জানুয়ারিতে ফাইভ-জির তরঙ্গ বরাদ্দের পরিকল্পনা
প্রকাশিত:
৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২৩:০৬
আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ০২:৫৯

প্রভাত ফেরী ডেস্ক: দেশে পঞ্চম প্রজন্মের মুঠোফোন সেবা ফাইভ-জি চালুর লক্ষ্যে প্রস্তুতি চলছে। এটি চালু হলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ফাইভ-জির তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়া হবে বলে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে ফাইভ-জির একটি পূর্ণাঙ্গ গাইড লাইন তৈরি করা হবে এবং আগামী বছরের জানুয়ারিতেই তা শেষ করা হবে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী ২০২১-২৩ সালের মধ্যে দেশে ফাইভ-জি সেবা দিতে পরিকল্পনা ও নীতিমালা প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ফাইভ-জি প্রযুক্তি প্রবর্তনের লক্ষ্যে আগামী বছরের জানুয়ারি নাগাদ একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবনা এবং পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণয়ন করবে।
বিটিআরসি জানিয়েছে, বর্তমান সরকারের নির্বাচনি ইশতেহার-২০১৮-এর লক্ষ্য ও পরিকল্পনায় ‘২০২১-২৩ সালের মধ্যে ফাইভ-জি চালু করা হবে’ মর্মে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। নির্বাচনি ইশতেহারের লক্ষ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান বিকাশের ধারাবাহিকতায় সরকার শিগগিরই ফাইভ-জি সেবা প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কমিশন জানিয়েছে, বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়া, আয়ারল্যান্ড, স্পেন, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে ফাইভ-জি প্রযুক্তির লাইসেন্স দেওয়া করা হয়েছে। প্রতিটি দেশেই অপারেটরকে ৩৩০০-৪২০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে প্রায় ১০০ মেগাহার্টজ এবং মিলিমিটার ওয়েভের জন্য ২৬-২৮ গিগাহার্টজ বা তদূর্ধ্ব ব্যান্ডে ৮০০ মেগাহার্জ তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু দেশ ২.৫ গিগাহার্জ (২৫০০-২৬৯০ মেগাহার্জ) ব্যান্ডে ফাইভ-জির জন্য তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ফাইভ-জি প্রযুক্তির জন্য শুধুমাত্র তরঙ্গের প্রাপ্যতাই যথেষ্ট নয় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো প্রস্তুত থাকা আবশ্যক। উন্নত দেশে ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো প্রস্তুত থাকায় তারা এই প্রযুক্তি চালু করার ক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সমসাময়িক সময়ে ফাইভ-জি প্রযুক্তি প্রবর্তনে কমিশন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: