চীনের সাংহাইয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ
প্রকাশিত:
৩ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৩২
আপডেট:
৪ এপ্রিল ২০২২ ০২:১০

চীনের বড় শহর সাংহাইয়ে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। প্রথমবার জারি করা হয়েছে লকডাউন। প্রবীণদের জন্য শহরের একটি বড় হাসপাতাল কোভিড সংক্রমণের নতুন ঢেউ মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। পরিস্থিতি কতটা গুরুতর, তারই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে এতে। খবর বিবিসির।
নতুন ঢেউ শুরুর পর সাংহাইয়ে কারও মৃত্যুর কথা জানানো হয়নি। কিন্তু শহরে পূর্বের পুদং এলাকার ডোংঘাই এলডারলি কেয়ার হাসপাতালের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে বিবিসি। তাঁরা বলেন, হাসপাতালের পরিস্থিতি শোচনীয়। অনেক বয়স্ক মানুষ এখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ মারা গেছেন।
একজন নার্স বিবিসিকে বলেন, সাংহাইয়ের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রগুলোর একটি এই হাসপাতাল। তিন সপ্তাহ আগে প্রথম সেখানে একজনের করোনা শনাক্ত হয়। এর পর থেকে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। নগরের রোগনিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের একটি বিশেষজ্ঞ দল করোনা বিস্তার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
গত সপ্তাহে হাসপাতালে নিয়োগ পাওয়া একজন পরিচর্যাকর্মী বলেন, তিনি এক রোগীকে মারা যেতে দেখেছেন। এ ছাড়া এক সহকর্মীর কথাও শুনেছেন, যিনি অন্য এক রোগীর সঙ্গে ছিলেন, যিনি মারা গেছেন। তবে কর্মীরা বলেন, তাঁরা করোনায় মারা গেছেন কী না, তা বলা কঠিন। কারণ, সেখানে অনেকে সংক্রমিত হয়েছেন।
ওই নার্স বলেন, হাসপাতালটি কোয়ারেন্টিন কেন্দ্র হওয়ার আগে থেকেই তিনি সেখানে কাজ করতেন। রাতে ঘুমাতেনও সেখানেই। তিনি বলেন, এরপর তাঁর এক সহকর্মী তাঁকে বলেন, পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। প্রতিদিনই নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। তাঁর দাবি, হাসপাতালটিতে করোনার নতুন ঢেউ মোকাবিলায় সাংহাই সরকারের পাঠানো স্বাস্থ্যকর্মী ও বিশেষজ্ঞরাও করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। হাসপাতালটিতে শত শত মানুষ করোনায় আক্রান্ত বলেও জানিয়েছেন তিনি।
চলতি সপ্তাহ থেকে হাসপাতালে কাজ করছেন একজন পরিচর্যাকর্মী। ওই কর্মী বিবিসিকে বলেন, তিনি যখন হাসপাতালে আসেন, তখন মলমূত্র থেকে অন্যান্য বর্জ্য শোধন পরিস্থিতি অনেক খারাপ ছিল। হাসপাতালের ভিডিও ফুটেজে ময়লার ঝুড়ি উপচে পড়া এবং আবর্জনাভর্তি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে নানা অভিযোগ তুলে বলেন, ওই হাসপাতালে থাকা প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন না তাঁরা।
এমন একজন ব্যক্তি বিবিসিকে বলেন, তাঁর দাদি ওই হাসপাতালে ভর্তি। তবে তিনি কেমন আছেন বা তাঁর শারীরিক অবস্থা কী, সেটা জানাও কঠিন হয়ে পড়েছে। গত সোমবার লকডাউন শুরুর পর থেকে দাদির সঙ্গে মুঠোফোনেও কথা বলতে পারছেন না তিনি। কর্মীরা ফোন ধরলেও তাঁর দাদির পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত বলেননি।
বিবিসির পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, পুদং নিউ ডিস্ট্রিক্ট হেলথ কমিশন এবং সাংহাই নগর কমিশনে যোগাযোগ করা হলেও কর্তৃপক্ষের সাড়া পাওয়া যায়নি।
বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: