চলে গেলেন কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী


প্রকাশিত:
২৫ মে ২০২১ ১৭:৫৯

আপডেট:
২৫ মে ২০২১ ১৮:২৮

ছবিঃ কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী

 

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। এ সময় তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন।বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সিডনী থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় প্রভাতফেরী পত্রিকার উপদেষ্টার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ক‌রে‌ছে প্রভাতফেরী পরিবার। 

এক মাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে সোমবার (২৪ মে) রাত ১১টায় মৃত্যুবরণ করেন কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। বাংলা একাডেমির সচিব জানিয়েছেন, শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মঙ্গলবার সকাল ১০টায় হাবীবুল্লাহ সিরাজীর মরদেহ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে নেওয়া হবে। পরে আজিমপুর কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাবীবুল্লাহ সিরাজী কবিতা ও কর্মে মুক্তিযুদ্ধ এবং প্রগতিশীলতাকে তুলে ধরেছেন যা পাঠকমহলে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হন কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী৷ আশির দশকে জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে ভূমিকা রাখা হাবিবুল্লাহ সিরাজী ২০১৬ সালে একুশে পদক পান। তার আগে ১৯৯১ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান৷ তিনি প্রভাতফেরী পত্রিকার একজন অন্যতম উপদেষ্টা। 

হাবীবুল্লাহ সিরাজী কবিতার জন্য ২০১৬ সালে একুশে পদক এবং ১৯৯১ সালে পান বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার। এছাড়া যশোর সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার (১৯৮৭), আলাওল সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৯), বিষ্ণু দে পুরস্কার (২০০৭), রূপসী বাংলা পুরস্কার (২০১০), মহাদিগন্ত পুরস্কারসহ (২০১১) বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।

হাবীবুল্লাহ সিরাজী ৩৩টি কাব্যগ্রন্থ, ১০টি ছড়ার সংকলনসহ লিখেছেন দুটি উপন্যাস, স্মৃতিকথা ও অসংখ্য প্রবন্ধ।

তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো- ‘দাও বৃক্ষ দাও দিন’, ‘মোমশিল্পের ক্ষয়ক্ষতি’, ‘মধ্যরাতে দুলে ওঠে গ্লাশ’, ‘স্বপ্নহীনতার পক্ষে’, ‘আমার একজনই বন্ধু’, ‘পোশাক বদলের পালা’, ‘প্রেমের কবিতা’, ‘কৃষ্ণ কৃপাণ ও অন্যান্য কবিতা’, ‘সিংহদরজা’, ‘জয় বাংলা বলোরে ভাই’, ‘সারিবদ্ধ জ্যোৎস্না’, ‘কতো কাছে জলছত্র’, ‘কতোদূর চেরাপুঞ্জি’ ‘ভুলের কোনো শুদ্ধ বানান নেই’ ইত্যাদি।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top