সিডনী শনিবার, ২৭শে এপ্রিল ২০২৪, ১৪ই বৈশাখ ১৪৩১

সিন্ডিকেটের ফাঁদে চামড়া শিল্পঃ মূল্যহীন হচ্ছে মূল্যবান চামড়া


প্রকাশিত:
৩ আগস্ট ২০২০ ০১:৪০

আপডেট:
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ০৬:১৪

 

প্রভাতফেরীঃ দেশের বাজারে চামড়াজাত পণ্যের দাম বাড়লেও প্রতিবছরই কমছে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম। গত সাত বছরে চামড়া দাম অর্ধেকেরও বেশি কমেছে। কোরাবনি ঈদের আগে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চামড়া্র দাম কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করে দেয়। 

এ বছর ট্যানারি ব্যবসায়ীরা ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে এর ২৮ থেকে ৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিলো।রাজধানীর বাইরে দেশের অন্যান্য জায়গায় দাম ধরা হয়েছিল প্রতি বর্গফুট ২৮-৩২ টাকা। ছাগলের চামড়ার দাম ধরা হয়েছিল প্রতি বর্গফুট ২৮-৩২ টাকা। রাজধানীর বাইরে দেশের অন্যান্য জায়গায় দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল প্রতি বর্গফুট ২৮-৩২ টাকা। ছাগলের চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল প্রতি বর্গফুট ২৮-৩২ টাকা। 

ঈদের তিনদিন আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চামড়ার দরপতন ঠেকাতে কাঁচা ও ওয়েট-ব্লু চামড়া রপ্তানির অনুমতি দিলেও অনেক জায়গায়ই সরকার নির্ধারিত দামও দিতে চাইছিলেন না চামড়া ব্যবসায়ীরা। পশুর চামড়া দেখার পর তারা ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করেন। নিম্ম দরের কারণে কারও মধ্যেই কোনো দরকষাকষি ছিল না।

এছাড়া কুরবানী দেয়া পশুর প্রায় অর্ধেক ছাগল। তবে এই ছাগলের চামড়ার দর মেলেনি। এ অবস্থায় অনেক বিক্রেতা আড়তে ও ট্যানারি মালিকদের চামড়া ফ্রি দিয়ে এসেছেন। আবার কোনো কোনো আড়তদার নাম মাত্র মূল্য দিয়ে চামড়া নিয়েছেন। ছাগলের চামড়ার দাম না পেয়ে অনেকে নদীতে ফেলে দিচ্ছেন। এবারও গরুর চামড়ার দর বিপর্যয়ের কারণে ছাগলের চামড়ার করুণ পরিণতি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top