সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ আর নেই


প্রকাশিত:
২৭ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:৫৮

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৪৩

সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ আর নেই

পরিবেশ সাংবাদিকতার আইকন হিসেবে খ্যাত প্রথিতযশা প্রবীণ সাংবাদিক লেখক মাহফুজ উল্লাহ আর বেঁচে নেই। থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (শনিবার) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।(ইন্না লিল্লাহিরজিউন) প্রখ্যাত এই সাংবাদিক হৃদরোগ, কিডনি উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন।



 



 



গত এপ্রিল সকালে ধানমন্ডির গ্রিন রোডে নিজ বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। রে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত ১০ এপ্রিল মাহফুজ উল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নেওয়া হয়।



 



উল্লেখ্য, মাহফুজ উল্লাহ দেশের একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক। ছাত্রজীবনে বাম রাজনীতি করা মাহফুজ উল্লাহ ষাটের দশকে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। তিনি সাংবাদিকতা ছাড়াও খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। সর্বশেষ তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা গণযোগাযোগ বিভাগে শিক্ষকতায় নিয়োজিত ছিলেন।



 



মাহফুজ উল্লাহ ১৯৫০ সালের ১০ মার্চ নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যা সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী হিসেবে ঊনসত্তরের ১১ দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ছাত্র রাজনীতির কারণে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনামলে তাকে ঢাকা কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতিও ছিলেন। তবে পরবর্তী সময়ে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক হিসেবে পরিচিতি পান।



 



ছাত্রাবস্থাতেই মাহফুজ উল্লাহ সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। দেশের একসময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাপ্তাহিক বিচিত্রার জন্মলগ্ন থেকেই তিনি জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় বাংলা ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেছেন তিনি। রেডিও টেলিভিশনে অনুষ্ঠান উপস্থাপনাও করেছেন। মাহফুজ উল্লাহ আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত একজন সক্রিয় পরিবেশবিদ এবং বাংলাদেশে তিনিই প্রথম পরিবেশ সাংবাদিকতা শুরু করেন।



 



বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ইংরেজি ভাষায় লেখা তার বইয়ের সংখ্যা ৫০-এর অধিক এবং এসবের অধিকাংশই পৃথিবীর বিভিন্ন নেতৃস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে সংগৃহীত আছে। গত বছর বিএনপি চেয়ারপারসনের ওপর তার লেখাহার লাইফ হার স্টোরিবেশ সাড়া ফেলে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top