সিডনী সোমবার, ৬ই মে ২০২৪, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩১


গান স্যালুটে শেষ বিদায় পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি


প্রকাশিত:
৬ নভেম্বর ২০২১ ২১:৩১

আপডেট:
৬ নভেম্বর ২০২১ ২১:৫৮

 

প্রভাত ফেরী: পঞ্চভূতে বিলিন হল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নস্বর দেহ। কেওড়াতলা মহাশশ্মানে গান স্যালুটে বিদায় জানানো হল পঞ্চায়েত মন্ত্রীকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাব থেকে শোভাযাত্রা করে কেওড়াতলা মহাশশ্মানে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর দেহ। অসংখ্য মানুষ এই শেষযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন। গান স্যালুটের আগে মন্ত্রীর পা ছুয়ে প্রণাম করেন অভিষের

বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ফিরবেন না তিনি। পড়ে রইল বালিগঞ্জের অফিসের সাদা টাওয়েলে ঢাকা চেয়ার। সামনে পরে রইল মাস্ক পেন। আর সেই অফিসে দেখা যাবে না সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। ভাইফোঁটাও নেওয়া হল না তাঁর। বালিগঞ্জের বাড়িতে অন্ধকার নেমে এসেছে। কালীপুজোর রাতেই আঁধারে ঢেকেছে গোটা বাড়ি। সেদিন রাতেই মারা যান সুব্রত মুখোপাধ্যায়। শুক্রবারই হাসপাতাল থেকে ফেরার কথা ছিল তাঁর। তার আগেই ছুটি হয়ে গেল জীবন থেকে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বনেরা। কী খাওয়াবেন দাদাকে। ভাইফোটার উপহারও কেনা হয়ে গিয়েছিল। ঠিক হয়েছিল দাদা বাড়ি ফিরলেই যেন ফোঁটার আয়োজন করবেন বলে জানিয়েছিলেন। মাছের টক আর নাড়ু খাবেন বলেছিলেন। সেটা আর খাওয়া হল না তাঁর। বালিগঞ্জের বাড়িতে যখন পৌঁছয় দেহ তখন কান্নায় ভেেঙ পড়েন পরিবারের লোকেরা।

জীবন। সবচেয়ে কম বয়সে মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। কংগ্রেস জমানাতে মন্ত্রী পদ সামলেছিলেন তিনি। দেখেছেন বাম জমানার উত্থান পতন। আবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেও গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেছেন সবসময়। সামলেছেন পঞ্চায়েত দফতরের মত গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব। তারসঙ্গে দলের গুরুদায়িত্বও ছিল তাঁর উপর। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের চলে যাওয়াকে বড় ক্ষতি বলে মনে করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজে বলেছেন সুব্রতদার চলে যাওয়া আমার জীবনের একটা বড় বিপর্যয়। সেকারণেই তিনি যেতে চাননি সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের শেষকৃত্যে। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন সেখানে। শেষবার পা ছুঁয়ে অভিভাবককে প্রণাম করেছিলেন তিনি। পঞ্চভূতে বিলীন হল নশ্বর দেহ, কেওড়াতলায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে গান স্যালুটে শেষ বিদায় আজ সারাদিন অর্ধনমিত রাখা হয়েছিল জাতিয় পতাকা। রবীন্দ্র সদনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে গিয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতারাও তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে গিয়েছেন। বিধানসভায় রাখা ছিল তাঁর মরদেহ।

সেখানে রাজ্যপাল, স্পিকার, শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। তারপর নিয়ে যাওয়া হয় বালিগঞ্জের বাড়িতে। সেখানে পরিবারের লোকেরা অপেক্ষা করছিলেন। অগনিত অনুরাগী তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় একডালিয়া এভার গ্রিন ক্লাবে। তারপর শোভাযাত্রা করে কেওড়াতলা মহাশশ্মানে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর মরদেহ। শোভাযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের সঙ্গে সঙ্গে শেষ হল সুব্রত অধ্যায়ের।


 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top