সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১


দলের নেতৃত্ব ছাড়লেন থেরেসা মে


প্রকাশিত:
৮ জুন ২০১৯ ০৬:০৮

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ০৯:০৮

দলের নেতৃত্ব ছাড়লেন থেরেসা মে

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেড়িয়ে আসার জন্য বহু আকাঙ্ক্ষিত ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। যে কারণে এই দায় মাথায় নিয়ে অবশেষে নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়িয়েছেন ব্রিটেনের এই প্রধানমন্ত্রী।



যদিও এখন পর্যন্ত তার কোনো উত্তরসূরি খুঁজে না পাওয়া প্রধানমন্ত্রীর পদে বহাল থাকছেন তিনি। আগামী জুলাইয়ের শেষ দিকে দলটির নতুন নেতা নির্বাচন করা হতে পারে। যে তালিকায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসহ মোট ১১ কনজারভেটিভ এমপির নাম রয়েছে।



এর আগে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত এক গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে আসার জন্য ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় আসে। আর যার মাধ্যমে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান থেরেসা। মূলত এর পর গত তিন বছর যাবত ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছেন সদ্য কনজারভেটিভ পার্টি থেকে সরে যাওয়া এই নেত্রী।



এ দিকে চলতি বছরের ২৯ মার্চ রাত ১১টার মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ ছাড়ার কথা ছিল ব্রিটেনের। এই চুক্তির মাধ্যমেই ব্রেক্সিট পরবর্তীকালে ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের শর্ত নির্দিষ্ট করা হয়। যদিও চুক্তিটি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাস করানোর জন্য বাধ্যবাধকতা থাকলেও থেরেসা টানা তিন দফায় তা হাউস অব কমন্সে পাস করাতে ব্যর্থ হন। যদিও ইইউ নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্রেক্সিট বিলম্বিত করতে সক্ষম হন তিনি।



অপর দিকে এই ব্রেক্সিট ইস্যুতে নিজ দলের আইনপ্রণেতাদের পাশাপাশি বিরোধী দলের সদস্যদের রাজি করানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখলেও শেষ পর্যন্ত তাতেও সফল হননি প্রধানমন্ত্রী থেরেসা। এমন অবস্থায় গত মাসের শেষ দিকে এক রকম বাধ্য হয়েই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। জানান, আগামী ৭ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে পদ ছাড়বেন তিনি।



এবার এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৭ জুন) আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন থেরেসা। তবে নতুন নেতা নির্বাচনের আগ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল থাকলেও ব্রেক্সিট প্রসঙ্গে আর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না তার।



বিশ্লেষকদের ধারণা, এবার থেরেসার স্থলাভিষিক্ত হওয়ার জন্য ১১ কনজারভেটিভ এমপির নাম থাকলেও আগামী সোমবারের (১০ জুন) মধ্যে এদের মধ্যে কয়েকজন ঝরে পড়তে পারেন। কেননা সে দিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।



গত মাসে পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার সময় থেরেসা বলেছিলেন, ‘আমি না পারলেও আমার উত্তরসূরি হয়ত পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌছাতে পারবেন। এই ধরণের সমঝোতা ঠিক তখনই সম্ভব যখন সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে গিয়ে সব পক্ষ আপসে সম্মত হবে।’



 



তখন আবেগপূর্ণ ভাষায় থেরেসা আরও বলেছিলেন, ‘অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আমি আমার কাজ ছেড়ে দেব। এখান থেকে যে সম্মান নিয়ে যাচ্ছি আমি তা সারাজীবন ধরে রাখব। দেশের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলাম কিন্তু অবশ্যই শেষ নারী প্রধানমন্ত্রী হব না। এই ব্রেক্সিট ইস্যুতে আমার নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না।’


বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top