সিডনী সোমবার, ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫ই ফাল্গুন ১৪৩১


নিউজিল্যান্ডে পালমি পিঠা উৎসবে দুই বাংলার মিলনমেলা : মু: মাহবুবুর রহমান


প্রকাশিত:
২৫ অক্টোবর ২০২২ ২৩:৪৯

আপডেট:
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:৩৩



নিউজিল্যান্ডের পামারস্টোন নর্থ (সংক্ষেপে পালমি) শহরে পিঠা উৎসব করেছেন দুই বাংলার প্রবাসী বাঙালিরা।
শনিবার (২২ অক্টোবর) মানাওয়াতু বাঙালি সোসাইটির আয়োজনে এ পিঠা উৎসবে ছিল বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন পদের পিঠার উপস্থাপন। বাংলাদেশও পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী প্রবাসীরা দেশীয় পার্বণের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই মূলত আয়োজন করে এ পিঠা উৎসব। পালমিতে এই আয়োজনের পেছনে ছিলেন একদল কর্মজীবী ও গৃহিনী-মায়েরা। প্রবাসেও দেশীয় স্বাদের হরেক রকম পিঠার ডালি সাজিয়ে এ অনুষ্ঠানকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলেছিলেন তারাই। খাদ্যরসিক বাঙালি প্রাচীনকাল থেকেই প্রধান খাদ্যের পরিপূরক হিসেবে বিভিন্ন রকম মুখরোচক খাবার তৈরি করে আসছে। যার মধ্যে পিঠা অন্যতম। আর তাই বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে এই পিঠা। সেই সংস্কৃতিকে লালন করেই আয়োজিত হলো "পালমি পিঠা উৎসব"।

পালমি শহরে অবশ্য বাঙালি কমিউনিটি খুব বেশি বড় নয়; কিন্তু ছোট এই কমিউনিটিই আয়োজন করে এ পিঠা উৎসবের। বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মেইল দূরে নিউজিল্যান্ডের ছোট শহরের এই আয়োজনে বাদ যায়নি তেলের পিঠা, পুলি, ভাপা, দুধ পুলি, চিতই, পাটিসাপটাসহ মিষ্টি ও ঝাল জাতীয় অন্যান্য খাবার।
স্বাদ তো বটেই বাহারি সব সাজে বিভিন্ন রকমের পিঠা মন কেড়েছিল সবার। পিঠা-পুলির রঙ-রস, ঘ্রান ও নকশায় পেট ও মন দুটোই ভরেছিল দুই বাংলার প্রবাসীদের।
এ বছর মানাওয়াতু বাঙালি সোসাইটির নতুন কমিটি দায়িত্ব নিয়েছে। নতুন কমিটির সভাপতি মেসি ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ড. আখতারুজ্জামান ও তার নেতৃত্বে কমিটির সব সদস্য এবং সোসাইটির সাবেক সভাপতি মেসি ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এমেরিটাস শ্রীকান্ত চ্যাটার্জির সার্বিক সহযোগিতায় পালমি পিঠা উৎসবটি পেয়েছিল ভিন্নমাত্রা।
প্রবাসের ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে এবং অনেক রকম সীমাবদ্ধতার মাঝেও পিঠা-পুলির এই উৎসব পালমি শহরের দুই বাংলার প্রবাসীদের কিছুক্ষণের জন্য যেন বাঙালি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।

 

মু: মাহবুবুর রহমান
লেখক, নিউজিল্যান্ডের মেসি ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক   



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top