সিডনী রবিবার, ২৩শে জুন ২০২৪, ৯ই আষাঢ় ১৪৩১


মন্ত্রীর বিদায়ের পর চাপের মুখে নেতানিয়াহুর সরকার


প্রকাশিত:
১০ জুন ২০২৪ ১৬:৪৭

আপডেট:
২৩ জুন ২০২৪ ০৯:৪১


গাজা উপত্যকায় চলমান সামরিক অভিযানকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দেশে-বিদেশে প্রবল চাপের মুখে রয়েছেন। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে তার সরকারের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে। ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে বিরোধী নেতা বেনি গ্যান্টজ যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক অবস্থান অনেকটা জোরালো করেছিলেন। কিন্তু রবিবার তিনি পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী পদত্যগ করেন উগ্র দক্ষিণপন্থী জোট সরকারের একমাত্র মধ্যপন্থী দলের প্রস্থান একাধিক সংকটের সময়ে ইসরায়েলে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।


ইসরায়েলে এখনই সরকার পতনের আশঙ্কা না থাকলেও নেতানিয়াহুকে এবার জোটের কট্টরপন্থী সদস্যদের ওপর আরো বেশি নির্ভর করতে হবে। ফলে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মনোমালিন্য আরো তীব্র হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নেতানিয়াহু নিজের সরকারের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে মার্কিন প্রশাসনের অনেক চাপ উপেক্ষা করার চেষ্টা করে চলেছেন।

এদিকে গাজায় বিতর্কিত সামরিক অভিযানের পাশাপাশি উত্তরে লেবানন সীমান্তের অপর প্রান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে আরো তীব্র সংঘাতের আশঙ্কা ইসরায়েলে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।


গাজায় এক সেনা অভিযানে হামাসের কবল থেকে চারজন পণবন্দিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হলেও হামাসের কবলে এখনো অনেক পণবন্দি থেকে যাওয়ায় ইসরায়েলে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে।
দেশের এমন সংকটের সময় মন্ত্রিসভা থেকে বিদায়ের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সাবেক কমান্ডার ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ। ইসরায়েলের একাধিক সামরিক কর্মকর্তার মতো তিনিও গাজায় সামরিক অভিযানের সমাপ্তির পর কোনো রাজনৈতিক সমাধানসূত্রের পরিকল্পনার অভাবের সমালোচনা করে আসছিলেন। ৮ জুনের মধ্যে তিনি নেতানিয়াহুর কাছে এক রাজনৈতিক সমাধানসূত্রের খসড়া দাবি করেছিলেন।


এক সংবাদ সম্মেলনে রবিবার গ্যান্টজ বলেন, ‘নেতানিয়াহু আমাদের প্রকৃত জয়ের দিকে এগোনোর পথে বাধা সৃষ্টি করছেন। তাই ভারাক্রান্ত মনে আমাদের মন্ত্রিসভা ত্যাগ করতে হচ্ছে।’

উল্লেখ্য নেতানিয়াহু সরকারের পতন ঘটলে গ্যান্টজই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বলে ইসরায়েলের রাজনৈতিক মহলে মনে করা হচ্ছে। তিনি নেতানিয়াহুর উদ্দেশ্যে চলতি বছরই ইসরায়েলে সাধারণ নির্বাচনের জন্য রাজি হওয়ার ডাক দিয়েছেন।

ইসরায়েলে এমন রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝেই সোমবার সে দেশে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন।


তিনি গাজায় অস্ত্রবিরতির পরিকল্পনার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে চলেছেন। নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক সংকট ও হামাসের নীরবতার কারণে সেই পরিকল্পনার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top