সৌদির নাজরানে বাংলাদেশের কর্মী শ্রমবাজার উন্মুক্ত হলো


প্রকাশিত:
২২ নভেম্বর ২০২১ ২২:০৪

আপডেট:
১৬ মার্চ ২০২৫ ১০:৩৪

 

প্রভাত ফেরী: রবিবার (২১ নভেম্বর) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো- বিএমইটিতে পাঠানো এক চিঠিতে সৌদির নাজরানে বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কথা বলা হয়।

এ প্রসঙ্গে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক শহীদুল আলম এনডিসি বলেন, সৌদি আরব আমাদের অন্যতম প্রধান শ্রমবাজার। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে নিরাপত্তার জন্য নাজরান অঞ্চলে কর্মী প্রেরণ বন্ধ ছিলো।

বিএমইটি মহাপরিচালক আরও বলেন, আজ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্মী প্রেরণের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করায় নাজরানে কর্মী পাঠাতে আর কোন বাধা থাকবে না। এটি আমাদের শ্রমবাজারের জন্য সুখবর।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নাজরান অঞ্চলে কর্মী পাঠানো বন্ধ করে দেয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। কর্মীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সেসময় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

নাজরান সৌদি আরবের ইয়েমেন সীমান্তবর্তী একটি অঞ্চল। নাজরানের জনসংখ্যা প্রায় ছয় লাখ। তবে জনসংখ্যা কম হলেও আয়তনের দিক থেকে বেশ বড় নাজরান। ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫১১ বর্গ কিলোমিটার আয়োতন অঞ্চলটির। তবে নাজরানে হুতি বিদ্রোহীদের সাথে সৌদি জোটের হামলা, পাল্টা হামলার ঘটনা বেশ পুরনো।

বাংলাদেশ দূতাবাসের জেদ্দা কনস্যুলেটের বরাত দিয়ে বিএমইটি থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে নাজরানের পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত। একই সাথে সৌদি কর্তৃপক্ষ জোরদার করেছে অঞ্চলটির নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।

এই বিবেচনায় পাঁচ বছর পর কর্মী পাঠানোর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলেও মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নাজরানে কর্মী পাঠানোর আগে, সংশ্লিষ্ট শ্রম কল্যাণ উইংয়ের সত্যায়ন বাধ্যতামূলক করতে হবে। সেইসাথে সরেজমিন পরিদর্শন ছাড়া কোন চাহিদাপত্র সত্যায়ন না করতেও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এই খাতের বিশেষজ্ঞরা।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top