সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সহায়তা
প্রকাশিত:
২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১১:২৬
আপডেট:
২৯ নভেম্বর ২০২৪ ১১:৫০
বাংলাদেশ ব্যাংক নগদ সংকটে থাকা বেশ কয়েকটি ব্যাংককে ২২,৫০০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে বলে ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন গভর্নর ড. আহসান মনসুর। বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দপ্তরের জাহাঙ্গীর আলম সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এই পদক্ষেপের যুক্তি ব্যাখ্যা করেন।
ড. মনসুর স্বীকার করেন যে ব্যাংকিং খাতে নগদ সরবরাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক অস্থায়ীভাবে অর্থ ছাপানোর নীতি থেকে সরে এসেছে।
তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ব্যাংকিং খাত স্থিতিশীল রাখা এবং আর্থিক লেনদেন অব্যাহত রাখার জন্য এটি একটি অস্থায়ী পদক্ষেপ। কঠোর আর্থিক নীতি অটুট রয়েছে এবং বাজারে অতিরিক্ত নগদ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
নতুন করে সরবরাহ করা অর্থের অপব্যবহারের আশঙ্কা প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, বর্তমান পদক্ষেপের অর্থ এই নয় যে অতীতের মতো অর্থ ছাপিয়ে তা অপব্যবহার হবে।
‘এবার আমরা নিশ্চিত করেছি যে অর্থ বরাদ্দ স্বচ্ছ ও নিরাপদে হচ্ছে, যাতে কোনো ধরনের অপব্যবহারের সুযোগ নেই,’ বলেন ড. মনসুর।
গভর্নর গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অঙ্গীকারের কথাও তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ব্যাংকের প্রতিটি ব্যক্তির আমানত নিরাপদ। আমানতকারীদের আস্থা বজায় রাখতে আমরা অবিচল।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর জানান, ব্যাংকগুলোর অস্থায়ী নগদ ঘাটতি মেটাতে এবং গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় অর্থ উত্তোলন নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নগদ সহায়তা দিচ্ছে। এই সহায়তা প্রদানের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকের অস্থায়ী চাহিদা পূরণে অর্থ ছাপাবে।
গভর্নর জনসাধারণকে আশ্বস্ত করেছেন যে ব্যাংকগুলোতে সকল আমানত নিরাপদ এবং আতঙ্কিত না হয়ে অযথা অর্থ উত্তোলন না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি ইঙ্গিত দেন যে বাজারে অতিরিক্ত নগদ সরবরাহ মুদ্রাস্ফীতির চাপ প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন ধরনের বন্ডের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা করা হবে।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: