ভারতীয় বাহিনীতে যুক্ত হলো সি হক
প্রকাশিত:
৭ মার্চ ২০২৪ ২১:৪১
আপডেট:
৯ এপ্রিল ২০২৫ ২২:০৩

অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে দ্রুত চিহ্নিত করতে পারে গভীর সমুদ্রে লুকিয়ে থাকা শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজ। এর পর নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হেনে তাকে ধ্বংসও করতে দড় এসএইচ-৬০ আর ‘সি হক’। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় নৌবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হলো সেই যুদ্ধ হেলিকপ্টার।
বুধবার কেরলের কোচিতে নৌবাহিনীর বিমান শাখা আইএনএস গরুড়-এ আনুষ্ঠানিকভাবে আমেরিকার সংস্থা সিকরস্তির তৈরি কপ্টারটি প্রথম স্কোয়াড্রন ‘কমিশন’ পেয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের সময় নৌবাহিনীর জন্য সি হক কেনার বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছিল। ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য ২৪টি মার্কিন ‘এমএইচ-৬০আর’ হেলিকপ্টার’ কিনতে খরচ হবে ২৬০ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রায় ২১ হাজার ৫৩০ কোটি রুপি।
ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী টর্পোডোর পাশাপাশি ‘ম্যাকাব্রে হেলফায়ার আরএনএক্স’ ক্ষেপণাস্ত্রও ব্যবহার করা যায় সিকরস্কি ব্ল্যাক হক কপ্টারের নৌ সংস্করণ সি হক থেকে। সেই ‘ওয়ারহেড-লেস মিসাইল’ ভারতীয় নৌবাহিনীকে দেয়ার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই নিয়েছে আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার। আল কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি এবং ইরানের জেনারেল কাশেম সোলায়মানিকে হত্যা করতে আমেরিকা সেনাবাহিনী ব্যবহার করেছিল এই ক্ষেপণাস্ত্র।
‘নিনজা বোমা’ নামে পরিচিত এই ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য হলো লক্ষ্যবস্তুকে টুকরা টুকরা করে ফেলবে, কিন্তু জোরালো কোনো বিস্ফোরণ হবে না। ক্ষতি হবে না ‘মূল লক্ষ্যের’ আশপাশের বাড়িঘর এবং মানুষজনের।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: