ডিভিসির পানিতে প্লাবিত রাজ্য; ডুবেছে ২২ লক্ষের বেশি মানুষ  


প্রকাশিত:
২ অক্টোবর ২০২১ ১৮:১৩

আপডেট:
২ অক্টোবর ২০২১ ১৮:১৩

 

প্রভাত ফেরী: ফের রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির কারণে নবান্ন নজর রাখছে সব কিছু। এরমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক একটি খতিয়ানও তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে তার পরিসংখ্যান দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। 

বিহার-ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টি। তার জেরে মাইথন, পাঞ্চেত, তিলপাড়া, দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে ছাড়া জলে প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা। কোথায় কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য দিল নবান্ন। মুখ্যসচিব জানিয়েছেন,আরামবাগের ২টি জায়গায়, খানাকুল ১ এবং ২ নম্বর ব্লকে ২টি, বাঁকুড়ার বড়জোড়া, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, বীরভূমের নানুর ও পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে। প্রভাবিত ২২ লক্ষের বেশি মানুষ। 

জল ঢুকে বহু কাঁচা বাড়ি ভেঙেছে। বহু মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। ক্ষতি হয়েছে ফসলেরও। নবান্ন জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত ২২ লক্ষেরও বেশি মানুষ। ১ লক্ষের বেশি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হয়েছে ৪ লক্ষ দুর্গতকে। ১ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষ রয়েছেন ত্রাণ শিবিরে। ত্রিপল বণ্টন করা হয়েছে। ২ হাজার মেট্রিক টন জিআর চাল বিলি করেছে প্রশাসন। ঘাটালে বাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১ শিশু-সহ ২ জনের। 

বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছে নবান্ন। সর্বত্র প্রশাসনিক আধিকারিকরা পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালাচ্ছেন। পাশাপাশি ৮ কলাম সেনা নামানো হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিম বর্ধমানে ৩ কলাম, হুগলিতে ৩ কলাম, হাওড়ায় ২ কলাম সেনা জওয়ান কাজ করছেন। এছাড়া ২৫টি এনডিআরএফ টিম মোতায়েন করা হয়েছে। আরও ৮টি টিম অন্য রাজ্য থেকে আনা হয়েছে। ২৪টি এসডিআরএফ টিম মোতায়েন রয়েছে। নৌকা নামানো হয়েছে ২০০টি। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়া প্রত্যেক জেলায় এক এক জন আইএএস অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সমগ্র পরিস্থিতির উপর নজরদারি এবং গোটা ব্যবস্থাপনার মধ্যে সমন্বয়ের কাজ করবেন এই অফিসাররা। 

 


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Top