কেন্দ্রীয় নির্দেশেই এই হামলা


প্রকাশিত:
১০ আগস্ট ২০২১ ২০:৫৯

আপডেট:
২২ এপ্রিল ২০২৫ ১০:৪২

 

প্রভাত ফেরী: ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগী জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহাকে দেখতে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তাদের সঙ্গে দেখা করার পর তৃণমূল সুপ্রিমোর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশেই এই হামলা হয়েছে, নাহলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের এত সাহস হতো না।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, গত রোববার আগরতলা থেকে বিশেষ প্লেনে আক্রান্ত তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে কলকাতায় ফেরেন মমতার ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে।

তাদের দেখার পর মমতা বলেন, যেভাবে মারধর করা হয়েছে, পাথর মারা হয়েছে, মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে, তা ভয়ংকর। পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রতিনিধিদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, টানা ৩৬ ঘণ্টা চিকিত্সাও দেয়া হয়নি আক্রান্তদের।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরায় আমাদের ছাত্রছাত্রীদের ওপর হামলা হয়েছে। জয়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। ওকে মারা হয়েছে। দেবাংশুকে আক্রমণ করা হয়েছে। তারপর চিকিত্সা তো করায়নি, পানি পর্যন্ত দেয়া হয়নি। পুলিশের বিরুদ্ধে মমতার অভিযোগ, ওরাই আমাদের প্রতিনিধিদের মেরে তারপর গ্রেফতার করে।

তিনি আরও বলেন, বিজেপির মতো একটি দানবীয় দল ত্রিপুরা চালাচ্ছে। সেখানে পরবর্তী নির্বাচনে আমরাই জিতব।

ওইদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরও হামলার পরিকল্পনা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, বুলেটপ্রুফ গাড়ি ছিল বলে অভিষেক বেঁচে গেছে। নাহলে গাড়ি চুরমার হয়ে যেত। শুধু তাই নয়, অভিষেকের পাশে পাঁচ গুণ্ডার জন্য আসন বুক করেছিল বিজেপি। ওর পদে পদে জীবন সংশয় ছিল। এতকিছু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া সম্ভব নয়।

জানা যায়, গত শনিবার ধলাইয়ের আমবাসায় হামলার শিকার হন যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু ভট্টাচার্য, ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত যুব তৃণমূল নেত্রী জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহা। এরপরই নিরাপত্তার দাবিতে খোয়াই থানার সামনে অবস্থান নেন তারা। বিক্ষোভ চলে রাতভর। এই ঘটনায় তৃণমূলের ১৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে খোয়াই থানা পুলিশ। পরে রোববার বিকেলে জামিন পান তারা।

সূত্র: এবিপি, আনন্দবাজার পত্রিকা

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top