বন্যার পানিতে ডুবে গেছে ইতালির ভেনিস, নিহত ২
প্রকাশিত:
১৪ নভেম্বর ২০১৯ ২২:৫২
আপডেট:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:২৬

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: বন্যার পানিতে ডুবে গেছে ইতালির ভেনিস শহরের অধিকাংশ স্থান। শহরটির মেয়রের অভিযোগ, জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি প্রভাব এটি। খবর দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসির। মেয়র লুইজি ব্রাগনারো টুইটারে লিখেছেন,পাঁচ দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতার জোয়ার ‘একটি স্থায়ী চিহ্ন রেখে যাবে।
মারাত্মক এ বন্যায় ২ জন নিহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে শহরটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন স্থানীয় মেয়র। সরকার জানায়, বিগত ৫০ বছরের এমন বন্যা দেখেনি ভেনিসবাসী।
ইতালির ভেনিসকে বলা হয় ভাসমান নগরী। এই শহরে নেই কোনো গাড়ি চলার রাস্তা। ফেরি কিংবা নৌকাই এখানে চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। ইউরোপের সবচেয়ে দর্শনীয় শহরগুলোর মধ্যে অন্যতমও এটি।
সাগরের পানির ওপর গড়ে ওঠা পৃথিবীর একমাত্র ভাসমান শহর ভেনিস। ভাসমান এ শহরটি দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক আসে। ফলে ইতালি সরকারের অন্যতম আরেকটি আয়ের উৎস ভেনিস। তবে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা কম হওয়ায় সামান্য জোয়ারেই ডুবে যায় ভেনিসের নিচু অঞ্চলগুলো। প্রতিবছর অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারিতে এ জোয়ারের পানি আসে।
ছবিতে দেখা গেছে, ভেনিসের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। লক্ষ্য করা গেছে। ঝড়ের কবলে পড়া লোকজনকে বিভিন্ন রাস্তায় আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। শহর নিম্মাঞ্চল সেন্ট মার্কসের চৌরাস্তার পরিস্থিতি সবচেয়ে বাজে। গত ১,২০০ বছরের মধ্যে এখানকার ব্যাসিলিকা ছয় বার বন্যার পানিতে ডুবেছে বলে গির্জার রেকর্ডে দেখা গেছে।
বন্যায় পেলাস্ট্রাইন দ্বীপে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে একজন নিজের বাড়ির পাম্প চালু করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন।
মেয়র লুইজি ব্রাগনারো জানিয়েছেন, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি নাটকীয়। আমরা সরকারকে সহায়তার অনুরোধ জানিয়েছি।’ পানি কমে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সব স্কুল বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: