বর্তমান বাজার দর বিবেচনায় চা শ্রমিকদের মজুরি ৬৭০ টাকা নির্ধারণের দাবি
 প্রকাশিত: 
 ২৫ জুন ২০২১ ২১:০০
 আপডেট:
 ৪ নভেম্বর ২০২৫ ২১:২৪
                                
প্রভাত ফেরী: বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাবিবউল্লা বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে, চা শ্রমিকদের দৈনিক ১১৭ টাকা নিম্নতম মজুরির সুপারিশ বাতিল করে বর্তমান বাজারদরে ৬/৭ জনের পরিবারের খরচ বিবেচনায় দৈনিক ন্যূনতম বর্তমান বাজারদরে মজুরি ৬৭০ টাকা নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘চা শিল্পের ১৬৭ বছরের ইতিহাসেও চা শ্রমিকদের মজুরি ১৬৭ টাকাও হয়নি। অথচ শ্রমিকদের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের ফলশ্রুতিতে চা উৎপাদনে বাংলাদেশ ৯ম স্থানে উঠে এসেছে।’
তারা বলেন, ‘এমনকি করোনাকালে বিভিন্ন শিল্পের শ্রমিকরা ছুটি এবং নানা রকম প্রণোদনা পেলেও চা শ্রমিকরা উৎপাদনে সক্রিয় থাকায় ২০২০ সালেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার কেজি চা উৎপাদন বেশি হয়। অথচ সরকারের নিম্নতম মজুরি বোর্ড ১১ বছরের বেশি সময় পর গত ১৩ জুন চা বাগান শিল্প সেক্টরে শ্রমিকদের জন্য ‘এ’ ক্লাস বাগানে দৈনিক ১২০ টাকা, ‘বি’ ও ‘সি’ ক্লাস বাগানে যথাক্রমে ১১৮ টাকা ও ১১৭ টাকা মজুরির প্রস্তাব করে বিভিন্ন সুপারিশ গেজেট আকারে প্রকাশ করেন। নিম্নস্তরে মজুরি বোর্ড কর্তৃক ঘোষিত ৪৩টি সেক্টরে এবং মজুরি কমিশন ঘোষিত রাষ্ট্রায়াত্ব শিল্প সেক্টরের মজুরির সঙ্গে তুলনা করলে চা-শ্রমিকদের মজুরি অত্যন্ত কম।’
‘উপরন্তু মজুরি বোর্ড তাদের সুপারিশে চা শিল্পের প্রচলিত প্রথা দ্বি-বার্ষিক চুক্তিকে আগামীতে ত্রি-বার্ষিক করার সুপারিশ করেছে। বিস্ময়কর বিষয় যে, ঠিকা শ্রমিকরা যেখানে বর্তমানে ১২০ টাকা মজুরি পাচ্ছেন সেখানে মজুরি বোর্ড প্রস্তাব করেছে ১১০ টাকা। বাংলাদেশ শ্রমআইন-২০০৬ এর ৫৮ ধারায় বিশুদ্ধ পানীয়র কথা বলা হলেও মজুরি বোর্ড শ্রমিকদের পানীয়র জন্য কুয়ার ব্যবস্থা, শ্রম আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিকভাবে গ্র্যাচুইটি ও কোম্পানীর লভ্যাংশ হতে শ্রমিকদের বঞ্চিত করার মতো সুপারিশও করেছে।’
তারা বলেন, ‘একজন শ্রমিকের দৈনিক পরিশ্রমের পর পরবর্তী দিন কাজে যোগদানের জন্য শক্তি সঞ্চয়ের প্রয়োজনে দৈনিক তিনবেলা অতি সাধারণভাবে আহারের জন্য ১০০ (২০+৪০+৪০) টাকা দিলেও পেট ভরে না। তাই স্ত্রী-পুত্র-কন্যাসহ মা-বাবাকে নিয়ে ৬ সদস্যের এক পরিবারের জন্য দৈনিক ন্যূনতম ৬০০ টাকা দরকার। এর সঙ্গে অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচযুক্ত করলে মাসিক ২০ হাজার টাকা ছাড়া কোনোভাবেই বর্তমান অগ্নিমূল্যের বাজারে চলা সম্ভব নয়। তদুপরি প্রতিবেশি দেশসমূহের চা শ্রমিকদের মজুরির সঙ্গে তুলনা করলে আমাদের দেশের চা-শ্রমিকদের মজুরি অত্যন্ত কম।’
বিষয়:

                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: