সিডনী শনিবার, ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ই আশ্বিন ১৪৩১


কলকাতার বাজারে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ


প্রকাশিত:
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৪০

আপডেট:
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩২

ভারতে বাংলাদেশের ইলিশ

 

শেখ হাসিনার পতনের পর এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যদিয়ে যাচ্ছিল ভারতের ইলিশ প্রেমীরা। অনেক আলোচনা সমালোচনার মধ্যে ৩ হাজার টন ইলিশ পাচ্ছে ভারত। ইতোমধ্যে প্রথম দফার চালন চলে গেছে দেশটিতে। কলকাতার বাজারে মিলতে শুরু করেছে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ।

শুক্রবার ভোরেই কলকাতার পাইকারি বাজারে দেখা যায় বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ইলিশ মাছের। এরপর পাইকারি বাজার থেকে খুচরো বিক্রেতারা ইলিশ কিনে বিভিন্ন বাজারে নেতে শুরু করেন। পাইকারি বাজার পাতিপুকুর ছাড়া কলকাতা ও হাওড়ায় আরও কয়েকটি পাইকারি বাজারে দেখা যায় বাংলাদেশি ইলিশের।

বাংলাদেশ থেকে দুই ধরনের ইলিশই পাঠানো হয়েছে ভারতে৷ কিছু ইলিশ এক কেজি বা তার বেশি ওজনে এবং কিছু ইলিশ এক কেজির কম ওজনের।

সকালে কলকাতার গড়িয়াহাট বাজারে দেখা যায় প্রচুর বিক্রেতা বাংলাদেশের ইলিশ বিক্রি করেছেন। এছাড়াও কলকাতার বিভিন্ন বাজারে বিক্রেতারা বাংলাদেশের ইলিশ নিয়ে আসেন মানিকতলা, লেক মার্কেটের মতো বড় বাজারেগুলোতে। আজকে বেচাকেনার মাধ্যমে ভারতীয়দের বাংলাদেশের ইলিশা প্রতীক্ষা শেষ হয়।

পাইকারি বাজারে এক কেজির থেকে বড় ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০-১৭০০ রুপিতে। যা বাংলাদেশি টাকায় ৷ যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২২০০-২৪০০ টাকা। এক কেজির নিচের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার চারশ টাকা থেকে এক হাজার পাঁচশ রুপিতে। যা বাংলাদেশি টাকায় ১৯০০-২১০০ টাকা।

এই ইলিশ কলকাতার খুচরা বাজারে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে আড়াই হাজার রুপি কেজি৷ যা বাংলাদেশি টাকায় ২৮০০-৩৫০০ টাকায়। ফলে কলকাতার বাজারে বাংলাদেশের ইলিশ গেলেও অনেকের ধরাছোঁয়ার বাইরে৷ তা সত্ত্বেও সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ অন্য খাতে খরচ কমিয়ে ইলিশ কিনে রসনা তৃপ্তি করছেন৷ কারণ, ইলিশ-ভক্তরা বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ইলিশের কদর জানে। এর মূল্য জানে। তাই আর দামের তোয়াক্কা করেছে না অনেকেই।

মানিকতলা বাজেরে ইলিশ কিনতে আসা শ্যামল সাউ বলেন, “কোনো সন্দেহ নেই, বাংলাদেশের ইলিশের দাম বেশি৷ কিন্তু তার স্বাদটাও দেখতে হবে৷ স্বাদটাই তো আসলা তাই কোলাঘাটে রূপনারায়ণের ইলিশ যেমন আমার পছন্দ, তেমনই পছন্দ বাংলাদেশের ইলিশা।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top