সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১

আত্মহত্যার জন্য তৈরি হলো ‘সুইসাইড মেশিন’!


প্রকাশিত:
২০ এপ্রিল ২০১৮ ১৪:০৯

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৩:৫৯

আত্মহত্যার জন্য তৈরি হলো ‘সুইসাইড মেশিন’!

স্বেচ্ছায় মৃত্যু আইনত স্বীকৃত বলে বিতর্কের কাঠগড়ায় রয়েছে সুইজারল্যান্ড। সেই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করে আবিষ্কৃত হলো স্বেচ্ছায় মৃত্যুর সহায়ক এক অত্যাধুনিক যন্ত্র। যা কোনো কষ্ট ছাড়াই চিরনিদ্রার আবরণে ঢেকে দেবে মৃত্যুপথযাত্রীকে।



জানা যায়, আত্মহত্যার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য বিশেষ এই যন্ত্র আবিষ্কার করেছেন ৭০ বছর বয়সী অস্ট্রেলীয় উদ্ভাবক এবং চিকিৎসক ড. ফিলিপ নিশকে। যন্ত্রটির নাম ‘সার্কো’। তবে সহজভাবে এ যন্ত্রকে বলা হচ্ছে সুইসাইড মেশিন।



 



থ্রি-ডি প্রিন্টারে তৈরি এই যন্ত্রটি স্বেচ্ছামৃত্যুর ধরন পাল্টে দেবে বলে তিনি আশা করেন। এই যন্ত্রের সাহায্য কোনো কষ্ট ছাড়াই একজন মানুষ মৃত্যুবরণ করতে পারবেন। যন্ত্রটি মূলত একটি সেলফ অপারেটেড গ্যাস চেম্বার।



অধ্যাপক নিশকে বলছেন, এর আকার অনেকটা কফিনের মতো। এখানেই শেষ বারের জন্য পাতা হবে মৃত্যু পথযাত্রীর শয্যা। তারপর তাকে ভেতরে রেখে মেশিনের ঢাকনা বন্ধ করে দেয়া হবে। এরপর একটা বোতাম টিপে দিলে মেশিনের ভেতরে ধীরে ধীরে বেরোতে থাকবে তরল নাইট্রোজেন। সেই সঙ্গে মেশিনের ভেতরে থাকা অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাবে ৫ শতাংশ। তার ফলে এক মিনিটের মধ্যেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়বেন ওই ব্যক্তি। পরের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবেন তিনি। তারপর কফিনটি আলাদা করে নেয়া যাবে যন্ত্র থেকে।



তবে কেউ যদি শেষ মুহূর্তে কেউ যদি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন, তার জন্য একটি ইমার্জেন্সি এক্সিট উইন্ডোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। উইন্ডোর গায়ে একটি বোতাম আছে যাতে চাপ দিলে উইন্ডো টি খুলে যাবে এবং ভেতরের ব্যক্তি বের হয়ে আসতে পারবেন।



নিশকে আরো জানিয়েছেন, এই সুইসাইড মেশিনটি তৈরি হয়েছে থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তির সহায়তায়। ফলে তার অনুমতি পেলে পৃথিবীর যে কোনো দেশ তা থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের সাহায্যে তৈরি করতে সক্ষম হবে। তবে তার আগে অনলাইনে পরিবার, স্বেচ্ছামৃত্যুকামী মানুষ এবং তার চিকিৎসককে বুঝে নিতে হবে পুরো পরিচালন পদ্ধতি।



প্রসঙ্গত, ফিলিপ নিৎশকে নিজেকে ‘স্বেচ্ছামৃত্যু এবং ‘যুক্তিযুক্ত আত্মহত্যার’ পক্ষে একজন কর্মী মনে করেন। ‘এক্সিট ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান রয়েছে তার। যেখানে বলা হয় অসুস্থ এবং মৃত্যুপথযাত্রী একজন মানুষের অধিকার রয়েছে নিজের মৃত্যু বেছে নেওয়ার। তিনি মনে করেন, স্বেচ্ছামৃত্যু এবং আত্মহত্যা দুটোই মানুষের অধিকার। এ কারণেই সার্কো তৈরি করেছেন তিনি।



 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top