সিডনী শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


আগামী বিশ্বকাপ অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে: মাশরাফি


প্রকাশিত:
২৮ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৩০

আপডেট:
১৭ মে ২০২৪ ১৬:৩১

আগামী বিশ্বকাপ অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে: মাশরাফি

ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসে আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপ অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে মনে করেন সীমিত ওভারে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব করা মাশরাফি বিন মর্তুজা। সদ্যই ২০১৯ বিশ্বকাপের সময়সূচী প্রকাশ করেছে ক্রিকেটের প্রধান সংস্থা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ঐ সূচির পরই বিশ্বকাপ নিয়ে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন ম্যাশ। ইংল্যান্ডের মাটিতে আসন্ন বিশ্বকাপে ভালো ফল করার ব্যাপারে আশাবাদি মাশরাফি। 



 



১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের সূচির মতই কার্বনকপি আসন্ন টুর্নামেন্টটি। অংশ নেয়া ১০টি দলই একে অপরের বিপক্ষে খেলবে। লিগ পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চার দল সুযোগ পাবে সেমিফাইনাল খেলার। সেমির লড়াই জিতে শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে লড়বে সেরা দু’দল।



 



৩০ মে ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ১২তম বিশ্বকাপের পথচলা। ১৪ জুলাই লর্ডসে ফাইনাল দিয়ে শেষ হবে বিশ্বকাপ। ২ জুন ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ১২তম ওয়ানডে বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ। 



 



আসন্ন বিশ্বকাপের ফরম্যাটটি পুরনো হলেও বাংলাদেশের কাছে তা নতুন। কারন বিশ্বকাপের এক আসরে অংশ নেয়া সব দলের বিপক্ষে লিগ পর্বে খেলার অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের। তাই নতুন ফরম্যাট নিয়ে বেশ উচ্ছসিত বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘ফরম্যাটের কারণেই বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বিশ্বকাপ হবে ১২তম আসরটি। আমার মতে, এই প্রথমবার দশটি দলই নিজেদেরকে শেষ চারে দেখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করবে এবং নির্দিষ্ট দিনে যে কোন দল যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারে।’



 



আইসিসির ইভেন্টে বাংলাদেশের সুখস্মৃতি রয়েছে। গেল আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলেছিলো বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত শেষ চারের লড়াইয়ে ভারতের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় তারা। এছাড়া ভালো প্রস্তুতি থাকলে আগামী বছরের বিশ্বকাপে ভালো পারফরমেন্স করার ব্যাপারে আশাবাদি মাশরাফি। 



 



তিনি বলেন, ‘ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসে আমাদের দারুন কিছু স্মৃতি রয়েছে। ইংল্যান্ডের মাটিতে পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডকে হারানো বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের সেরা মূহূর্ত। এছাড়া গেল বছর আমরা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালেও খেলেছিলাম এবং সেটি আমাদের উৎসাহ ও অনুপ্রেরনা দিবে।’ 



 



ইংল্যান্ডের কন্ডিশন নিয়েও কথা বলেছেন মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘সেখানকার কন্ডিশনের ব্যাপারে আমাদের ভালো ধারনা রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের বড় একটি কমিউনিটি রয়েছে যারা জাতীয় ক্রিকেট দলকে সমর্থন যোগাবে ও উৎসাহ দিবে এবং আমরা সেখানে খেলে সবসময়ই আনন্দ পাই। ভালো সুযোগ-সুবিধা থাকার কারনে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুতিও নিতে পারি। আমি আত্মবিশ্বাসী, আমাদের প্রতিপক্ষ দলগুলোকে আগামী বিশ্বকাপে ভালো চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবো।’



 



দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের মিশন শুরুর পর ৫ জুন নিউজিল্যান্ড, ৮ জুন ইংল্যান্ড, ১১ জুন শ্রীলঙ্কা, ১৭ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০ জুন অস্ট্রেলিয়া, ২৪ জুন আফগানিস্তান, ২ জুলাই ভারত এবং ৫ জুলাই পাকিস্তানের বিপক্ষে লিগ পর্বে খেলবে বাংলাদেশ। 



 



১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মত ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। এরপরের সবগুলো বিশ্বকাপই খেলেছে টাইগাররা। এখন পর্যন্ত ৩২টি ম্যাচে ১১টি জয়, ২০টি হার ও ১টি পরিত্যক্ত ম্যাচের স্বাদ নেয় বাংলাদেশ। পাঁচবার বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে নিজেদের সেরা অর্জন গেল বিশ্বকাপেই পায় বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে হওয়া বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলে মাশরাফির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বাসস।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top