লেখকের লেখার মান যদি ভালো হয় তাহলে ইতিহাস মনে রাখেঃ সেলিনা হোসেন
প্রকাশিত:
১২ নভেম্বর ২০১৯ ২৩:৫৭
আপডেট:
২৭ মার্চ ২০২০ ০৪:৪৬
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ায় এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যক, স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত ঔপন্যাসিক এবং প্রভাত ফেরীর উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সেলিনা হোসেন। সিডনি সফরকালে গত ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার রাতে তিনি প্রভাত ফেরীর প্রধান সম্পাদক শ্রাবন্তী কাজী আশরাফী ও প্রকাশক সোলায়মান দেওয়ান আশরাফীর আমন্ত্রণে এক নৈশ ভোজে যোগ দেন। এসময় তিনি নানা প্রসঙ্গে প্রভাত ফেরী পরিবারের সাথে খোলামেলা আলোচনায় অংশ নেন। এই কথোপকথনে সেলিনা হোসেন তাঁর লেখালেখি ও ব্যক্তি জীবনের নানা বিষয়ে কথা বলেছেন।
প্রভাত ফেরীঃ আপনার লেখক জীবনের শুরু কিভাবে?
সেলিনা হোসেনঃ আমার লেখক জীবনের সুত্রপাত হয় শৈশব-কৈশোরের সময়। আমার বাবা চাকুরীর কারণে বগুড়া জেলার করতোয়া নদীর পাড়ে একটি এলাকায় থাকতেন। বাবা রেশম সিল্ক অফিসে চাকুরী করতেন। সেখান থেকে আমি জীবনের দুটি জিনিস আমার অভিজ্ঞতায় সঞ্চয় করেছি। এক হল বাংলার চির সবুজ শস্য শ্যামলা প্রকৃতিকে আমি দেখেছি, যেমন গাছ-পালা, নদী-নালা, খাল-বিল, পুশ-পাখি এসব নিয়ে আমাদের যে অসাধারণ প্রকৃতি। দ্বিতীয়টি হল আমাদের আর্থ-সামাজিক পরিবেশ। কৈশোরে দেখেছিলাম নর-নারী সর্ম্পক এবং কিভাবে একজন মানুষ আরেকজনের কাছে দলিত হচ্ছে। কিভাবে একজন মানুষ আরেকজন মানুষের সহযোগিতা পাচ্ছে। এই সব নিয়ে এতো কিছুর মধ্যে বড় হয়ে ওঠার স্বপ্ন আমাকে জাগ্রত করেছিল এবং মানব সমাজকে জানার বড় জায়গাটি গ্রহণ করার বিষয়টি সম্ভব হয়েছিল। কারণ বগুড়ায় যেমন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কষ্ট দেখেছি, দেখেছি মধ্যবিত্ত পরিবারের অসহায় জীবন যাপন। দেখেছি বাল্য বিবাহের করুণ আর্তনাদ। আমার মা বাড়ির কাজের জন্য একটি মেয়ে এনেছিল, মেয়েটির নাম ছিল তারা। ওর সাথে আমার বন্ধূত্ব গড়ে উঠেছিল। বাবা তার অফিসের এক পিওনের সাথে ওকে বিয়ে দিয়েছিল। বরের বয়স ছিল ২৫/২৬ বছর । বাবা ভেবেছিলেন এতে মেয়েটির একটি পরিবার হবে, একটি সংসার হবে, ওরা থাকতো একটি মাটির ঘরে দেওয়াল মাটি দিয়ে ঘেরা খড়ের ছাউনী দিয়ে তৈরী। কিন্তু মেয়েটি শুধু কাঁদত কারন ওর স্বামী প্রায়ই তাকে প্রচন্ড মারধর করত। কাঁদতে কাঁদতে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল আপু বিয়ে খুব খারাপ জিনিস। তখন আমি এসব বুঝতাম না। দেখতাম বাবার কাছে এসে মানুষগুলো তাদের কষ্টের কথা বলছে। উনিশ শতকের পঞ্চাশ দশকের শেষের দিকে তাদের এই অনুভবের জায়গা থেকে আমার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছিল। আমি ইউনির্ভাসিটিতে পড়ার সময় অনুভব করি আমার এই অভিজ্ঞতাগুলো গল্প উপন্যাসের মাধ্যমে সমাজে তুলে ধরব । এই স্মৃতি সঞ্চয় দিয়েই আমার লেখালেখির জীবন শুরু।
প্রভাত ফেরীঃ এখনও কি আপনি প্রতিদিন সময় করে লিখতে বসেন?
সেলিনা হোসেনঃ হ্যাঁ। এখনও সময় করে লিখতে বসা আমার প্রতিদিনের কাজ। না লিখতে পারলে বরঞ্চ আমার খারাপ লাগে। বাড়িতে যখন থাকি বা বিদেশ যখন আসি লেখালেখির উপাদানগুলো সঙ্গে রাখি। যখন সময় পাই দু-চার-দশ লাইন লিখি কারন উপন্যাস লেখায় ধারাবাহিকতা না থাকলে কাজগুলো আবার নতুন করে শুরু করতে হয়।
প্রভাত ফেরীঃ নিজের লেখা কোন উপন্যাসটি আপনার কাছে সবচেয়ে প্রিয়?
সেলিনা হোসেনঃ এই মুহুর্তে আমি বলব না কারণ আমার কাছে সব লেখাই আমার প্রিয়। এ সবগুলোই আমার সৃষ্টি সুতরাঙ সেই জায়গা থেকে যদি আমি ভালো-মন্দ বিচার করি তাহলে নিজের রচনার মুল্যায়ন নিজেকেই করতে হয়।
প্রভাত ফেরীঃ এখন তো ই-বুক চলে এসেছে, এখন যদি আপনার লেখাগুলো বই আকারে না ই-বুক আকারে পড়ে আপনার কেমন লাগবে?
সেলিনা হোসেনঃ বই আকারে প্রকাশ হবে এটা আমি বিশ্বাস করি, কিন্তু তথ্য প্রযুক্তিকে অস্বীকার করি না। কেউ যদি পড়তে চায় পড়বে।
প্রভাত ফেরীঃ আপনার সব বই কি এখন ই-বুক আকারে প্রকাশ হয়েছে?
সেলিনা হোসেনঃ হ্যা কিছু হয়েছে। তবে সব হয়নি, ই-বুক তৈরি করে ঢাকার এমন কিছু প্রকাশক আছে। তারা এটি করেছে।
প্রভাত ফেরীঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাই এখন বেশি সময় দিচ্ছে। অনেকেই বলে মানুষ এখন তেমন বই পড়ে না বা আগ্রহ অনেক কমে গেছে। এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি?
সেলিনা হোসেনঃ এই জায়গাটি যদি এভাবে পাশ কাটিয়ে যাই তাহলে নিজেদের সর্বনাশ নিজেরাই করব। আমারা যারা বয়সী মানুষ আছি তারা আমাদের নবীন প্রজন্মকে বোঝানোর জন্য এবং বুঝার জন্য জায়গা তৈরি করে নিতে হবে। এবং তাদের দুটি দিক ধারণ করতে হবে। প্রযুক্তি কে অস্বীকার করার মানুষ আমি না ।আর্ন্তজাতিক বিশ্বে যোগাযোগ মাধ্যম প্রযুক্তি নানাভাবে সহায়তা করছে। যেটা আমাদের ছেলে-মেয়েরা জ্ঞান-বিজ্ঞানের দিক থেকে ধারণ করে কিন্তু পাশাপাশি নিজের দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতি বোধটা যদি তারা ধারণ না করে তাহলে তো বিচ্ছিন্ন মানুষ হিসাবে সমাজে বাস করবে ।
প্রভাত ফেরীঃ বড় বড় সাহিতিকেরা আত্মজীবনী লেখেন, আপনার এই ধরনের কোন পরিকল্পনা আছে কি?
সেলিনা হোসেনঃ না। সে ধরনের চিন্তা বা পরিকল্পনা এখনো করিনি। তবে ঢাকার কিছু প্রকাশক ৫/৬ বছর আগে থেকেই আমার আত্মজীবনী প্রকাশের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু যেহেতু আমি উপন্যাস লিখি সেখানেই জীবনের কিছূ অংশ প্রকাশ পেয়ে যায়।
প্রভাত ফেরীঃ ভবিষ্যতে এ ধরনের চিন্তা বা ভাবনা আছে কি?
সেলিনা হোসেনঃ আমি ঠিক জানি না কি হবে।
প্রভাত ফেরীঃ বাংলাদেশে অনেক নতুন লেখকরা লিখছেন। তাদের মাঝে এমন কি কেউ আছে যার লেখা আপনার ভালো লাগে?
সেলিনা হোসেনঃ হ্যা নতুন লেখকেরা লিখছেন বটে তবে আমি আলাদা করে কারও নাম বলব না। তরুণরা ভালো লিখছে। দু-এক জনের নাম বলে তাদের মন খারাপ করতে চাই না। তরুণেরা যদি সঠিকভাবে লেখে তাহলে ৪৭ এর যে ধারাটি আজও চলে আসছে সেটি ঠিকভাবে ধারাবাহিক হবে। এর মাধ্যমে আমাদের সাংস্কৃতিক যে চেতনা তা আমরা হারাতে দিব না। তারা দেশ ও দশের ভালো-মন্দ-প্রেম-স্বাধীনতা ইত্যাদি প্রসঙ্গে লিখছে তাই আমি মনে করি আমাদের সাহিত্য প্রাণবন্ত হয়ে থেকেছে।
প্রভাত ফেরীঃ নতুন ছেলে মেয়েরা যে লিখছে তাদের লেখার ভাষা নিয়ে আপনার কিছু বলার আছে? এবং একজন প্রথিতযশা লেখক হিসেবে আপনি কি তাদের বার্তা বুঝতে পারছেন?
সেলিনা হোসেনঃ অবশ্যই বুঝতে পারি, এবং পাঠক হিসেবে আমার চারপাশের যারা আছে তারাও বলে ঐ ছেলেটি বা মেয়েটি ভালো লেখে। তখন মুগ্ধ হয়ে যাই, তাই আমার মনে হয় তারা আমাদের সাহিত্যের জায়গাটি আরো সুন্দরভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তারা পিছিয়ে পড়বে না।
প্রভাত ফেরীঃ অনেকে বলে ভিনদেশী ভাষার দাপটে বাংলা ভাষা হুমকির মুখে। আবার অনেকে বলে বাংলা ভাষার বিকৃতি হচ্ছে। বিভিন্ন টক শো এবং রেডিওতে ইংরেজি ও বাংলা মিলিয়ে কথা বলা হয়, এই ব্যাপারে আপনার মূল্যায়ন কি?
সেলিনা হোসেনঃ বাংলা ভাষা হুমকির মুখে এই কথাটা ঠিক নয়। বাংলা ভাষার বিকৃতি নিয়ে প্রতিবাদ হয়েছে। ইংরেজি-বাংলা মিলিয়ে যারা কথা বলে তারা আসলে মাতৃভাষাকে অবমাননা করছে এবং যারা করছে তারা নিজেরাই তাদের ক্ষতি করছে। আমি মনে করি মাতৃভাষাকে যারা বিকৃত করছে তাদের দন্ডনীয় শাস্তি পাওয়া উচিত।
প্রভাত ফেরীঃ মাতৃভাষা সংরক্ষণ নিয়ে আপনি কাজ করছেন। এই ব্যাপারে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
সেলিনা হোসেনঃ মাতৃভাষা সংরক্ষণ নিয়ে ভবিষ্যতে আরো কাজ করার ইচ্ছে তো আছেই। কিছু দিন আগে আমি ম্যানগ্রেভার গিয়েছিলাম ঐখানে আমাদের অনেক সদস্য আছে। স্থানীয় গর্ভণর তাদের প্রতিটি স্কুলে ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন করার ঘোষনা দিয়েছে। এবং এই বছর নিউইয়র্কের গর্ভণর তাদের সিনেটে আইন পাশ করেছে যে, ১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় যে ভাষণ দিয়েছিলেন সেটি পালন করা হবে। এভাবে আমাদের যে অর্জনগুলো আছে এগুলো যদি নতুন প্রজন্ম বা আমাদের সন্তানেরা রক্ষা না করে তাহলে নিজেদের সর্বনাশ নিজেরাই করব। আমাদের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে এবং কাজ করতে হবে, যেমন এক সময়ে হিলারী ক্লিনটন ১লা বৈশাখে বাঙালীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা দিতেন। তাই আমারা সবাই মিলে এই জায়গাগুলোও ধরে রাখব বলে আশা করি।
প্রভাত ফেরীঃ নারীরা লেখালেখি কেমন করছে?
সেলিনা হোসেনঃ নারীর লেখালেখি আলাদাভাবে বিবেচিত হবে কেন? লেখক লেখকই, সে নারী হোক আর পুরুষ। লেখকের লেখার মান যদি ভালো হয় তাহলে ইতিহাস মনে রাখে আর খারাপ হলে তাদেরকে কেউ মাথায় রাখেনা। চন্দ্রবতী পাঁচশত বছর ধরে আছে, খনার বচন কি অসাধারণ বচন সেগুলো টিকে আছে। তাই পুরুষ হোক কিংবা নারী, দুর্বল লেখকরা ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাবে।
প্রভাত ফেরীঃ দেশে নারীর ক্ষমতায়ন সর্ম্পকে আপনার মূল্যায়ন কি?
সেলিনা হোসেনঃ নারীদের এক সময় পরিবার ও সমাজে পিছিয়ে রাখা হতো। তারা মনে করত নারীদের কাজই হচ্ছে ঘর-সংসার, স্বামী-সন্তান ইত্যাদি। এ কারণে বাল্য বিবাহের মাধ্যমে একটি সংসার তাদের কাঁধে তুলে দিত সমাজ বা পরিবার। মনে করা হত একমাত্র সংসারটি হচ্ছে তাদের প্রকৃত স্থান। আসলে শুধু মাত্র সংসার নারীর প্রকৃত স্থান নয়। এখন থেকে ৩০ বছর আগে মোহনীর বিয়ে নামে একটি উপন্যাস লেখার জন্য বাগেরহাটের মোংলা থানার বানিয়াশান্তা পতিতা পল্লীতে আমার যাওয়ার প্রয়োজন হয়। সেখানে গিয়ে সব দেখে শুনে বের হওয়ার সময় দেখি গেটের সামনে একটি মেয়ে দুটি বাচ্চা নিয়ে দাড়িয়ে আছে। দৃশ্যটি দেখে আমার খুব রাগ হলো। আমি বললাম তুমি একা আসতে পারতে, কিন্তু এদেরকে সাথে আনার কি দরকার ছিল? মেয়েটি কেঁদে দিয়ে বলল ওদের বাঁচানোর জন্য এখানে আনা হয়েছে। সন্তানের বাবা ফেলে রেখে অন্য আর একটি বিয়ে করেছে, এখন ওদের দেখাশুনার কেউ নেই। তখন আমার মনে হল এই মেয়েটি মানব সভ্যতার ধারাবাহিকতা বাচ্চা দুটিকে ভাতের অভাবে মরতে দিতে চায়নি। ওর মধ্যে ধারণাই ছিল না যে শিশু দুটি মারা যাক। এটাই নারীর ক্ষমতায়নের অন্যতম দিক হলো যে মানব সভ্যতার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা এবং তাই নিজের জীবনের বিনিময়ে সে পতিতালয়ে এসেছে বাচ্চাদের মুখে অন্ন তুলে দিতে। আমি যে হাঙ্গর নদীর গ্রেনেড লিখেছি সে উপন্যাসে প্রকৃত ঘটনা এক মা ও দুজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা দুজন পাকিস্থানি ক্যাম্পে হামলা চালায় তো গোলাগুলির এক পর্যায় মুক্তিকামীরা পিছু হটে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। মহিলা তাদের তাদের ধানের গোলায় লুকিয়ে রাখে এবং একটি অস্ত্র তাদের কাছ নিয়ে ছেলেকে দিল। ছেলেটি মানসিক প্রতিবন্ধী কিন্ত শারিরীকভাবে বড়-সড়। মা সিদ্ধান্ত নিয়ে অস্ত্র হাতে দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর সামনে বলল আপনারা যাকে খুঁজতে এসেছেন সে এই। পাকিস্তানিরা তার ছেলে কে গুলি করে হত্যা করে চলে গেল। মুক্তিকামী ছেলে দুটি কাঁদতে লাগল। বুড়ি মা বললেন, যাও যুদ্ধে আমি চাই স্বাধীনতা। এটাই নারীর ক্ষমতায়ন, কারণ সে সিদ্ধান্ত দিতে পেরেছে এবং তার বাস্তবায়ন করছে। আজকের দিনে আমার মনে হয় একজন নিরক্ষর নারী প্রয়োজনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটা সহজে বাস্তবায়ন করছে। বানিয়াশান্তা পতিতা পল্লীর ঐ মেয়েটির সিদ্ধান্ত একই রকম ছিল বলে আমি মনে করি।
প্রভাত ফেরীঃ সবশেষে প্রভাত ফেরীর পাঠক ও অস্ট্রেলিয়া প্রবাসীদের জন্য যদি কিছু বলতেন?
সেলিনা হোসেনঃ আমি মনে করি অষ্ট্রেলিয়া যারা আছেন বা বিশ্বের যে সব দেশে বাঙ্গালীরা আছেন, তারা শুধু নিজেদের কথা চিন্তা না করে বাঙ্গালী জনগোষ্ঠীর শিল্প-সাহিত্য, সংস্কৃতি বিদেশের মাটিতে তুলে ধরবেন এটাই আমার প্রত্যাশা ।
প্রভাত ফেরীঃ ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সময় দেওয়ার জন্য।
সেলিনা হোসেনঃ প্রভাত ফেরী এবং তোমাকেও ধন্যবাদ।
বিষয়: সেলিনা হোসেন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: