কোরআন ও হাদীসের আলোকে ধৈর্য, তাকওয়া ও সর্বদা ভালো ব্যবহার করা


প্রকাশিত:
২৭ জানুয়ারী ২০২০ ০৪:৫৬

আপডেট:
১৯ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:২২

ছবি: সংগৃহীত

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমাদের কোনো ভালো অবস্থা আসলে তারা কষ্ট পায় আর যদি কোনো খারাপ অবস্থা আসে তাহলে খুশি হয়। তোমরা যদি ধৈর্য ধারণ করো আর তাকওয়া অবলম্বন করো, তবে তাদের ষড়যন্ত্র তোমাদের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। তারা যা কিছু করে আল্লাহ সবকিছুকে পরিবেষ্টন করে রেখেছেন।’ (সুরা আলে ইমরান : ১২০)

শিক্ষা

১. কাফেররা কখনো ঈমানদারদের ভালো অবস্থা সহ্য করতে পারে না। শুধু কাফের নয়, বরং অনেক মন্দ স্বভাবের লোক ঈমানদারদের ভালো অবস্থা দেখতে পারে না। তবে মন্দ অবস্থা আসলে তারা খুব খুশি হয়।

২. কখনো এমন পরিস্থিতির সম্মুখিন হলে সর্বপ্রথম আল্লাহর দরবারে হাজির হওয়া। অন্য আয়াতে এসেছে, যখন কোনো বিপদ বা মুসিবত আসে তখন ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর আশ্রয় গ্রহণ করা।

৩.ধৈর্য ধারণ করলে এবং তাকওয়া অবলম্বন করলে সমস্ত শয়তানি শক্তিও কোনো ক্ষতি করতে পারবে না ইনশাল্লাহ।

৪.দুনিয়ায় আল্লাহ কাফেরদের জন্য ছাড় দিয়েছেন। তারা যেসব অপকর্ম করে আল্লাহ সব কিছুর হিসাব রাখেন। পরকালে প্রতিটি মন্দ কর্মের শাস্তি ভোগ করবে তারা।

সর্বদা ভালো ব্যবহার করা

হজরত হুজাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা অন্যদের দেখাদেখি কাজ করো না। অর্থাৎ, এমন বলো না যে, যদি মানুষ আমাদের সাথে ভালো ব্যবহার করে তবে আমরাও তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করেবো। বরং তোমরা নিজের এই কথার ওপর দৃঢ় থাকো যে, লোকের যদি ভালো ব্যবহার করে তবে তোমরাও ভালো ব্যবহার করবে। আর যদি খারাপ ব্যবহার করে তবুও তোমরা জুলুম করবে না।’ (তিরমিজি : ২০০৭)

শিক্ষা

১. অন্যদের দেখাদেখি কোনো কাজ না করে কোরআন ও হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা চাই।

২. কোরআন-হাদিসের শিক্ষা হলো সবার সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করা।

৩. কেউ মন্দ ব্যবহার করলে প্রতিশোধ গ্রহণ না করে ধৈর্য ধারণ ও সংশোধনের চেষ্টা করা।

৪. কারও সঙ্গে উত্তম ও ভালো ব্যবহার করতে না পারলে অন্তত তার ওপর জুলুম করা থেকে বিরত থাকা।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top