প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারে প্রতিযোগিতা


প্রকাশিত:
৩০ মে ২০২২ ১৯:২৩

আপডেট:
২১ এপ্রিল ২০২৫ ০০:০৩

 

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্রগুলো এতদিন অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের প্রভাব বলয়ের মধ্যে ছিল বলেই মনে করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করে ঐ অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্য নিয়ে নেমেছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বর্তমানে ঐ অঞ্চল সফর করছেন। তিনি ১০ দিনের সফরকালে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১০টি দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে নিরাপত্তা, মুক্ত বাণিজ্যসহ বেশ কিছু চুক্তি করার চেষ্টা চালাবেন।

সলোমান দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তির পর শনিবার আরেক দ্বীপরাষ্ট্র সামোয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে চীন। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে এই চুক্তি হয়েছে। যা অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর মধ্যে নতুন করে স্নায়ুবিক দুর্বলতা তৈরি করেছে বলে ডব্লিউআইওএন’র এক খবরে বলা হয়েছে।

এদিকে চীনের এই পদক্ষেপের পর অস্ট্রেলিয়ার নতুন সরকার তাদের কূটনীতিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ বলেছেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর জন্য তার সরকারের একটি সমন্বিত পরিকল্পনা রয়েছে।


শনিবার তিনি বলেন, লেবার সরকারের পরিকল্পনার মধ্যে প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণ স্কুল, সমুদ্র নিরাপত্তা সহায়তা, মানবিক সহায়তা আরো জোরদার এবং জলবায়ু ইস্যুতে আরো সক্রিয়ভাবে এই অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। তিনি বলেন, আমরা এই অঞ্চলে আরো সক্রিয় এবং আরো বেশি সম্পৃক্ত হতে চাই।


সামোয়া সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামোয়ার প্রধানমন্ত্রী ফিয়ামে নাওমির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা নিয়ে চুক্তি হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সামোয়া ও চীন বৃহত্তর সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে যা দুই দেশের স্বার্থে কাজে আসবে।

অন্যদিকে শনিবার ফিজির প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক বাইনিমারামা বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং’য়ের সঙ্গে তার চমত্কার বৈঠক হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্র একদিন আগেই দেশটি সফর করেন। প্রধানমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক বাইনিমারামা বলেন, ফিজি কারো বাড়ির পিছনের আঙিনা নয়। আমরা প্যাসিফিক পরিবারের একটি অংশ। এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে খোঁচা মেরেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ মরিসন একবার প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলোকে অস্ট্রেলিয়ার পেছনের আঙিনা বলে মন্তব্য করেছিলেন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সফরের অংশ হিসেবে ফিজি যাচ্ছেন। আগামীকাল সোমবার তিনি ফিজির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top