উইম্বলডনের ফাইনালে প্রথম আরব নারী


প্রকাশিত:
৯ জুলাই ২০২২ ০৩:৪৩

আপডেট:
১৬ মার্চ ২০২৫ ১৬:৩৫

প্রথম আরব নারী হিসেবে উইম্বলডন টেনিসের ফাইনালে ওঠেছেন তিউনিসিয়ার উনুস জাবির। ফলে তিনি শিরোপা জয়ের আগেই রেকর্ড করে ফেলেছেন। এবার অবশ্য উইম্বলডন মহিলা বিভাগে নতুন একজন চ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে। জাবিউরকে শিরোপার লড়াইতে নামতে হবে কাজাখস্তানের এলেনা রিবাকিনার। এলেনাও প্রথম কাজাখ নারী হিসেবে উইম্বলডনের ফাইনালে ওঠেছেন।

বৃহস্পতিবার যে দুই খেলোয়াড় ফাইনালে উঠলেন, তাদের কেউই খেতাব জয় তো দূরে থাক, এর আগে কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে ওঠেননি। বৃহস্পতিবার প্রথম সেমিফাইনালে তিউনিসিয়ার উনুস জাবির ৬-২, ৩-৬, ৬-১ গেমে হারান ৩৪ বছরের তাতিয়ানা মারিয়াকে। অন্য সেমিফাইনালে কাজাখস্তানের এলেনা রিবাকিনা ৬-৩, ৬-৩ গেমে উইম্বলডনের সাবেক চ্যাম্পিয়ন সিমোনা হালেপকে হারান।

২০১৯ সালে এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন হালেপ। ২০২০-তে উইম্বলডন হয়নি। ২০২১-এ চোট-আঘাতের কারণেই তিনি খেলেননি উইম্বলডনে। এ বারের প্রতিযোগিতায় শুরু থেকেই তাঁকে ট্রফির দাবিদার মনে করা হচ্ছিল। বিশেষত, গত বারের চ্যাম্পিয়ন ইগা শিয়নটেক ছিটকে যাওয়ায় সেই ধারণা আরো জোরালো হয়। তবে সেমিফাইনালে অখ্যাত খেলোয়াড়ের কাছে যে হালেপের দৌড় শেষ হয়ে যাবে, এটা কেউই ভাবতে পারেননি। এ দিন রিবাকিনার ম্যাচ জিততে মাত্র ৭৫ মিনিট লাগল।

কাজাখস্তানের প্রথম টেনিস খেলোয়াড় হিসাবে কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠলেন রিবাকিনা। ২০১৫-য় গারবিনে মুগুরুজার পর এত কম বয়সে কোনো কেউ মহিলা সিঙ্গলসের ফাইনালে ওঠেননি। ২০১৯-এ বুখারেস্ট এবং ২০২০-তে হোবার্ট বাদে এখনো কোনো ডব্লিউটিএ সিঙ্গলস ট্রফি জেতেননি রিবাকিনা। তবে ফাইনালে উঠেছেন অনেকবার। এ বছর জানুয়ারিতে অ্যাডিলেড ওপেনে হারেন তৎকালীন বিশ্বের এক নম্বর অ্যাশলে বার্টির কাছে।


অন্য দিকে, উইম্বলডনে জাবিরের স্বপ্নের দৌড় অব্যাহত রয়েছে। প্রথম আরব নারী হিসাবে কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যামের সেমিফাইনালে উঠেছিলেন। সেই রেকর্ড আরো উন্নত করে এ বার ফাইনালে পৌঁছে গেলেন। ট্রফি জিতলে নতুন ইতিহাস তৈরি করবেন তিনি।

এই নিয়ে টানা ১১টি ম্যাচ জিতলেন জাবির। শেষ ২৪টি ম্যাচের মধ্যে ২২টি জিতেছেন। ১৯৬৮ সালে পেশাদার টেনিস খেলোয়াড়দের গ্র্যান্ড স্ল্যামের অন্তর্ভুক্তির পর আফ্রিকার কোনো খেলোয়াড় ফাইনালে ওঠেননি। জাবির দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন। ম্যাচের পর বলেছেন, 'তিউনিসিয়ার একজন গর্বিত নারী হিসেবে আজ এখানে দাঁড়িয়েছি। জানি তিউনিসিয়ার লোক এখন পাগলের মতো উচ্ছ্বাস করছে। আশা করি আমার পারফম্যান্সের সাহায্যে আগামী প্রজন্মকে ভালোভাবেই অনুপ্রাণিত করতে পারব। শুধু তিউনিসিয়া নয়, আরব এবং আফ্রিকার অন্যান্য দেশ থেকে আররোটেনিস খেলোয়াড়কে উঠে আসতে দেখতে চাই। নিজের অভিজ্ঞতা ওদের সাথে ভাগ করে নিতে চাই।'


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top