চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের ১ বছর আজ: ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে সহযোগিতার আবেদন


প্রকাশিত:
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ২৩:০৯

আপডেট:
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:৫৭

আগুনে পুড়ে যাওয়া চুড়িহাট্টার সেই বিল্ডিং (ফাইল ছবি)

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টায় ওয়াহিদ ম্যানশনে ভয়াবহ আগুনে দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ৭১ জন। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনার আজ এক বছর। সেদিন রাত সাড়ে ১০টা। পুরান ঢাকার চকবাজারে ব্যস্ত মানুষ। কেউ দূর দূরান্ত থেকে কেমিক্যাল উপকরণ নিতে এসেছেন এই পাইকারি বাজারে। আবার স্থানীয়দের কেউ বা কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন। তখন হঠাৎ করেই চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনের সামনে বিকট শব্দ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনের লেলিহান শিখায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় ওয়াহেদ ম্যানশনসহ আশপাশের এলাকা। এরপরে আগুন নেভানো পর্যন্ত ঝরে পড়ে ৭১ প্রাণ।

আগুন নেভাতে ব্যস্ত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা (ফাইল ছবি)

এ ঘটনায় নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।তারা বলছেন, পরিবারগুলো এখনও কষ্টে দিনযাপন করছে। গত এক বছরে সরকারের পক্ষ থেকে ভুক্তভোগীদের পরিবারগুলো কোনও সহযোগিতা পায়নি।

ভয়াবহ ওই অগ্নিকান্ডের পর স্বরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস পুরান ঢাকা থেকে সব কেমিক্যাল গুদাম ও দোকান সরানোর ঘোষণা দিয়েছিল। হুমকি দিয়েছিলেন মন্ত্রী-এমপিসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও। তবে ঘটনার এক বছরেও তেমন বদলায়নি পুরান ঢাকার চিত্র। গুটিকয়েক কেমিক্যাল গুদাম সরানো ছাড়া কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এখনো অধিকাংশ গুদাম আগের মতোই আছে, চলছে ব্যবসাও।

মামলার সর্বশেষ অবস্থা

আগুনের ঘটনায় চকবাজারের ওয়াটার ওয়ার্কস রোডের ৩২/৩৩ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মো. আসিফ চকবাজার থানায় একটি অবহেলাজনিত মৃত্যুর মামলা করেন। মামলার এজাহারে আগুনের জন্য ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিকের দুই ছেলে মো. হাসান ও সোহেল ওরফে শহীদসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনের অবহেলাকে দায়ী করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, চারতলা বাড়ির বিভিন্ন ফ্লোরে দাহ্য পদার্থ ছিল। মানুষের জীবনের ঝুঁকি জেনেও অবৈধভাবে রাসায়নিক গুদাম করার জন্য ব্যবসায়ীদের কাছে বাসা ভাড়া দেন তারা।

আগুনে পোড়া একজনের লাশ নিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা (ফাইল ছবি)

মামলার প্রধান দুই আসামি হাসান ও সোহেল ইতোমধ্যে আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। তবে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি নেই এই মামলায়। এ বিষয়ে মামলার বাদী মো. আসিফ আহম্মেদ বলেন, ‘১ বছরেও মামলার কোনো অগ্রগতি নেই, এটা দুঃখজনক।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top