অম্লমধুর অভিষেক বরিস জনসনের
প্রকাশিত:
২৫ জুলাই ২০১৯ ১৮:৪১
আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ০১:৫৫

১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের ওই বিখ্যাত কালো দরজার সামনে আসার পথে শুনলেন আন্দোলনকারীদের স্লোগান। পুলিশ তাদের সরাতে খেল হিমশিম। অভিষেক অনুষ্ঠানে ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এসব পেছনে ফেলে সহজাত বক্তৃতায় ব্রিটিশদের একাংশের মনটাও নিলেন কেড়ে।
বরিস তার বক্তব্যের অধিকাংশ সময় পরিবর্তনের অঙ্গীকার করেছেন। কথা দিয়েছেন ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হবে। আর করেছেন জীবন-যাত্রার মান বাড়ানোর শপথ।
‘আপনাদের অথবা আপনার পরিবারকে রক্ষা করা আমার দায়িত্ব। অথবা আপনার দাদা-দাদিকে দেখাশোনার খরচ জোগাতে বাড়ি বিক্রি করার ভয়ের হাত থেকে রক্ষা করা আমার কাজ।’
এভাবে শুরু করে বরিস বলেন, ‘ব্রিটেনের প্রতিটি কোনায় সৃষ্টিশীল ক্ষমতা ছড়িয়ে দেওয়ার এখনই সময়।’
তিনি যে পরিবর্তন আনতে চান, তার জন্য ব্যক্তিগত ঝুঁকি নিতেও প্রস্তুত, ‘যে পরিবর্তন আমি দেখতে চাই, তার জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে দায়িত্ব নেব।’
নতুন প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য শুনে তার সমর্থকেরা উদ্বেলিত।
সাংসদ নাদিম জাহাভি টুইটারে লিখেছেন, ‘দারুণ অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তব্য। এটি সব ব্রিটিশের মনের চাহিদা।’
লুসি অ্যালান লিখেছেন, ‘চমৎকার শুরু। দারুণ ভাষণ। শুধু ব্রেক্সিটের জন্য নয়; আরও কিছু ভালো উদ্যোগের কথা বলেছেন। ভালোবাসা।’
ডাউনিং স্ট্রিটে আসার মতো মুদ্রার উল্টো পিটটাও দেখছেন বরিস। স্কটল্যান্ডের মন্ত্রী নিকোলা স্টুরজন ইতিমধ্যে তার বক্তব্যকে ‘অসংলগ্ন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: