ফ্লোরিডায় লোকালয়ে বিমান বিধ্বস্ত, বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি


প্রকাশিত:
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৫৬

আপডেট:
১০ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:১৮

 

যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ক্লিয়ারওয়াটারে একটি মোবাইল হোম পার্কে ছোট একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

দমকলকর্মীদের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা সন্ধ্যা ৭টা ৮ মিনিটের দিকে একটি বিমান দুর্ঘটনার খবর পান এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। গণমাধ্যমটি জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছোট উড়োজাহাজের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ফ্লোরিডার ক্লিন ওয়াটার শহরের মোবাইল হোম পার্কে গিয়ে বিধ্বস্ত হয়।


এতে ওই এলাকায় ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ফলে বেশ কয়েকজন নিহত হন এবং চারটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।
ক্লিন ওয়াটারের ফায়ার সার্ভিস বিভাগের প্রধান স্কট ইলার্স বলেন, ‘উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময় অনেকে বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন।


এটি সরাসরি একটি বাড়িতে আঘাত হানে ও ওই বাড়িসহ আশপাশে আগুন ধরে যায়। যে কারণে তাৎক্ষণিক বেশ কিছু প্রাণহানি ঘটে।’

শুক্রবার ভোরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এখনো জানা যায়নি। আমাদের কর্মীরা সেখানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।


সিএনএনের প্রতিবেদন অনুসারে, ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটি একটি সিঙ্গেল ইঞ্জিন বিচক্র্যাফ্ট বোনানজা ভি ৩৫ বিমান এবং এতে থাকা পাইলট-যাত্রীর সংখ্যা এখনবধি জানা যায়নি। তবে এ ধরনের বিমান বেশ হালকা এবং সর্বোচ্চ ছয় আসনের হয়।

এএফপি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ফ্লোরিডার ক্লিন ওয়াটার শহরের যে আবাসিক এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটি বেশ ঘনবসতিপূর্ণ। মূলত দরিদ্র লোকজনই থাকেন সেখানে এবং অধিকাংশ বাড়িঘর ভ্রাম্যমাণ কিংবা অস্থায়ী (মোবাইল হোম)।


বিধ্বস্ত হওয়ার সময় উড়োজাহাজটিতে কতজন যাত্রী ছিলেন— তা জানা যায়নি। তবে বাড়িঘরের ওপর সেটি আছড়ে পড়ার পর অনেক বাড়িঘরে আগুন ধরে যায়। এ কারণেই মৃতের সংখ্যা অনেক বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ক্লিয়ারওয়াটারে এক লাখেরও বেশি বাসিন্দার বসবাস রয়েছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top