শেখ মুজিব এবং আমাদের স্বাধীনতা : এস ডি সুব্রত
প্রকাশিত:
৮ ডিসেম্বর ২০২০ ২২:১৪
আপডেট:
৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:১৪
শেখ মুজিবুর রহমান একটি নাম, একটি ইতিহাস। যার দীর্ঘ সংগ্রাম আর আত্মত্যাগের পথ বেয়ে আমাদের স্বাধীনতা, লাল সবুজের প্রিয় পতাকা তিনি হলেন শেখ মুজিব আমাদের জাতির পিতা। যার দীর্ঘ ত্যাগ তিতিক্ষার ফসল একটি নতুন মানচিত্র , স্বাধীন ভূখণ্ড প্রিয় বাংলাদেশ তিনি হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার সম্মোহনী নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাঙালি জনগণ - মুক্তি যোদ্ধা আপামর জনতা সকলে মিলে ছিনিয়ে এনেছিল কাংখিত স্বাধীনতা প্রিয় স্বদেশ, আধিপত্য বাঁধের কবল থেকে মুক্ত করেছিল দেশ তিনি হলেন অকুতোভয় নেতা শেখ মুজিব।
এদেশের অনেকেই একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখেছেন । অনেকেই সে ভূখণ্ডের কথা ভেবেছেন। ভারত যখন ভাগ হয় তখনো সে ভাবনা ভাবা হয়েছিল। মাওলানা ভাসানীও সে স্বপ্ন দেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত সে স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয়েছিল একজন দেশপ্রেমিক নেতার নেতৃত্বে, তিনি হলেন শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাঙালি কে একটি নতুন মানচিত্র, একটা স্বাধীন ভূ-খন্ড উপহার দিতে পেরেছিলেন। বাংলাদেশের কথা বলতে গেলে যে নাম অবধারিত ভাবে চলে আসবে সে নাম হল শেখ মুজিবুর রহমান।
ছোটবেলা থেকেই শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি ১৯৪০ সালে নিখিল ভারত মুসলিম ছাত্র ফেডারেশন এবং পরবর্তীতে প্রগতিশীল সংগঠন বেঙ্গল মুসলিম লীগে যোগ দেন। বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগে যোগ দেন।বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে হোসেন সোহরাওয়ার্দীর সান্নিধ্যে আসেন।
শেখ মুজিবুর রহমান জাতির জনক ও বঙ্গবন্ধু উপাধিতে এমনি এমনি ভূষিত হননি, তিনি এটা অর্জন করেছেন নিজ যোগ্যতায় তার অসামান্য দেশপ্রেম ও সাহসের কারনে। বাঙালি জাতিকে পাকিস্তানি শাসন ও শোষণের কবল থেকে মুক্ত করতে আজীবন লড়াই করছিলেন বঙ্গবন্ধু।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্ম নেয়া সে সময়কার খোকা,সবার আদরের খোকা হচ্ছেন আমাদের শেখ মুজিবুর রহমান। গোপালগঞ্জের মিশনারি স্কুল থেকে ম্যাট্রিক ও কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে বি এ পাশের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে ভর্তি হন। সক্রিয় রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার কারণে ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে বহিষ্কার করে। এবং এই সময়ে তিনি দুবার জেল খাটেন। কারাগারের অভিজ্ঞতা তাকে রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং জাতির জনক হওয়ার ক্ষেত্রে ভুমিকা রেখেছিল
১৯৪৯ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সময় শেখ মুজিবুর রহমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। ১৯৫৪ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে ২২৭ আসনের মধ্যে ২২৩ আসনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করে। ২২৩ টি আসনের মধ্যে আওয়ামী মুসলিম লীগ ১৪৪ টি আসনে জয়লাভ করে। তখন শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন মুসলিম লীগ রাজনীতির মধ্যমনি। তখন তিনি নিজেও নির্বাচিত হন এবং শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের মন্ত্রীসভায় কৃষি ও বন মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। কিন্তু তখন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার এই মন্ত্রীসভা প্রত্যাখ্যান করে এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে ঢাকা বিমান বন্দরে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে ১৯৫৫ সালে শেখ মুজিব আবার পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তখন পুর্ব বাংলার নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান রাখার বিরুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিবাদ করেন এবং অন্যদিকে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার "আওয়ামী লীগ " নামে যাত্রা শুরু করে। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৬ সালে আতাউর রহমানের মন্ত্রীসভায় মন্ত্রী থাকা অবস্থায় মন্ত্রীত্ব ত্যাগ করে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্ত করার প্রত্যয় নেন যা বিরল ঘটনা।
১৯৫৮ সালে সামরিক আইন জারি করার পর তিনি আবার গ্রেফতার হন এবং ১৪ মাস কারাভোগের পর পূনরায় কারাগার ফটকে আবার গ্রেফতার করা হয়। হোসেন সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর পূর্ব বাংলার জণগণের স্বার্থে শেখ মুজিবুর রহমান দল পূনর্গঠনের কাজে হাত দেন। ১৯৫৬ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আইয়ূব খানের বিরুদ্ধে গিয়ে ফাতেমা জিন্নাহর পক্ষে কাজ করেন।তখনও তার নেতৃত্বে ভীত হয়ে সরকার নির্বাচনের পূর্বে শেখ মুজিব কে গ্রেফতার করে।
পাক ভারত যুদ্ধের সময় পূর্ব বাংলার অরক্ষিত অবস্থা এবং পরবর্তীতে আরও নানাবিধ বৈষম্যের প্রেক্ষাপটে ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেখ মুজিবুর রহমান ছয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন যা বাংলাদেশের স্বাধীনতার একটি শক্ত ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
১৯৬৬ সালের ৮ মার্চ বিদ্রোহের মাধ্যমে পুর্ব বাংলার স্বাধীনতা অর্জনের অভিযোগ এনে শেখ মুজিবুর রহমান সহ ৩৫ জনের নামে মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করা হয় যা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে পরিচিত। তখন শেখ মুজিবুর রহমান কে প্রায় তিন বছর জেলে থাকতে হয়। সে সময় আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার ও শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে গণআন্দোলন হলে আইয়ুব খান বাধ্য হয়ে ১৯৬৯ এর ২২ জানুয়ারি শেখ মুজিব কে মুক্তি দেয়।মুক্তি পাওয়ার পর ঢাকার রেসকোর্সের ময়দানে এক বিশাল সমাবেশে ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমান কে বঙ্গবন্ধু উপাধি তে ভূষিত করার প্রস্তাব উত্থাপন করলে তখন মাঠের সব জায়গা থেকে জয়বাংলা শ্লোগান এর মাধ্যমে তা অনুমোদন লাভ করে। সেই থেকে শেখ মুজিবুর রহমান বঙ্গবন্ধু হিসেবে পরিচিতি লাভ করে ।
পূর্ব বাংলার গণ আন্দোলনের মুখে আইয়ুব খান পরবর্তীতে সেনা প্রধান বেলুচিস্তানের কসাই হিসাবে পরিচিত ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। ১৯৭০ সালে পূর্ব বাংলায় ঘূর্ণিঝড় আঘাত আনলে এবং ক্ষতিগ্রস্তরা সাহায্য না পেলে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের ব্যর্থতার বিষয়ে জনসমক্ষে তুলে ধরেন। এবং পুর্ব বাংলার স্বাধীনতার বিষয়ে ইঙ্গিত দেন।সে বছর জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৬৯ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসনে জয়লাভ করে। ছয় দফারর দূটি দফার সাথে পাকিস্তান সরকার একমত না হলে ১৯৭১ সালের ১ মার্চ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দের প্রথম অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান। তখন বাঙালিরা ছয় দফা ছাড়িয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে উদ্ধুদ্ধ হয়।উত্তাল হয়ে ওঠে সারা দেশ। জয় বাংলা, পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা মিছিলে মিছিলে সয়লাব হয়ে যায় ঢাকা শহর। বঙ্গবন্ধু ক্ষুব্ধ জনতা কে শান্ত হতে বলেন। তিনি দুদিনের কর্মসূচি দিলেন। ৭ মার্চ জনসভা হবে সেখানে তিনি বক্তব্য দিবেন। শুরু হলো অসহযোগ আন্দোলন। ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র জনতার সামনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলিত হয়। পতাকা উত্তোলন করেন তখনকার ডাকসুর সহ সভাপতি আসম আব্দুর রব।
সন্ধ্যায় জারি হয় কারফিউ।গুলি চলে জনতার উপর।শেখ মুজিবুর রহমান তখন বলেছিলেন ---। "সাবধান, শক্তি দিয়ে জনগণের মোকাবেলা করবেন না। বাংলার মানুষ ট্যাক্স দেয় রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য,গূলি খাওয়ার জন্য নয় "। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাংলাদেশের সংগ্রামের ধারা পাল্টে যায়। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, আপামর জনতা যখন স্বাধীনতা সংগ্রামের সঠিক দিক নির্দেশনার অপেক্ষা করছিল সেই মূহূর্তে ১৯৭১ এর ৭ মার্চ রেসকোর্সের মঞ্চে উঠলেন শেখ মুজিবুর রহমান। সেদিন শেখ মুজিব দীপ্ত কন্ঠে কুটনৈতিক ভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বলিষ্ঠ কন্ঠে সেদিন তিনি বলেন "এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।" রেসকোর্সের সেদিনের বঙ্গবন্ধু র ভাষন বাঙালিদের কে জাগিয়ে তুলেছিল প্রবলভাবে স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে। সেদিনের সে ভাষন বঙ্গবন্ধু কে রাজনৈতিক কবিতে পরিণত করেছিল। ৭ই মার্চের ১৯ মিনিটের ভাষণ লিখিত ছিল না । কিন্তু একবারও থামতে হয়নি। আবেগে কেপেছিল মুখ, কিন্তু সমস্ত অবয়বে ছিল দৃঢ় প্রতিজ্ঞার ছাপ। বুঝা যায় তিনি পিছাবেন না। চলমান আন্দোলনের সমাধান বের করতে তখন ইয়াহিয়া খান শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বৈঠক করতে বাধ্য হন। ১৫ মার্চ ঢাকায় আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় ইয়াহিয়া খান পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যার পরিকল্পনা গ্রহন করে যা অপারেশন সার্চ লাইট নামে পরিচিত। তখন বঙ্গবন্ধু র পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা ছাড়া বিকল্প ছিল না। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে তিনি রেডিও তে বার্তা প্রেরণ করেন ----" এটাই হয়তো আমার শেষ বার্তা। আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমার আহ্বান আপনারা যে যেখূ থাকুন এবং যার যা কিছু আছে তা দিয়ে শেষ পর্যন্ত দখলদার বাহিনী কে প্রতিহত করুন। বাংলাদেশের মাটি থেকে পাকিস্তানের শেষ সৈনিক বিতাড়িত এবং চুড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।" শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে থাকলেও তার নির্দেশে জনগণ যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছিল।
১০ জানুয়ারির বক্তৃতায় শেখ মুজিব বলেছিলেন--- পাকিস্তানের কারাগারে থেকে আমি যখন মুক্ত হই তখন জনাব ভুট্টো আমাকে অনুরোধ করেছিলেন, সম্ভব হলে আমি যেন দু'দেশের মধ্যে একটা শিথিল সম্পর্ক রাখার চেষ্টা করি। আমি তাকে বলেছিলাম আমার জনগণের নিকট ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত আমি আপনাকে এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারি না। আমি এখন বলতে চাই,জনাব ভুট্টো সাহেব , আপনারা শান্তি তে থাকুন। বাংলার স্বাধীনতা আনার কৃতিত্ব তিনি সাধারণ মানুষ কে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন--------- আপনারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছেন। তিনি আরো বলছিলেন ---- "বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এখন যদি কেউ বাংলাদেশের স্বাধীনতা হরণ করতে চায় তাহলে সে স্বাধীনতা রক্ষার জন্য মুজিব সর্বপ্রথম প্রাণ দিবে।"
বঙ্গবন্ধু ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৭২ সালের মধ্যে তার জীবনের স্বর্ণালী সময় কারাগারে কাটিয়েছেন এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য, মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য। কারাগারকে তিনি দ্বিতীয় বাড়ি হিসেবে বিবেচনা করতেন। স্ত্রী সন্তানদের কাছ থেকে দূরে থাকার বেদনাও তিনি ভুলেছিলেন এদেশের স্বাধীনতার জন্য। বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাসে কল্পনা করা যায় না। বাংলাদেশের ইতিহাস খুঁজতে গেলে বঙ্গবন্ধুর নাম আসবেই, বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস খুঁজতে হবে।
প্রকৃতির উদারতার মত ছিল যার হৃদয় ,তাই দিয়ে এদেশ আর এদেশের মানুষ কে ভালবেসছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। সেই অকৃত্রিম ভালোবাসার কারনেই তিনি বঙ্গবন্ধু। গ্রাম্য সংস্কৃতি থেকে উঠে আসা সেই মহান পুরুষ যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন বাঙালির কথা ভেবেছিলেন। বাঙালি এমনি এমনি জেগে উঠেনি। তাদের জাগাতে হয়েছিল। আর সেই জাগানোর কাজটা করেছিলেন শেখ মুজিব। লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য তার যে একাগ্রতা, সাহস ও ধৈর্য ছিল সে কারনেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন আমাদের জাতির পিতা। বাংলা ও বাঙালির জন্য তার নিখাদ ভালোবাসার জন্য বিবিসি বাংলা বিভাগের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্ধারণে যে শ্রোতা জরিপ হয়েছিল, শ্রোতাদের ভোটে শেখ মুজিবুর রহমান সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিষয়: এস ডি সুব্রত
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: