সিডনী শুক্রবার, ১৯শে এপ্রিল ২০২৪, ৬ই বৈশাখ ১৪৩১


কাজের চাপে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কর্মঘন্টা বাড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়া


প্রকাশিত:
১৫ মার্চ ২০২০ ০৩:০৩

আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২০ ০৩:১০

ফাইল ছবি

প্রভাত ফেরী: অস্ট্রেলিয়ার সুপারমার্কেটগুলোতে সাময়িকভাবে তাদের স্টক সাপ্লাইয়ের কাজে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কর্মঘন্টা বাড়াতে পারবে। শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার এক্টিং মিনিস্টার ফর ইমিগ্রেশন, সিটিজেনশিপ, মাইগ্রান্ট সার্ভিসেস এন্ড মাল্টিকালচারাল অ্যাফেয়ার্স এলান টাজ এমপি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে অনেকগুলো আইটেমের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সুপার মার্কেটগুলোতে মালামাল সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছে কোম্পানীগুলো। তাদের এই চাপ কমাতে নিয়োগদাতারা ইচ্ছে করলে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কর্মঘন্টা বাড়াতে পারবে।

এক্টিং মিনিস্টার ফর ইমিগ্রেশন, সিটিজেনশিপ, মিগ্রান্ট সার্ভিসেস এন্ড মাল্টিকালচারাল অ্যাফেয়ার্স এলান টাজ এমপি এ প্রসঙ্গে বলেন, এই পরিবর্তনের ফলে সুপারমার্কেটগুলো তাদের অতিরিক্ত চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ বৃদ্ধিতে শিক্ষার্থীদের সাহায্য পাবে। সাধারণতঃ আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা পাক্ষিক ৪০ ঘন্টা কাজের সুযোগ পায়।

এলান টাজ এমপি আরো বলেন, সুপারমার্কেটগুলো টয়লেট পেপার, টিস্যু, চাল, এবং পাস্টা'র মত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো তাদের শেলফে রাখা মাত্রই শেষ হয়ে যাচ্ছে, এই চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ দিতে তারা হিমশিম খাচ্ছে। সুপারমার্কেটগুলো বলছে, এই চাহিদা সামাল দিতে তাদের এখনকার কর্মীদের কর্মঘন্টা বাড়িয়ে দিতে হবে, যাতে তারা কাস্টমারদের সার্ভিস দিতে পারে। যদিও তাদের অস্ট্রেলিয়ান কর্মী আছে, তবে এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এই অতিরিক্ত কাজের সময় দেয়া হচ্ছে।

এই ব্যবস্থাটি তদারকি করবে ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্স এবং এ থেকে কোলজ, উলওয়ার্থ-এর মতো বড় বড় সুপারমার্কেটগুলো সুবিধা পাবে।  অন্যান্য সুপারমার্কেটগুলো যদি মনে তাদের এ ক্ষেত্রে সাহায্য দরকার তবে তারাও হোম অ্যাফেয়ার্স বিভাগে রেজিষ্টার করে এ সুবিধা নিতে পারবে। তবে এই সুবিধা কেবল বর্তমান কর্মীদের বেলাতেই প্রযোজ্য।

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির ব্যাপকতা বাড়ার প্রেক্ষিতে আমরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা শুনবো এবং হয়তো অন্যান্য সেক্টরগুলোতেও একই সুবিধা দেয়া হতে পারে যদি প্রয়োজন হয়। তবে এই ব্যবস্থা সাময়িক এবং এটা নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত রিভিউ করা হবে বলেও জানান  এলান টাজ এমপি।

মিনিস্টার ফর এডুকেশন ড্যান টেহান বলেন, এই ব্যবস্থা সুপারমার্কেটগুলোর সরবরাহ বাড়ানোর কাজে সাহায্য করবে এবং আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরাও লাভবান হবে। আমাদের সরকার উচ্চ শিক্ষায় COVID-19-এর কুপ্রভাব কমাতে চেষ্টা করছে, এবং শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার ফাঁকে এই কঠিন সময়টাতে যাতে আর্থিকভাবে কিছু সাশ্রয় করতে পারে সেই দিকটা দেখা হচ্ছে।

তবে নিয়োগদাতাদের অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ান ওয়ার্কপ্লেস ল' মেনে চলতে হবে। অস্ট্রেলিয়ার কর্মক্ষেত্রের আইন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অন্যান্য কর্মীদের মতোই অধিকার রয়েছে।  এ সম্পর্কে আরো জানতে ভিজিট করুন ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্স-এর ওয়েবসাইট অথবা গ্লোবাল সার্ভিস সেন্টারে 131881 এই নাম্বারে কল করতেও বলা হয়েছে ঐই বিজ্ঞপ্তিতে।


বিষয়: কমিউনিটি


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top