সিডনী শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ই আশ্বিন ১৪৩১

ম্যাক্সিমাসের সাথে কো-ব্র্যান্ডেড স্মার্টফোন নিয়ে এলো গ্রামীণফোন


প্রকাশিত:
৬ মে ২০১৯ ০৩:১০

আপডেট:
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৩৬

ম্যাক্সিমাসের সাথে কো-ব্র্যান্ডেড স্মার্টফোন নিয়ে এলো গ্রামীণফোন

গ্রাহকদের মাঝে ফোরজিকে আরও সহজলভ্য করে তুলতে ম্যাক্সিমাসের সাথে যেীথ উদ্যোগে বাংলাদেশের বাজারে কো-ব্র্যান্ডেড হ্যান্ডসেট ‘ম্যাক্সিমাস পি৭ প্লাস’ নিয়ে এলো গ্রামীণফোন।



ফোরজি সমর্থনযোগ্য স্মার্টফোনটিতে রয়েছে অসাধারণ রেজ্যুলেশনের বড় ডিসপ্লে, যা ক্রিকেট ফ্যানদের আসন্ন বিশ্বকাপের খেলা উপভোগের সুযোগ করে দিবে।  আজ জিপি হাউজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্মার্টফোনটির উন্মোচন করা হয়।  



অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান, হেড অব অপারেশনস সাজ্জাদ হাসিব এবং বাংলাদেশে ম্যাক্সিমাসের সহযোগি প্রতিষ্ঠান ইউনিয়ন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুল কবির। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় শিল্পী তাহসান রহমান খান ও গ্রামীণফোনের হেড অব ডিভাইস সরদার শওকত আলী। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোন ও ম্যাক্সিমাসের ঊর্ধ্বতন অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।



অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও এবং সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন্, ‘  ডিজিটাল বাংলাদেশ সুবিধা উপভোগ করার  পূর্বশর্তই হলো সাশ্রয়ী মূধ্যে মানসম্পত মোবাইল হ্যান্ডসেট গ্রাহকদের কাছে থাকা। বাংলাদেশের সব প্রান্তে সবার কাছে ইন্টারনেট সেবা পৈীছে দিতে গ্রামীণফোন উচ্চগতির ডেটা নেটওয়ার্ক তৈরি করছে। গ্রামীণফোন ম্যাক্সিমাসের সাথে  মানসম্পন্ন ও সাশ্রয়ী হ্যান্ডসেট নিয়ে এসেছে। আমাদের বিশ্বাস, গ্রামীণফোনের কো-ব্র্যান্ডেড ম্যাক্সিমাস পি৭ প্লাস স্মার্টফোন গ্রাহকদের ফোরজি নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এবং দেশব্যাপী ডিজিটাল জীবনধারা উপভোগ করতে সহায়তা করবে।"



ইউনিয়ন গ্রুপের (ম্যাক্সিমাস মোবাইলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক রকিবুল কবির বলেন, ‘গ্রামীণফোন ও ম্যাক্সিমাস উভয়ই একই কোর ভ্যালু নিয়ে করে, আমরা সবসময় গ্রাহককেন্দ্রিক চাহিদাকে প্রাধান্য দেই। ক্রেতা সুবিধা বিবেচনায়, আমরা দামের তুলনায় সর্বোত্তম কনফিগারেশনের পণ্যই নিয়ে আসছি। এছাড়াও, সর্বোত্তম গ্রাহক অভিজ্ঞতা নিশ্চিতে শুধুমাত্র ম্যাক্সিমাস পি৭ প্লাসের জন্য আমরা দিচ্ছি ১৫ দিনের ইএলএফ (আর্লি লাইফ ফেইলার) রিপ্লেসমেন্ট ওয়্যারেন্টি। এখন ক্রেতারা দেশব্যাপী ৬৪ জেলায় আমাদের সার্ভিস সেন্টার থেকে বিক্রয় পরবর্তী সেবা নিতে পারবেন।’



গ্রামীণফোন কো-ব্র্যান্ডেড ম্যাক্সিমাস পি৭ প্লাস হ্যান্ডসেটটিতে রয়েছে ৫.৪ ইঞ্চির বড় স্ক্রিন যার অ্যাসপেক্ট রেশিও ১৮:৯ এবং আসছে ক্রিকেট বিশ্বকাপের খেলাগুলো উপভোগে ফোনটিতে রয়েছে আল্ট্রা-ক্লিয়ার ফুলভিউ এইচডি প্লাস আইপিএস ইনফিনিটি ডিসপ্লে। এছাড়াও, ১.৩ গিগাহার্টজ কোয়াড প্রসেসরের এ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ১ জিবি র‍্যাম, ৮ জিবি রম এবং ২৫০০ এমএএইচ লি-আয়ন ব্যাটারি, অ্যান্ড্রয়েড ৮.১ (গো এডিশন) এবং ডুয়াল জেনন ফ্লাশ সহ সামনে-পেছনে ৫ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা। এ ফোরজি স্মার্টফোনটিতে সকল ফোরজি নেটওয়ার্ক ব্যান্ড কাজ করবে। দারুণ আকর্ষণীয় ও সাশ্রয়ী এ স্মার্টফোনটির বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪,৯০০ টাকা। যাদের সবসময় ব্যস্ততা ও ছোটাছুটির মধ্যে কাটাতে হয় তাদের জন্য বিশেষভাবে উপযুক্ত এ স্মার্টফোনটিতে আরও রয়েছে ওটিজি ফিচার।



এছাড়াও, গ্রামীণফোনের সফল অংশীদারিত্বের ফলে হ্যান্ডসেটটি ক্রয়ে থাকছে বিনামূল্যে ৮জিবি ফোরজি ইন্টারনেট (৭ দিনের মেয়াদে)। এ অফারের বাইরেও, ক্রেতারা ৭ দিনের মেয়াদে ২জিবি (১জিবি+১জিবি ফোরজি) ইন্টারনেট ডাটা প্যাক কিনতে পারবেন মাত্র ২৪ টাকায়। ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২ বার আকর্ষণীয় এ অফার গ্রহণ করতে পারবেন ক্রেতারা। প্রতিমাসে এই অফারটি গ্রাহকরা দুইবার কিনতে পারবেন। । এছাড়াও, দেশের টেলিযোগাযোগখাতে গ্রামীণফোন প্রথমবারের মতো নিয়ে এসেছে জিপি বান্ডল অফার অপট-ইন সুবিধার জন্য  কিউআর কোড।



দেশব্যাপী গ্রামীণফোনের সেলস চ্যানেলে এ হ্যান্ডসেটটি পাওয়া যাবে।



বিস্তারিত অনুসন্ধানের জন্য যোগাযোগ করুন:



মো. হাসান, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার-পিআর। ফোন: ০১৭১১০৮২৪৬৯



 



গ্রামীণফোন লি.



টেলিনর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন গ্রামীণফোন ৭৪ মিলিয়ন এরও অধিক গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশের অগ্রণী টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করার পর দেশব্যাপী সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে গ্রামীণফোন যার মাধ্যমে দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ সেবা গ্রহণ করতে পারে। ব্র্যান্ড প্রতিজ্ঞা ‘‘চলো বহুদূর’’ এর আওতায় গ্রামীণফোন, গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম মোবাইল ডাটা, ভয়েস সেবা এবং সবার জন্য ইন্টারনেট প্রদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গ্রামীণফোন ঢাকা ও স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত। www.grameenphone.com: www.facebook.com/grameenphone>."



 



ম্যাক্সিমাস মোবাইল:



 



২০০৮ সালের ১ অক্টোবর দেশের প্রথম মোবাইল ডিভাইস ব্র্যান্ড হিসেবে ম্যাক্সিমাসের যাত্রা শুরু। ম্যাক্সিমাসের লক্ষ্য দেশের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে অত্যাধুনিক মোবাইল ফোন প্রযুক্তি তৈরি করা। চীন, হংকং ও বাংলাদেশভিত্তিক ম্যাক্সিমাসের নিবেদিত কর্মীরা ম্যাক্সিমাসের ব্র্যান্ড প্রতিজ্ঞার সাথে সামঞ্জস্য রেখে মোবাইল ডিভাইসের মানোন্নয়ন ও সাপ্লাই কোয়ালিটি নিশ্চিত করছে।   



২০১৪ সালে মিয়ানমারে নিজেদের কার্যক্রম শুরু করে ম্যাক্সিমাস। ২০১৪ সালের শেষ হওয়ার আগেই, মাক্সিমাস এর মানসম্পন্ন ডিভাইস সেবার মাধ্যমে ১ কোটির বেশি ক্রেতাকে সন্তুষ্ট করেছে এবং ক্রেতাদের পছন্দের কারণে ফোন বিক্রির দিক দিয়ে নিজেদের দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটির শক্তিশালী ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কে রয়েছে ৬ হাজারের বেশি রিটেইল আউটলেট, ৩৩টি সার্ভিস সেন্টার এবং ৫১টি কালেকশন পয়েন্ট, যা ধারাবাহিকভাবে ক্রেতাদের মানসম্পন্ন গ্রাহকসেবাদান করে আসছে।



 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top