সিডনী শুক্রবার, ১৭ই মে ২০২৪, ৩রা জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১


ইংল্যান্ডের হার!


প্রকাশিত:
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:০৬

আপডেট:
১৭ মে ২০২৪ ১৪:৪৩

 

আন্দ্রে রাসেলের চূড়ান্ত অফ-ফর্মের দিনেও ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বৃহস্পতিবার ব্র্যান্ডন কিংয়ের দুর্দান্ত ইনিংস এবং আকিল হোসেনদের দারুণ বোলিংয়ের সুবাদে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১০ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেন ক্যারিবিয়ানরা। এই জয়ের সুবাদে ২০১৪ সালের পরে ফের পুরুষদের কোনো দ্বিপক্ষীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটি ম্যাচেই জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

নয় বছর আগে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেষবার সেই কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন ক্যারিবিয়ানরা। আর দল হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যখন নজির গড়েছে, তখন চার ওভারে ৬৬ রান খরচ করে ভয়াবহ লজ্জার মুখে পড়েছেন রাসেল। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে কোনো বোলার এত রান হজম করেননি। তিনি গত মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিজের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারে সবথেকে ভালো বোলিং করেছিলেন (বোলিং ফিগারের নিরিখে)। চার ওভারে ১৯ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছিলেন রাসেল।

তবে শেষপর্যন্ত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতে যাওয়ায় রাসেলের ‘সাত খুন’ মাফ হয়ে গিয়েছে। আর সেজন্য কিং, আকিল, জেসন হোল্ডার, আজদারি জোসেফদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) ক্রিকেটারের। কারণ বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময়) টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ক্যারিবিয়ানরা যে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৭৬ রান তোলেন, সেটার বড় কৃতিত্ব প্রাপ্য কিংয়ের। একদিক থেকে পরপর উইকেট হারালেও ৫২ বলে অপরাজিত ৮২ রান করেন ক্যারিবিয়ান ওপেনার।

তাঁকে যোগ্যসংগত করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। ৮.২ ওভারে ৫৪ রানে চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে তাদের জুটিতে ৪৬ বলে ৮০ রান ওঠে। ২৮ বলে ৫০ রান করেন পাওয়েল (তিনটি চার এবং পাঁচটি ছক্কা, স্ট্রাইক রেট ১৭৮.৫৭)। তিনি আউট হওয়ার পরে ক্যারিবিয়ানরা ফের হোঁচট খেলেও অপরাজিত থেকে দলকে ১৭০ রানের গণ্ডি পার করিয়ে দেন কিং। রাসেল আহামরি কিছু করতে পারেননি। ১০ বলে ১৪ রান করে আউট হয়ে যান। অন্যদিকে ইংল্যান্ডের হয়ে দুর্দান্ত বোলিং করেন আদিল রশিদ। চার ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন তারকা স্পিনার। দুটি উইকেট পান টিমাল মিলস। একটি করে উইকেট নেন ক্রিস ওকস, স্যাম কারান ও রেহান আহমেদ।

তবে রশিদের দুর্দান্ত বোলিং দেখেও অনুপ্রাণিত হতে পারেনি ইংল্যান্ডের ব্যাটিং। বরং তৃতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান অধিনায়ক বাটলার। অব্যাহত থাকে তাঁর অফ-ফর্ম। তারপর ফিল সল্ট ও জনি বেয়ারস্টোর মধ্যে জুটি গড়ে ওঠে। কিন্তু ৭.৪ ওভারে দলগত ৫৫ রানে সল্ট আউট হওয়ার পরে কোনও জুটিই গড়ে তুলতে পারছিল না ইংল্যান্ড। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকেন ইংরেজরা।

একা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা কারান। ৩২ বলে ৫০ রান করেন। ১৮ তম ওভারের প্রথম বলে তিনি আউট হওয়ার পরে মোটামুটি ইংল্যান্ডের ভবিতব্য স্পষ্ট হয়ে যায়। কারণ সেইসময় জয়ের জন্য ১৭ বলে ৪৩ রান দরকার ছিল। তাও চেষ্টা করেন মইন আলিরা। কিন্তু তাদের যাবতীয় আশা শেষ করেন জেসন হোল্ডার। তিনি ১৯ তম ওভারে মাত্র তিন রান দেন। এই দুর্ধর্ষ ওভারের কারণে ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৬৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি ইংল্যান্ড।

ক্যারিবিয়ানদের হয়ে তিনটি উইকেট পান জোসেফ। চার ওভারে দেন ৩৯ রান। অন্যদিকে, চার ওভারে ২৪ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন আকিল। চার ওভারে ২৭ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন হোল্ডার। আর রাসেলের চার ওভারে ৬৬ রানের বোলিং ফিগারের দিনে চার ওভারে মাত্র নয় রান উইকেট দিয়ে একটি উইকেট তুলে নেন গুদাকেশ। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন কিং।

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top