সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১

ভালেন্তিনা তেরেসকোভা: মহাকাশে প্রথম নারী নভোচার : নবনীতা চট্টোপাধ্যায়


প্রকাশিত:
৩ ডিসেম্বর ২০২০ ২০:১৭

আপডেট:
৩ ডিসেম্বর ২০২০ ২১:২৬

ছবিঃ ভালেন্তিনা তেরেসকোভা

 

১৯৬৩ সালের ১৯শে জুনের সকাল|রৌদ্রমাখা শস্যক্ষেতে কাজে ব্যস্ত স্থানীয় কৃষকেরা।  সোভিয়েট ইউনিয়নের আলটাই প্রদেশের বেইভো জেলার সেই শস্যক্ষেতে হঠাৎ করে আকাশ থেকে নেমে এলেন এক তরুণী নভোচারিনী। সহসা এই ঘটনায় তুমুল আলোড়ন পরে গেল চারপাশে। আশপাশ থেকে ছুটে এলেন সাধারণ মানুষ। ভিড় জমে গেল। মহাকাশযান থেকে বেরিয়ে সেই আত্মবিশ্বাসী তরুণী জানালেন তিনি ভালেন্তিনা তেরেসকোভা। হৈ হৈ পড়ে গেল। গত তিনদিন ধরে মস্কো রেডিওতে বারবার যার নাম ঘোষিত এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রতিটি সংবাদপত্রে শিরোনামে যার নাম দেখছে সবাই,যার কথা শুনে রোমাঞ্চে...ভালোলাগায়...গর্বে শিহরিত হয়ে যাচ্ছে সোভিয়েত ইউনিয়নের নারী পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি সাধারন মানুষ সেই ভালেন্তিনা তেরেসকোভা তাদের চোখের সামনে? সবাই ছুটে এসে তাকে সাহায্য করলেন মহাকাশযান থেকে বেরিয়ে মাটিতে নেমে আসতে। আশেপাশের বাড়ী থেকে চলে এল তার জন্য দুধ, ফল, ব্রেড। ভালেন্তিনা হাসিমুখে সাদরে গ্রহণ করলেন এই ভালোবাসা। পরিবর্তে তার কাছে মহাকাশ অভিযানের যে অবশিষ্ট খাদ্যসামগ্রী ছিল তা বিলিয়ে দিলেন জনতার মাঝে। সহসা ভিড় ঠেলে এগিয়ে এলেন এক অশীতিপর বৃদ্ধা। অনেকক্ষণ থেকেই তিনি একদৃষ্টে এই আত্মবিশ্বাসী  তরুণী মহাকাশ অভিযাত্রীকে লক্ষ্য করছিলেন। কাছে এসে বললেন "হ্যাঁ গো মেয়ে, মহাকাশে তুমি কি ঈশ্বরের দেখা পেয়েছ?"

ভালেন্তিনা মিষ্টি হেসে সেই বৃদ্ধার হাতদুটি ধরে উত্তর দিলেন "মা আমি তাঁর দেখা পাইনি। আসলে আমি যেপথ ধরে গেছি ঈশ্বরের কাছে যাবার পথ তা নয়। ঈশ্বর হয়তো আরো উর্ধ্বে বিরাজ করেন।"
           

ভালেন্টিনা তেরেসকোভা, যার জীবন এক রূপকথার গল্প। যাকে বলা হয় রাশিয়ার সিন্ড্রারেলা। আজ থেকে ৫৭ বছর আগে মহাকাশ অভিযানের দু:সাহসিকতা যিনি দেখিয়েছিলেন বিশ্বের প্রথম মহিলা এবং তরুণতম অভিযাত্রী হিসাবে। কিন্তু তার জীবনের শুরুটা হয়েছিল খুব সাদামাটা ভাবে। ১৯৩৭ খৃস্টাব্দে ৬ ই মার্চ পশ্চিম রাশিয়ার মাসলেনিকোভ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ভ্লাডিমির তেরেশকোভা একজন ট্রাক্টর ড্রাইভার ছিলেন। মা এলেনা তেরেশকোভা বস্ত্রশিল্পে কাজ করতেন।  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সৈনিক হিসাবে যোগদান করে ভ্লাডিমির নিহত হন। ভালেন্তিনার বয়স তখন মাত্র দুই। মায়ের সামান্য রোজগারে তাদের তিন ভাইবোনকে খুব কষ্ট করে জীবনযাপণ করতে হয়েছিল। আটবছর বয়সে ভালেন্তিনা স্থানীয় একটি স্কুলে ভরতি হলেন। কিন্তু ১৯৫৩ খৃস্টাব্দে তিনি সংসারের চাপে স্কুল ছেড়ে দিয়ে বস্ত্রশিল্পে কাজে যোগদান করলেন। দূরবর্তী শিক্ষণের মাধ্যমে তিনি তার শিক্ষাব্যবস্থা অব্যাহত রাখলেন। তার মধ্যে একটি ব্যতিক্রমী ব্যাপার ছিল তা হলো ছোটবেলা থেকে তিনি প্যারাশুট নিয়ে আকাশে ওড়ার ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন। তার মনে হয়েছিল এটা সেই স্পোর্টস যা তার মনে অনেক আত্মবিশ্বাস ও সাহস এনে দেবে। এই ব্যাপারে প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য তিনি স্থানীয় একটি এরো ক্লাবে ভর্তি হলেন। ১৯৫৯ সালে তিনি প্রথম প্যারাশুট নিয়ে আকাশ থেকে ঝাঁপ দেন। পরবর্তী সময়ে ২০০টির ও বেশি বার তিনি কখনো স্থলভূমিতে কখনো দুরন্ত ভলগা নদীতে আকাশ থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন। এই দু:সাহুসিক স্পোর্টসে অংশগ্রহণ করার জন্য তার মা তাকে সাবধান করে বলেছিলেন "হাতপা ভেঙ্গে গেলে আর বাড়ী ফিরো না।" কিন্তু তেরেসকোভা বরাবর উপভোগ করেছেন এই স্পোর্টস। প্রতিবার মহাশূন্যে নিজেকে ভাসিয়ে দেবার সময় তার শরীরে ও মনে এক অত্যাশ্চর্য অনুভূতি আসত যে আনুভূতি তাকে শারিরীক ও মানসিকভাবে অনেক শক্তিশালী করে তুলেছিল। উপরন্তু আকাশে ওড়ার এই দক্ষতা তাকে নভোচারী হতে পরবর্তীকালে অনেক সহায়তা করেছিল।
        

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েট ইউনিয়নের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, মহাকাশ অভিযান ইত্যদি নানা ব্যাপারে তীব্র প্রতিদ্বন্ধিতা শুরু হয়। মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে রাশিয়া আমেরিকাকে অনেক পিছনে ফেলে দিয়েছিল বিশ্বে সর্বপ্রথন প্রাণী লাইকাকে পাঠিয়ে। তারপর য়ুরি গ্যাগারিন প্রথম মানব হিসাবে মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচনা করে দিলেন।  সোভিয়েট মহাকাশ অভিযানের ডিরেক্টর নিকোলাই কামানিনের ভাবনায় এলো বিশ্বে সর্বপ্রথম কোনো নারীকে মহাকাশ অভিযানে পাঠানোর কথা। এই ব্যাপারে আমেরিকা কিছু করে ওঠার আগেই সোভিয়েট রাশিয়া  যাতে এই পরিকল্পনায় সফল হয়ে ওঠে তার জন্য তারা তৎপর হয়ে উঠলেন। এইজন্য প্রাথমিক ভাবে বাছাই করা হলো ৪০০ জন মহিলাকে। সর্বশেষে অনেক কঠিন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর মাত্র ৪ জন নির্বাচিত হলেন|ভালেন্তিনা এই চার জনের একজন ছিলেন। তারপর দীর্ঘদিন ধরে চলল নানান ধরণের প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষা। একাকীত্ব পরীক্ষা, রকেট তত্ত্বের পরীক্ষা, পাইলটের প্রশিক্ষণ, থার্মোচেম্বার টেস্ট, ডিকম্প্রেশন চেম্বার টেস্ট, প্যারাশুটিং ইত্যাদি আরো অনেক কিছু। এইসব কঠোর প্রশিক্ষণ অন্তে পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হবার পর তাদেরকে সোভিয়েত ইউনিয়নের রেগুলার এয়ারফোর্স অফিসার হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হল। সবার মধ্যে ২৬ বছরের আত্মবিশ্বাসী তরুণী যিনি কম্যুনিস্ট লীগের সদস্য, প্যারাশুট ও স্কাই ডাইভিং এ অসাধারণ দক্ষতার বিচারে নির্বাচিত হলেন ভালেন্তিনা তেরেশকোভা বিশ্বের প্রথম মহিলা মহাকাশচারী হিসাবে। সোভিয়েট ইউনিয়নের পরিকল্পনা ছিল একই সাথে ভস্টক ৫ ও ভস্টক ৬ দুটি মহাকাশযান পাঠানো। ভস্টক ৫ এর নভোচার ছিলেন ভালেরি বাইকোভস্কি।  মহাকাশ অভিযানের পুরো ব্যাপারটা সোভিয়েট ইউনিয়ন এতো গোপনতার মধ্যে রেখেছিল যে ভালেন্তিনা তার মাকেও জানাতে পারেননি তার মহাকাশ যাত্রার কথা।
         

১৯৬৩ খৃস্টাব্দের ১৪ ই জুন ভস্টক ৫ এর সফল উৎক্ষেপণের দুইদিন পর ১৬ ই জুন স্থানীয় সময় সকাল ১২টা বেজে ২৯ মি.ভস্টক ৬ এর উৎক্ষেপণ হলো। তার আগে তেরেশকোভাকে মহাকাশ স্যুট  পরিয়ে একটি বাসে করে উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে নিয়ে আসা হলো। তার যোগাযোগ ব্যবস্থা ও জীবন রক্ষাকারী সবকিছু ভালোভাবে পরীক্ষা করে তাকে ভস্টক৬ মহাকাশযানের মধ্যে আবদ্ধ করা হল। মহাকাশযানে ওঠার মূহুর্তে তেরেশকোভা আকাশের দিকে মুখ তুলে আত্মবিশ্বাসের সাথে বললেন "হে আকাশ, তুমি টুপি খুলে অভিবাদনের জন্য তৈরী হও...আমি আসছি।"

মস্কো রেডিয়ো তে ঘোষিত হলো এই আনন্দ বার্তা। সোভিয়েট ইউনিয়নের প্রতিটি সংবাদপত্রের শিরোনামে প্রকাশিত হলো পৃথিবীর প্রথম মহিলা নভোচারের ছবি। সোভিয়েত ইউনিয়নের নাগরিক ভালেন্তিনা তেরেশকোভা প্রথম একজন নারী মহাকাশ অভিযানের এই বার্তা রেডিয়োতে ঘোষণা  হলে তেরেশকোভার মা আনন্দে বিহবল হয়ে গেলেন। তাঁর বিশ্বাস ই হচ্ছিল না তাঁর কন্যা এতবড় গর্বও কৃতিত্বের অংশীদারী।  শুধু সোভিয়েত ইউনিয়ন নয় সারা বিশ্বের সমস্ত মানুষের উত্তেজনা ও গর্বের বিষয় হয়ে গেলেন তেরেশকোভা। ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করলেন তিনি। ভস্টক ৬ এর কল সিগন্যাল ছিল সীগাল। উৎক্ষেপণের পরে পরেই তেরেশকোভা রেডিও বার্তা পাঠালেন "কল সিগন্যাল সীগাল বলছি। আমার চারপাশে সবকিছু ঠিক আছে। আমি দিগন্ত দেখতে পারছি। নীল দিগন্তে গাঢ় রং এর আভাস। পৃথিবী কত সুন্দর এখানে এসে বুঝতে পারছি।  চারপাশে সব কিছু ঠিক আছে"
       

ভালেন্তিনার হাসিমুখের ছবি ও বার্তা পৃথিবীতে এসে পৌছলে ও একথা সত্যি যে উৎক্ষেপণের পরে বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। উৎক্ষেপণের পর দেখা গেল যে মহাকাশযানটি নির্দিষ্ট কক্ষপথ থেকে সরে সরে যাচ্ছে। এই অবস্থাকে নিয়ন্ত্রন করতে না পারলে ভালেন্তিনা হয়তো মহাকাশেই হারিয়ে যেতেন। ভালেন্তিনা ভুলটিকে চিহ্নিত করে পৃথিবীতে সমস্যা সমাধানের জন্য পাঠালেন। ভস্তক ৬ একটি স্বয়ংচালিত মহাকাশযান ছিল কিন্তু তার প্রোগ্রামিং এ কিছু ভুল ছিল। সোভিয়েট ইউনিয়নের মহাকাশ কেন্দ্র থেকে প্রোগ্রামটি ঠিক করে ভালেন্তিনা কে পাঠানো হলো। ভালেন্তিনা প্রথমদিন অসফল হলেও দ্বিতীয়দিন ঠিকমত প্রোগ্রামটি নিয়ন্ত্রন করতে পেরেছিলেন। এই অভিযানের চীফ ইঞ্জিনীয়ার সার্গেই এই তথ্য তিরিশ বছর ধরে গোপন রেখেছিলেন সোভিয়েত কর্তাব্যক্তিদের নির্দেশে। এছাড়াও উৎক্ষেপণের পর থেকেই ভালেন্তিনার  বমিবমি ভাব ও মাথাব্যথা শুরু হয়েছিল যার জন্য প্রথম দিন তিনি তার নির্দিষ্ট কাজগুলি সম্পন্ন করতে পারেন নি। দ্বিতীয় দিনে করেছিলেন এবং তৃতীয় দিনে তিনি মহাকাশ থেকে সোভিয়েট প্রধানমন্ত্রী ক্রুশ্চেভের সাথে কথা বলেন। এমন কি ভস্টক৫ এর মহাকাশচারী ভালেরি বাইকভোস্কির সাথে রেডিও বার্তার মাধ্যমে কথা বলেন এমনকি গান ও করেন যাতে স্পষ্ট হয় তিনি মহাকাশ অভিযান রীতিমতো উপভোগ করছেন। মোট ৪৮ বার ভালেন্তিনা পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করেছিলেন এবং ৭০ ঘন্টা ৫০ মিনিট মহাকাশে ছিলেন যা কিনা অন্য অনেক মহাকাশচারীর থেকে বেশি ছিল। তার এই অভিযান প্রমাণ করে দিল যে মহাকাশ অভিযানে অভিকর্ষ বল সহ্য করার ক্ষেত্রে পুরুষের থেকে নারীর শারিরীক ও মানসিক  চাপ নেওয়ার ক্ষমতা বেশি।
         

১৯ শে জুন ১৯৬৩, আলতাই এর বেইভো জেলায় তেরেসকোভা অবতরণ করেন। অবতরণের কিছু আগে থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সেই অবতরণ ও খুব একটা নিঝঞ্চাট ছিল না। তাই নির্দিষ্ট জায়গা থেকে দূরে তিনি অবতরণ করতে বাধ্য হন। অবতরণের সময় নাকে কিছুটা চোট ও পেয়েছিলেন।  অবতরণের সাথে সাথে সাধারণ মানুষ তাকে ঘিরে ধরে এবং তার জন্য খাবার ও নিয়ে আসে। ভালেন্তিনা ফেরার আনন্দে তার কাছে থাকা অবশিষ্ট খাদ্য গ্রামবাসীদের মধ্যে বিলিয়ে দেন। ফলে এই অভিযানে বিপাক সম্পর্কিত তথ্যগুলি উদ্ধার করতে পারেননি গবেষকের দল। এছাড়া অবতরণের পরেই কোনো মেডিকেল টেস্টের আগেই খাদ্য গ্রহণ করার জন্য তিনি সমালোচনার মুখোমুখি ও হন।
        

মহাকাশ অভিযানের পর ভালেন্তিনা সোভিয়েটের সম্মানিত মুখ হয়ে উঠলেন। তাকে সোভিয়েট ইউনিয়নের জাতীয় নায়ক ও আন্তর্জাতিক রোল মডেল হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হলো। বিশ্বের নানান প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে বহুবিধ পুরস্কার ও সম্মান দেওয়া হলো। সারা পৃথিবী তিনি আমন্ত্রনমূলক সফরে ঘুরে বেড়িয়েছেন ও বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতা দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন নামকরা ব্যক্তিত্ব যেমন ফিদেল কাস্ত্রো, রানী এলিজাবেথ ইত্যাদির সাথে পরিচিত হয়েছেন। চাঁদের একটি অংশের নাম রাখা হয়েছে তেরেশকোভা। ১৯৭৭ খৃস্টাব্দে তেরেশকোভা এরোনটিকাল এঞ্জিনীয়ারিং এ ডক্টরেট উপাধি পান এবং পুনর্বার মহাকাশ অভিযানের জন্য কোয়ালিফায়েড হন যদিও তিনি আর কখনো মহাকাশ অভিযানে যাননি। ১৯৬৩ নভেম্বরে তেরেশকোভা নভোচার আন্দ্রিয়ান নিকোলায়েভের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের কন্যা এলেনা পেশায় একজন চিকিৎসক। ১৯৮২ সালে তেরেশকোভা ও নিকোলায়েভের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এবং তেরেশকোভা ইউলি শাপশ্নিকোভ নামক চিকিৎসক কে বিবাহ করেন| পরবর্তী জীবনে তেরেসকোভা রাজনীতিতে যোগ দেন। খুব অল্প বয়স থেকেই তিনি সোভিয়েট কম্যুনিস্ট পার্টির সদস্য ছিলেন। ১৯৯১ খৃস্টাব্দে রাশিয়ায় কম্যুনিস্ট পার্টির পতনের পর ও তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন। ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির সাথে তিনি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।
        

এখন তার বর্তমান বয়স ৮৩ বৎসর। কিন্তু বয়স তার চিন্তা ভাবনা ও আত্মবিশ্বাসকে টলাতে পারেনি। এখনো তিনি মঙ্গলগ্রহে পাড়ি দেবার অভিযানে অংশীদার হতে রাজী, হোক না সেই অভিযান একমুখী।  কেননা ভালেন্তিনা তেরেশকোভা সেই নারী যিনি শিখিয়েছেন পৃথিবীর অর্ধেক আকাশ যদি আত্মবিশ্বাসী হয় তবে মহাকাশ তাদের হাতের মুঠোয় থেকে যাবে অনায়াসে।

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top