পিএসএলের ফাইনালে তামিমের দল লাহোর কালান্দার্স
প্রকাশিত:
১৬ নভেম্বর ২০২০ ২৩:১৮
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০৮:৩৬

প্রভাত ফেরী: প্রথম এলিমিনেটরে ১০ বলে ১৮ করেছিলেন, জিতেছিল তামিম ইকবালের দল লাহোর কালান্দার্স। দ্বিতীয় এলিমিনেটরে ২০ বলে ৩০ করেছেন, ম্যাচ জিতে ফাইনালে লাহোর। ১৭ নভেম্বরের ফাইনালে তামিমের ব্যাট নিশ্চয়ই মুখর হবে আরও, প্রথমবার ফাইনালে উঠেই শিরোপা জিতবে লাহোর কালান্দার্স। বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ওপেনার পাকিস্তান সুপার লিগে গিয়ে ব্যাটে ঝড়ের আভাস জাগিয়েও পরিনতি দিতে পারছেন না। তবে লাহোরের সৌভাগ্যই হয়তো বয়ে নিয়ে গেছেন!
রবিবার দ্বিতীয় এলিমিনেটরে লাহোর কালান্দার্স ২৫ রানে হারিয়ে দিয়েছে মুলতান সুলতানসকে। লাহোরের ১৮২ রান রান তাড়া করে মুলতান অলআউট ১৫৭ রানে। পঞ্চমবার এসে পিএসএল চিরকাঙ্ক্ষিত ফাইনাল দেখতে চলেছে। ঐতিহ্যবাহী দুই ঘরোয়া প্রতিদ্বন্দ্বী লাহোর ও করাচি মঙ্গলবার করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি পঞ্চম পিএসএলের ফাইনালে।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে যাওয়া লাহোরের হয়ে তামিম দ্বিতীয় এলিমিনেটরে বাঁহাতি পেসার জুনায়েদ খানের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২০ বল থেকে পাঁচটি দৃষ্টিনন্দন চারে করেছেন ৩০ রান। লাহোর ১৮২ রানের মতো বড় স্কোর করতে পেরেছে এক বিদেশি ক্রিকেটারের সৌজন্যে। তিনি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও পরিচিত মুখ, দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার ডেভিড ভিসা। প্রথমে দলের সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেছেন, পরে ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন ফাস্ট মিডিয়াম বোলিংয়ে। সঙ্গে অসাধারণ এক ক্যাচ। রবিবার করাচির রাতটি ছিল আসলে ভিসার। আগের ম্যাচে সতীর্থ মোহাম্মদ হাফিজ তাকে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেতে দেননি, কিন্তু এ ম্যাচে পুরস্কার বঞ্চিত করা সম্ভব ছিল না।
যে লাহোর বড়জোর ১৬০ রান করতে পারতো বলে মনে হয়েছিল, সেই লাহোর তার কারণেই উঠেছে ১৮২ রানের চূড়ায়। শেষ পাঁচ ওভারে ৬৭ রান তুলেছেন সামিত প্যাটেলের সঙ্গ পেয়ে। জুনায়েদের করা ১৯তম ওভারেই নিয়েছেন ২০ রান (২৪৬৪৪০)। শেষ দুটি বল খেলার সুযোগ পেয়ে মেরেছেন জোড়া ছক্কা। ভিসার ২১ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংসটি সাজানো ৫ চার ও ৩ ছক্কায়। বল হাতে প্রতিপক্ষের সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান অ্যাডাম লাইথের উইকেটটিসহ নিয়েছেন ৩ উইকেট, অবিশ্বাস্য ক্যাচিংয়ে ফিরিয়েছেন রাইলি রুশোকে।
১৮২ রান তাড়ায় জিশান আশরাফকে নিয়ে লাইথ দুর্দান্ত সূচনা করেছিলেন। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে মুলতান তুলে নেয় ৬৩ রান, ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৯১। তবে ২৮ বলে ফিফটি করা লাইথকে ভিসা ৮০ রানের মাথায় ফেরাতেই মন্থর হয়ে যায় রানের চাকা। দুই ফাস্ট বোলার শাহীন আফ্রিদি ও হারিস রউফ দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে পান নিজেদের। বড় নির্ভরতা ‘বুড়ো’ শহীদ আফ্রিদিকে ‘গোল্ডেন ডাক’ উপহার দেন হারিস। ১৯তম ওভারে শাহীন পর পর দুই বলে উইকেট নিয়ে মূলতানকে পরিণত করেন ৯ উইকেটে ১৫৫ রানে। মুলতান আর ২ রান যোগ করে শেষ। দুই দলই প্রথমবারের মতো ফাইনালে, সুতরাং পঞ্চম পিএসএল পাচ্ছে নতুন চ্যাম্পিয়ন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: লাহোর- ২০ ওভারে ১৮২/৬ (ভিসা ৪৮*, ফখর ৪৬, তামিম ৩০, সামিত ২৬, আফ্রিদি ২/১৮, ইলিয়াস ১/১৭, লাইথ ১/২২) ও মুলতান- ১৯.১ ওভারে ১৫৭ (লাইথ ৫০, খুশদিল ৩০, মাসুদ ২৭, রুশো ১৮, ভিসা ৩/২৭, হারিস ৩/৩০, দিলবার ২/২৯)।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: