সিডনী সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২২শে বৈশাখ ১৪৩১


পৃথক রাজ্যের দাবিতে দার্জিলিংয়ে আবারও আন্দোলন


প্রকাশিত:
৩ আগস্ট ২০২১ ২০:৪০

আপডেট:
৬ মে ২০২৪ ০৫:৪৮

ছবি: দার্জিলিং

 

প্রভাত ফেরী: গতকাল রোববার দার্জিলিংয়ের অখিল ভারতীয় গোর্খা লীগের নেতা এস পি শর্মা তাঁদের দলীয় দপ্তরে গান্ধীর ছবির নিচে বসে শুরু করেছেন আমরণ অনশন। দাবি পৃথক রাজ্যের গঠন। এস পি শর্মা বলেছেন, তিনবার লোকসভা নির্বাচনে পাহাড়বাসী বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। এ ছাড়া ১১টি জনজাতিগোষ্ঠীকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি মেনে নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, এবার দার্জিলিংয়ের সাংসদকে একটি ডেডলাইন বেঁধে দিয়ে ঘোষণা করতে হবে, কবে তাঁরা তাঁদের দাবি পূরণ করবেন? তবে সেই দাবি পূরণের সময় ২০২৪ সাল হতে পারবে না। কারণ, ওই বছর আবার লোকসভার নির্বাচন হবে।

অন্যদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা-২-এর নেতা ও কার্যকরী সভাপতি অনিল থাপা বলেন, পাহাড়ের উন্নয়ন দিল্লি করেনি। করেছে বাংলার সরকার। এবার তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাহাড়ের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে হবে। প্রতিবছর গোর্খাল্যান্ডের কথা তুলে নির্বাচন হয়। আর নির্বাচনের পর জয়ী প্রার্থীরা ভুলে যান পাহাড়ের দাবির কথা। তিনি বলেন, ২০১৭ সালে তাঁরা বিমল গুরুং থেকে আলাদা হয়েছেন। তাঁরা আর হিংসাত্মক আন্দোলনে বিশ্বাসী নন। তাঁরা বিশ্বাসী পাহাড়ের উন্নয়নে। তাই এখন তাঁদের লক্ষ্য হবে পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য দৌড়ানোর।

এদিকে জিএনএলএফ নেতা ও দার্জিলিং জেলা কমিটির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড গোর্খা লীগ নেতা এস পি শর্মার দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, তাঁরা গোর্খা লীগ নেতা এস পি শর্মার সঙ্গে থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ১২ জুন পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে শুরু হয়েছিল দার্জিলিংয়ে অনির্দিষ্টকালের বন্‌ধ্‌। এই বন্‌ধের জেরে অচল হয়ে পড়েছিল দার্জিলিংয়ের জনজীবন। এই বন্‌ধ্‌ তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলে দার্জিলিংয়ে। অবশেষে মমতার হস্তক্ষেপে এই বন্‌ধ্‌ প্রত্যাহার হলেও মানা হয়নি পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবি।

মূলত আশির দশকে এই দার্জিলিংকে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে প্রথম অশান্ত ও উত্তাল হয়েছিল দার্জিলিং। এর নেতৃত্বে ছিলেন জিএনএলএফ নেতা সুভাষ ঘিসিং। ১৯৮০ থেকে এখন দার্জিলিং ২০২১ সালে পা দিয়েছে। তবে পুরোপুরি শান্তি আর ফিরে আসেনি। চলছে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন। এখন অবশ্য জিএনএলএফ শক্তিশালী নয়, শক্তিশালী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার দুটি অংশই। আছে গোর্খা লীগও।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top