সিডনী বুধবার, ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০শে মাঘ ১৪৩১


যুদ্ধবিরতি চলাকালে গাজায় ইসরায়েলি হামলা, আহত ৪


প্রকাশিত:
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:১৫

আপডেট:
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৯:৪৩

ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চলার মধ্যেই গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজা ভূখণ্ডের মধ্যাঞ্চলীয় নুসাইরাত শিবিরের পশ্চিমে উপকূলীয় সড়কে একটি গাড়িতে চালানো এ হামলায় অন্তত চার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

ফিলিস্তিনি চিকিৎসা কর্মীরা প্রথমে একজন বালক এ হামলায় ‘নিহত’ হয়েছেন বলে ঘোষণা করেছিল, কিন্তু পরে তারা তাকে ‘পুনরুজ্জীবিত’ করতে পেরেছেন বলে জানান।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী গাজার উত্তরাঞ্চলে যাওয়ার জন্য তল্লাশির ব্যবস্থা সম্বলিত যে পথগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে একটি সন্দেহজনক গাড়ি তার বাইরে দিয়ে গাজার উত্তরাঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল, একটি ইসরায়েলি সামরিক আকাশযান সেটিতে গুলি চালায়।

“আইডিএফ যে কোনো দৃশ্যপটের জন্য প্রস্তুত আর আইডিএফের সেনাদের জন্য তাৎক্ষণিক যে কোনো হুমকিকে ব্যর্থ করে দিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া অব্যাহত রাখবে,” বলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে তাদের হামলার ফলাফল কী বা তাতে কেউ হতাহত হয়েছে কি না, তা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।

রয়টার্স জানায়, ১৯ জানুয়ারী ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে খবর হয়েছে।

ইসরায়েলের দাবি, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী গাজায় এখনও যে ইসরায়েলি সেনারা অবস্থান করছে তাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠা ‘সন্দেহজনক’ ব্যক্তিদের যারা কখনও কখনও সশস্ত্রও ছিল, লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে তাদের বাহিনী- এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে।

হামাস এসব ঘটনাকে চুক্তির লঙ্ঘন বলে বর্ণনা করেছে।

চুক্তি অনুযায়ী যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্বে হামাস তাদের হাতে বন্দি ৩৩ শিশু, নারী ও বৃদ্ধ পুরুষ জিম্মিদের মুক্তি দেবে আর তাদের বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারগুলোতে বন্দি থাকা হাজারখানেক ফিলিস্তিনি মুক্তি পাবে। এখন পর্যন্ত এই জিম্মিদের মধ্যে ১৮ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের হাতে এখনও সামরিকভাবে সক্ষম ৬০ জনেরও বেশি পুরুষ জিম্মি বন্দি আছে।

যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়া ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয় দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা শুরু করবেন বলে জানিয়েছে নেতানিয়াহুর দপ্তর।

যু্দ্ধবিরতির দ্বিতীয় পর্বে অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি ও গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহারের বিষয়টি থাকার কথা।

রোববার রাতে হামাস, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলেছে তারা চুক্তির মানবিক অংশ বাস্তবায়ন থামিয়ে রেখেছে। চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, ত্রাণ, জ্বালানি ও পুনর্নির্মাণ উপকরণ প্রবেশ করতে দেওয়া কথা, কিন্তু তারা এখনও সে অনুমতি দেয়নি।

কিন্তু হামাসের এসব অভিযোগের বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top