সিডনী শনিবার, ৫ই অক্টোবর ২০২৪, ২০শে আশ্বিন ১৪৩১


অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশি সফল কাউন্সিলর মোহাম্মদ জামান টিটুর সাফল্যের গল্প


প্রকাশিত:
৩ এপ্রিল ২০২০ ২৩:০৬

আপডেট:
৪ এপ্রিল ২০২০ ০১:১৩

মোহাম্মদ জামান টিটু

প্রভাত ফেরী: সিডনিতে লাকেম্বা শহরে বসবাসের সময় চিন্তা করতেন নিজের কমিউনিটির জন্য কিছু করার। কাজ করতেন  অপেরা বার রেস্টুরেন্টে হেড শেফ হিসেবে আর রাতে আড্ডা দিতেন লাকেম্বা শহরে বসবাসরত বাংলাদেশীদের সঙ্গে। বলছি অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশি সফল কাউন্সিলর মোহাম্মদ জামান টিটুর কথা।

শুরু থেকেই তার স্বপ্ন ছিলো অস্ট্রেলিয়ার মূল ধারার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে নিজের কমিউনিটিকে সাহায্য করা। আর এই মোহাম্মদ জামান গত অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল নির্বাচনে সরকারদলীয় লিবারেল পার্টি থেকে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাঁর এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন তাঁকে একজন তরুণ এবং পরিশ্রমী নেতা হিসেবে গত নির্বাচনে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করে দিয়েছেন। কিন্তু বিপুল ভোটে নিজের অবস্থান শক্ত করলেও বিরোধী দলের অত্যন্ত দক্ষ এবং তৎকালীন লেবর পার্টির ডেপুটি লিডার এবং সাবেক ইমিগ্রেশন মিনিস্টার টনি বার্কের কাছে হেরে যান মোহাম্মাদ জামান টিটু। তিনি একই ইলেক্টোরেট থেকে ২০১৬ সালে ফেডারেল ইলেকশনে অংশগ্রহণ করেন। বাংলা ভাষাভাষী মানুষের একটি বড় অংশের বসবাস এই ইলেক্টোরেটে |

কাউন্সিলর মোহাম্মদ জামান পুরো বাংলাদেশ কমিউনিটিতে টিটু ভাই হিসেবে পরিচিত। অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের সিডনি রাজ্যের ব্যাংকটাউনস এবং কেন্টারবুরি সিটি কাউন্সিল থেকে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেছিলেন মোহাম্মদ জামান। অত্যন্ত হাসিমাখা এই সাদা মনের তরুণ মানুষটি কাজ করে যাচ্ছেন সিডনির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। বিভিন্ন সময় এই মানুষটি অন্য দেশি কমিউনিটির প্রতিহিংসার পরিণীত হয়েছিলেন |

সিডনির বাংলাদেশি অধ্যুষিত কেন্টারবেরি-ব্যাংকসটাউন কাউন্সিলের জনপ্রিয় কাউন্সিলর শাহে জামান টিটু সম্প্রতি পদত্যাগ করছেন। এই পরোপকারী সাদা মনের মানুষটি কিছুদিন পূর্বে মেয়াদ উত্তীর্ন হওয়ার আগেই পদত্যাগ করেন। জানা যায় ব্যবসায়িক ভাবে প্রতারনার শিকার হয়ে তাকে দেওলিয়া হতে হয়, যার কারনে তাকে অস্ট্রেলিয়ার নিয়ম অনুসারে পদত্যাগ করতে হয়। তার পদত্যাগে সিডনি কমিউনিটির অনেক বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ানরা দুঃখ প্রকাশ করেন। তাদের অনেকেই ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ফেইসবুকে তার বিভিন্ন অবদানের সাথে সাথে সিডনিতে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে তার ভূমিকার প্রশংসা করেন। অষ্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বেশী বাংলাদেশী অধ্যুষিত ক্যান্টাবারী ব্যাংকস টাউন এলাকায় ইতিহাসে সর্ব প্রথম যে দুইজন বাংলাদেশী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন তাদের একজন। তিনি ক্ষমতাসিন লিবারেল পার্টির বাংলাদেশীদের মধ্যে সর্বোচ্চ পদে আছেন।

প্রসঙ্গত অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরতলিতে অবস্থিত কেন্টারবেরি-ব্যাংকসটাউন কাউন্সিলে কয়েক হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন। এর আগে সিটি কাউন্সিল, অঙ্গরাজ্য সংসদ বা ফেডারেল পার্লামেন্টে কোথাও বাংলাদেশিদের প্রতিনিধিত্ব ছিল না।  একজন পরোপকারী, দানশীল ও সমাজসেবক হিসেবেই তার পরিচিতি। সিডনিতে বাংলাদেশীদের যে কোন প্রয়োজনে বা আয়োজকদের কাছে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে যার নামটি বারবার উচ্চারিত হয় তিনি হলেন মোহাম্মদ শাহে জামান টিটু। তিনি অস্ট্রেলিয়ার রাজ্য ও ফেডারেল সরকারের কাছে  কমিউনিটির বিভিন্ন দাবি দাওয়া আদায়ে মূখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন।

পারিবারিক জীবনে মোহাম্মদ জামান টিটু দুই সন্তানের বাবা।

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top