঁরা। দক্ষিণ শহরতলির একটি থানার এক আধিকারিক এ দিন বলেন, ‘‘স্থানীয় ট্র্যাফিক গার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যে কোনও দরকারে আমাদের জানাতে বলেছি।’’
লালবাজার সূত্রের খবর, রাজ্য পরিবহণ দফতরের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, হেলমেট না পরলে এখন জরিমানা দিতে হচ্ছে এক হাজার টাকা, যা আগে ছিল মাত্র ১০০ টাকা। বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালালে এখন জরিমানা দিতে হচ্ছে পাঁচ হাজার টাকা। আগে দিতে হত এক হাজার টাকা। এ ছাড়া, জরিমানার নতুন নিয়মে গাড়ির সিট বেল্ট না বাঁধলেও দিতে হবে দশ হাজার টাকা জরিমানা। ওই একই অপরাধে আগে দিতে হত পাঁচ হাজার টাকা। গতিসীমা ভাঙলে এখন জরিমানা ধার্য হয়েছে এক হাজার টাকা। আগে যা ছিল ৪০০ টাকা।
পুলিশ সূত্রের খবর, হেলমেট না পরে বাইক চালানোর প্রবণতা অনেকের মধ্যেই রয়েছে। আগেও হেলমেটবিহীন বাইকচালকদের ধরতে গিয়ে প্রহৃত হতে হয়েছে পুলিশকে। এ বার সেই অপরাধে জরিমানার পরিমাণ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে হেলমেটহীনদের আটক বা জরিমানা করতে গেলে গোলমালের একটা আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। সেই কারণেই থানাগুলির সঙ্গে সমন্বয় রাখতে বলা হয়েছে ট্র্যাফিক পুলিশকে।
পথ-নিরাপত্তার স্বার্থে জরিমানার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হলেও তার বিরোধিতায় নেমেছে বিভিন্ন বেসরকারি গণপরিবহণ সংগঠন। তাই জরিমানা করতে গেলে গণবিক্ষোভ তৈরি হবে কি না, সেটাও ভাবাচ্ছে লালবাজারকে। তাই বাহিনীকে আগে থেকেই সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।
বিষয়: কলকাতা খবর পশ্চিমবঙ্গ সংবাদ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: