সিডনী শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৪, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মদিঘি : শাহানারা পারভীন শিখা 


প্রকাশিত:
১০ মে ২০২১ ২২:৫১

আপডেট:
২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:০৫

ছবিঃ শাহানারা পারভীন শিখা

 

টলমলে দিঘির জলে তিথি পা ডুবিয়ে বসে আছে। শীত চলে গেছে। ফাগুন মাস। তবু্ও রাতের বেলা হালকা শীত আছে। অথচ দিঘির জল বেশ উষ্ণ। তিথি হাত দিয়ে পানি নাড়তে থাকে। জলে হালকা ঢেউ কেটে যায়।
আজ পূর্ণিমা। আকাশের বিশাল চাঁদ দিঘির জল ছুঁয়ে আছে। রাতটা বড্ড মায়াবী। আনন্দে ভেসে যায় তিথি।
দিঘির মাঝে চোখ রাখে।
অনেক পদ্মফুল ফুটে আছে। বেশ বড় একটা পদ্মফুলে চোখ আটকে যায় ওর। আনমনা তিথি হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দিতে চাই। কিন্তু পদ্মফুলটা বেশ দুরে।
কেমন একটা ঘোরলাগা ভাবে তিথি উঠে দাঁড়ায়। পা বাড়ায় সামনে। হঠাৎ পানিতে পড়ে যায় সে। ডুবে যেতে থাকে। চিৎকার করে ওঠে...
ঘুম ভেঙে যায় তিথির। পাশে তাকিয়ে দেখে রিয়াজ গভীর ঘুমে। অদ্ভুত সেই স্বপ্নের কথা মনে পড়ে ওর। গলা শুকিয়ে গেছে। ঘড়িতে দেখে রাত বারোটা।
উঠে পানি খায় । এখন আর ঘুম আসবে না। তার চেয়ে বারান্দায় বসে চাঁদনি রাতটা একটু উপভোগ করে আসি।ভাবে তিথি।
রিয়াজকে ডাকতে যেয়েও ডাকেনা। সারাদিনের জার্নি তে বেশ ক্লান্ত। তাই তাড়াতাড়িই ঘুমিয়ে পড়েছে আজ।
তিথি বারান্দার চেয়ারে এসে বসে।
চাঁদের আলোয় ঝলমল করছে চারপাশ। সামনের বাগানে ফুলে ভরা। কেমন অপার্থিব দৃশ্য। মন ভালো হয়ে যায় তিথির। গুনগুন করে গান গায় ও। বারান্দার কোনায় এসে সামনে তাকাতেই দূর থেকে দেখতে পায় টলটলে দিঘি। অনেক পদ্মফুলের ঠিক মাঝখানে ফুটে আছে একটা লালপদ্ম।
তিথি সিড়ি দিয়ে নেমে আসে নীচে। বাগান পেরিয়ে হাটতে থাকে আনমনে। নিজের মধ্যে নেই যেন সে। একসময় এসে দাঁড়ায় সেই পদ্মদিঘির পাড়ে।
বারান্দার খোলা দরজা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস ঘরে ঢুকে। কেমন ঠান্ডা লাগে রিয়াজের। কম্বলটা নিতে যেয়ে দেখে বিছানায় তিথি নেই। মেয়েটার জোসনা প্রীতি ওর অজানা নয়। নিশ্চয় চাঁদ দেখতে বারান্দায় গেছে। চাদরটা গায়ে জড়িয়ে বারান্দায় আসে। কেউ নেই এখানে। তাহলে হয়তো বাগানে। আজকে আচ্ছা করে ধমক দিতে হবে দেখছি।
রিয়াজের খুব রাগ হয়।
হোক না এটা ওদের নিজের বাড়ি। তবুও তো অচেনা। বহু বছর হয় তিথিদের এই বাড়িতে যাতায়াত নেই। অচেনা জায়গায় এরকম হুট করে বের হতে হয় নাকি!
ওকে ডাকলেও তো পারতো। সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে নীচে নেমে আসে। চারপাশে তাকিয়ে দেখে কোথাও কেউ নেই। একাই এগিয়ে যায়। নিম্ন স্বরে তিথিকে ডাকতে থাকে।
বহু বছরের পুরোনো কেয়ারটেকার কাম দারোয়ান মিজানের ঘুম ভেঙে যায় হাঁটা চলার শব্দে। দরজা খুলে বাইরে আসে। দেখে চৌধুরী বাড়ির ছোট জামাই একা একা সামনে হেঁটে যাচ্ছে।
ছোট সাহেব কই যাইতাছেন?
তোমার আপা ঘরে নেই। খুঁজতে যাচ্ছি।
কি কন সাহেব! এই রাতের বেলা আফা কই গেল? হায় আল্লাহ! আমার চাকরি থাকবোনা আর।
লন চলেন দুইজন মিল্যা খুঁজি আফারে।
কোনদিকে যাবো বলোতো মিজান।
বায়ে তো সব বসত বাড়ি। ডানে তো দিঘি।
আফায় ওই দিকে যায়নি তো।
হায় আল্লাহ। আমার আফার যেন কুনো বিপদ না হয়।
কেন? বিপদ হবে কেন?
অহন কওন যাইবো না।
তাড়াতাড়ি চলেন।
নিশ্চয়ই এই পদ্মদিঘি নিয়ে কোন রহস্য আছে! রিয়াজ মনে মনে ভাবে।
দ্রুত হাঁটতে থাকে সে।
দিঘির পারে এসে রিয়াজ অবাক হয়ে যায়।
দেখে তিথি সিড়িতে পড়ে আছে ।ওর হাতে একটা লালপদ্ম।

পরদিন সকালে তিথির যখন ঘুম ভাঙে। দেখে রিয়াজ উদ্বিগ্ন চেহারায় ঝুঁকে আছে তার দিকে।
চোখ মেলতেই জিজ্ঞেস করে, এখন শরীর কেমন আছে?
তিথি উঠে বসে।
ওর বড় বোন তিন্নি আর ওর জামাইকেও দেখতে পাই এখানে।
-কিছু হয়নি তো আমার। আমি ঠিক আছি।
আপু বাবা কোথায় রে?
বড় বোন তিন্নির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে সে।
এলাকায় ঘুরতে বেরিয়েছে।
তিথি একটু অবাক হয়।
গতরাতের ঘটনা নিয়ে সবাই কেমন টেনশন করছে। আর বাবা ঘুরতে বেরিয়েছে!
ফ্রেশ হয়ে সবার সাথে নাস্তা সেরে তিথি উপরের বারান্দায় এসে বসে। একটু ক্লান্ত লাগছে আজ।
এখান থেকে দিঘিটা স্পষ্ট দেখা যায়। চোখ বন্ধ করে গতরাতের কথা ভাবতে থাকে।
দোতলার বারান্দা থেকে জলদিঘির দিকে চোখ পরার সাথে সাথে কি যে হলো তার! নিশি ডাকের মতো হেঁটে চলে গেলো সেই দিঘির পাড়ে। সিড়িতে বসে পা দুটো পানিতে রেখে বসে থাকে। দিঘির জলে ভেসে থাকা পদ্মফুলের দিকে পলকহীন তাকিয়ে থাকে। কি এক অজানা টানে উঠে সামনে এগোতেই পা পিছলে জলে পড়ে যায়। কেউ একজন একটানে তাকে পানি থেকে তুলে আনে।
চমকে পিছনে তাকায়। দেখে শুভ্র বসনা এক নারী। সৌন্দর্য সমস্ত শরীর থেকে ঠিকরে পড়ছে।বড্ড চেনা মনে হয়।
-তিথি। তুমি পানির মধ্যে নেমে কোথায় যাচ্ছিলে?
-আমি ঐ জলপদ্মটা আনতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ পিছলে পড়ে...
আচ্ছা আপনি কে?
আপনাকে খুব চেনা মনে হচ্ছে।
- মনে করো আমি তোমার মা।
এসো এখানে বসে জোসনা গায়ে মাখি। আর গল্প করি।

আন্টি আপনি কি এখানেই মানে এই গ্রামেই থাকেন?
- হ্যা। এখানেই থাকি। চৌধুরী বাড়িতে।
চমকে উঠে তিথি।
-কি হলো তোমার গল্প বলো।
অবাক তিথি নিজের কথা বলতে শুরু করে...
"তিথি আর তিন্নি । ওরা দুবোন। খুব ছোট বেলায় ওদের মা মারা যাবার পর বাবার সাথে বিদেশে চলে যায়।
রিয়াজের সাথে বিয়ের পর এবারই প্রথম ওরা সবাই মিলে দেশের বাড়িতে এসেছে।
এর আগে মাত্র দু'বার দেশে এসেছে। কিন্তু ওর বাবা একবারের জন্যও এখানে আনেনি ওদেরকে।
ওর খুব ইচ্ছে করতো গ্রামের বাড়িতে আসতে।এখানকার কোন স্মৃতিই ওর মনে নেই। তবুও কেমন একটা টান কাজ করেছে ওর মধ্যে। আবছা ভাবে মায়ের মুখটা মনে আছে ওর। দেয়ালে টানানো মায়ের ছবি দেখেছে। সে ছবিও বাবা সরিয়ে রেখেছে বহু বছর আগে।
শুনেছে তার মা ছিল এই এলাকার সবচেয়ে সুন্দরী। তবে খুব সাধারণ পরিবারের মেয়ে ছিলেন।
তার শহুরে পড়াশোনা করা বাবা এক দেখাতেই ওর মাকে পছন্দ করেন এবং বিয়েও করেন।
কি যে হয়েছিল মায়ের! বড় বোনের সাত আর ওর যখন পাঁচ বছর বয়স তখন ওদের মা আত্মহত্যা করে।
- তোমার মা কেন আত্মহত্যা করেছিল তা কি তোমরা জানো?
না। তবে বাবার কাছে জেনেছি, মা নাকি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ওটা করেছেন।
- আন্টি এখন আপনার কথা বলেন।

একটু চুপ করে থেকে তিনি বলতে থাকেন নিজের জীবনের গল্প।
" আমি কুসুম। গ্রামের সবাই আমাকে খুব পছন্দ করতো। গ্রামের একজনের সাথে সম্পর্ক হয় আমার । প্রতিদিন ও আমাকে এই দিঘির জল সাঁতরে লুকিয়ে পদ্মফুল এনে দিত।
চৌধুরী পরিবারের নিজস্ব দিঘি এটা। সাধারণের নামা বারণ ছিল। ভীষণ রাশভারি আর রাগী ছিলেন চৌধুরী সাহেব।
ওর নাম ছিল মোহন। অন্য ধর্মের ছিল।
আমাদের তখন অল্প বয়স। ধর্মের ব্যবধান বোঝার মত তেমন ভাবনা মনে আসেনি।ছোটবেলা থেকে একসাথে বড় হয়েছি।
মোহন লুকিয়ে চৌধুরীদের দিঘি থেকে পদ্ম তুলে আমাকে দিত। আমি খোপায় গুজে ঘুরে বেড়াতাম সারা গ্রাম।
একসময় জানাজানি হয়ে যায় আমাদের কথা।
এর মধ্যে বাবা মা অনেকটা জোর করেই চৌধুরী সাহেবের ছোট ছেলে রুদ্র চৌধুরীর সাথে বিয়ে দিয়ে দেন।

বিশাল চৌধুরী বাড়ির বৌ হওয়ার পর সংসারের ভারে আমি মোহনকে আস্তে আস্তে ভুলে যেতে থাকি।
- আন্টি! মোহন কি আপনাকে ভুলতে পেরেছিল?
একটু চুপ থেকে উনি বলেন, না।
আমার বিয়ের পর একবারই ওর সাথে দেখা হয়েছিল। ওকে অনুরোধ করেছিলাম এই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে। বড় সাহেব ভয়ানক মানুষ।
কিন্তু মোহন চলে যায়নি। থেকে গেছে এই গাঁয়েই। তবে কখনোই আর আমার সাথে দেখা করেনি।

এরপর আমার প্রথম মেয়ে তিন্নির জন্ম হয় ঘর আলো করে। আনন্দের বন্যা বয়ে যায় চৌধুরী পরিবারে।
এরপর দ্বিতীয় সন্তান তিথি হলো।
দুমেয়ে আর সংসার নিয়ে অনেক ব্যস্ত তখন।
এর কিছুদিন পরেই দু'বছরের জন্য ছোট সাহেব বিদেশে যান।
একদিন দুপুরে দিঘির পারে আনমনে বসে ছিলাম। হঠাৎ মোহনকে দেখি।একটা পদ্মফুল ওর হাতে।
আমাকে ওটা খোঁপায় পরতে বলে।
ওর কথা ফেলতে পারিনি।
আমাদেরকে দেখে ফেলে এ বাড়ির কেউ।
এরপর ছোট সাহেব ফিরে এলেন।
কেউ একজন তাকে মোহনের সাথে আমার দেখা হওয়ার কথা জানিয়ে দেয়।
উনি আমাকে সন্দেহ করতে শুরু করেন।
আমাদের সম্পর্ক দিনে দিনে আরও খারাপ হতে থাকে।
এতে পরিবারের কয়েকজন আরো উসকে দেয়।আমার আর মোহনের আগের সম্পর্ক নিয়ে বানিয়ে বানিয়ে নানা কুৎসা রটনা করে বেড়ায়।
মোহনের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। বহুবার বলেছি। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করননি আমাকে।

উনি আমাকে রেখে মেয়েদুটোকে নিয়ে বিদেশে চলে যাবেন বলে জানিয়ে দেন।

এরপর এক পূর্নিমা রাতে এই দিঘির জলে মোহনের লাশ ভাসতে দেখা যায়।
চৌধুরী পরিবার থেকে জানানো হয় এটা আত্মহত্যা। কিন্তু গ্রামের সবাই বলাবলি করে যে এটা হত্যা।
আমি ভেঙে পরি। মোহনের মৃত্যুর জন্য নিজেকে দায়ী মনে হয়।
একদিকে ছোট সাহেবের অবহেলা আর মোহনের মৃত্যু। আমি দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে থাকি।
তারপর ও ফুটফুটে মেয়ে দুটোর মুখের দিকে তাকিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করেছি।
কিন্তু পূর্ণিমা এলেই এলোমেলো হয়ে যেত মাথাটা। পদ্মদিঘির বুকে ফুটে থাকা লাল পদ্ম। আমাকে চুম্বকের মতো টেনে নিত সেখানে।

এমনই এক পূর্ণিমায় একা বসে ছিলাম এই ঘাটে। দিঘির মাঝে পলকহীন তাকিয়ে থাকি।
মনে হলো মোহন আমাকে ডাকছে পদ্মফুল হাতে। আমি হাত বাড়িয়ে ফুলটা ধরতে যেতেই পা পিছলে পানিতে পরে যাই।
ডুবে যেতে যেতে দেখি ছোট সাহেব দাঁড়িয়ে আছেন দিঘির ঘাটে।

কুসুম তো আমার মায়ের নাম ছিল।
আপনি! আপনি আমার মা!
তিথি মাথা তুলে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পায় না।

"কিরে তিথি ওদিকে তাকিয়ে কি ভাবছিস?"
তিন্নির ডাকে চমকে ওঠে ও।
কিছু না আপু।
আচ্ছা আপু তোর কি মায়ের কথা কিছু মনে আছে?
মা খুব সুন্দর ছিল তাইনারে!
হ্যা রে। কিন্তু আমি খুব ছোট ছিলাম। মায়ের তেমন কোন স্মৃতি ই মনে নেই রে।
তবে একটা বড় বাঁধানো ছবিতে দেখেছি মাকে।

আমি দেখেছি মাকে।
তিন্নি চমকে তিথির দিকে তাকায়।

"কই গো আপা মনিরা ছোট সাহেব তোমাদেরকে ডাকছে।" মিজানের কন্ঠ পায় ওরা।
তিন্নি বলে, চল! চল! বাবা ফিরেছে।
তোর গতরাতের ঘটনা জেনেছে মন হয়।
খুব বকাবকি করছিল।
আমাদেরকে দিঘির ওদিকটায় যেতে নিষেধ করেছে। ওটা নাকি অভিশপ্ত দিঘী।
দুবোন নীচে নেমে আসে।
তিন্নির মেয়েটা পড়ে যেয়ে ব্যাথা পেয়েছে। তিন্নি ছুটে মেয়ের কাছে যায়।

তিথি ওর বাবার রুমে এসে দাঁড়ায়।
বাবা আমায় ডেকেছ?
হ্যা! শুনলাম তুমি দিঘির ঘাটে অজ্ঞান হয়ে পরে ছিলে।
না বাবা আমি ঘুমিয়ে...
কথা থামিয়ে দিয়ে ওর বাবা বলেন, ঐ দিঘিটা অভিশপ্ত। ওখানে তোমার মা আত্মহত্যা করেছিল।
তিথি ঠান্ডা দৃষ্টিতে ওর বাবার চোখে চোখ রাখে।
ওর বাবা কিছু বলতে যেয়েও বলেন না।
চোখ নামিয়ে নেন।
মেয়ের দৃষ্টিতে স্পষ্ট ঘৃণার ছাপ তিনি দেখতে পান।

কথা ছিল কয়েকদিন থাকবে সবাই। আনন্দ করবে। কিন্তু তিথির বাবা মেয়েদের কে ফিরে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে বলেন।
তিথি তিন্নি দুজনেই আরো কয়েকটি দিন এখানে থাকবে জানিয়ে দেয় ওদের বাবাকে।
তিন্নিকে না বললেও তিথিকে না বলার শক্তি যেন হারিয়ে ফেলেছেন তিনি।
মেয়েটার চোখে তিনি ঘৃণা দেখেছেন।
তবে কি মেয়েটা সব জেনে গেছে!
কিন্তু কিভাবে?
তবে কি সবাই যা বলে সেটাই সত্যি!
প্রতি পূর্ণিমার রাতে কুসুমকে দিঘির ঘাটে দেখা যায়।
তবে কি গতরাতে কুসুম এসেছিল পদ্মদিঘির ঔ ঘাটে?
চৌধুরী পরিবারের সবাই ফিরে যায়।
আবারো নিরব হয়ে যায় একসময়ের জমজমাট এই বাড়িটা। আর নিশ্চল হয়ে থাকে টলমলে জলে টইটম্বুর এই পদ্মদিঘি।
কেউ কোনদিন জানবেনা এই দিঘিতে কি ঘটেছিল সেই পূর্ণিমার রাতে। শুধু দুজন জানে।
তিথি আর তিথির বাবা চৌধুরী পরিবারের ছোট ছেলে রুদ্র চৌধুরী।



শাহানারা পারভীন শিখা 
কবি ও লেখক 

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top