মসজিদের এসি থেকে নয়, মিথেন গ্যাস থেকেই নারায়ণগঞ্জের বিস্ফোরণ: তদন্ত কমিটি


প্রকাশিত:
৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২৩:০৮

আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ২২:০১

 

প্রভাত ফেরী: নারায়ণগঞ্জের বিস্ফোরণ মসজিদের এসি থেকে হয়নি। এমনকি মসজিদের কোন এসি বিষ্ফোরিতও হয়নি। এটা হয়েছে মিথেন গ্যাসের কারণে। যেখানে ৪ শতাংশ মিথেন গ্যাসে আগুন ধরে যায় সেখানে সে মসজিদে ১৯ শতাংশ মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি পেয়েছে ফায়ার সার্ভিসের তদন্ত দল। ফায়ার সার্ভিসের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড ডিফেন্স অফিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, এসির বিস্ফোরণ হলে তা সম্পূর্নরুপে ছিন্নভিন্ন হয়ে যেত। আসলে তা হয়নি। এমনকি এসির কোন অস্তিত্বও থাকতো না। কিন্তু তা হয়নি।  এসি দেয়ালে সেটেই ছিলো। এসি যদি বিস্ফোরিত হত তাহলে যেখানে সাঁটানো হয়েছে সেই দেয়ালে পোড়া দাগ থাকতো। কিন্তু মসজিদের দেয়ালে সেটি দেখা যায়নি। আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করে এবং এসি খুলে যেটি দেখেছি, আগুনের তাপে মসজিদের ৬টি এসি গলে গিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। আমরা কাজ শুরু করেছি সবে মাত্র ২ দিন পার হয়েছে। আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলবো। মসজিদ কমিটিসহ ঘটনার সময় উপস্থিত মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বলবো।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়,  বিস্ফোরণের পর গ্যাস ডিটেক্টর মেশিন দিয়ে মসজিদের ভেতরে কী পরিমাণ গ্যাস আছে সেটি পরিমাপ করে দেখা গেছে, মসজিদের ভেতরে ১৯ শতাংশ মিথেন গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। যেখানে মাত্র ৪ শতাংশ মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি থাকলে আগুন ধরে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। সেই জায়গায় মসজিদের ভেতরে ১৯ শতাংশ মিথেন গ্যাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এশার নামাজের সময় এ বিস্ফোরণ ঘটে। ফরজ নামাজের মোনাজাত শেষে অনেকে সুন্নত ও অন্য নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জন মুসল্লি ছিলেন। বিস্ফোরণে তাদের প্রায় সবাই দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় ২৪ জন।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top