সিডনী বৃহঃস্পতিবার, ২রা মে ২০২৪, ১৯শে বৈশাখ ১৪৩১

নীল আর্মস্ট্রং- রূপালি চাঁদে প্রথম মানুষ : নবনীতা চট্টোপাধ্যায়


প্রকাশিত:
১৬ আগস্ট ২০২১ ২১:৪২

আপডেট:
২ মে ২০২৪ ০৬:৪০

ছবিঃ নীল আর্মস্ট্রং

 

১৯৬১ সালের ৪ই জুন। প্রতিদিনের মত সেদিন ও পার্কে খেলছিল একরাশ শিশুর দল। হঠাৎ করে মাথা ঘুরে পড়ে গেল ছোট্ট একটি ফুটফুটে আড়াই বছরের শিশুকন্যা কারেন। বাবামার কাছে যে আদরের মাফি নামে পরিচিত। পড়ে যাওয়ার সাথে সাথে মাফির নাক দিয়ে রক্তপাত হতে লাগল আর চোখের সামনে অন্ধকার হয়ে গেল। সাথে সাথে নিয়ে যাওয়া হলো কাছের এক হাসপাতালে। ডাক্তাররা চিকিৎসা শুরু করে দিলেন। হাসপাতালের বাইরে দাঁড়িয়ে উদ্বিগ্ন বাবামা। বাবার মন ভারাক্রান্ত বেশি কেননা মাফি তাঁর অত্যন্ত প্রিয় সন্তান। ভারাক্রান্ত সেই পিতাকে ডাক্তাররা জানালেন মাফি দুরারোগ্য ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। তারপর আর মাত্র কয়েকমাসের মধ্যে বাবার আদরের মাফি বাবার ছত্রচ্ছায়া ছেড়ে অকালেই চলে গেল ছায়াপথে না ফেরার দেশে। বিষণ্ণ পিতা বাড়ী ফিরে এলেন মাফিকে শেষ বিদায় জানিয়ে। কন্যার শূন্য কক্ষে প্রবেশ করে নীরবে একটি ড্রয়ারের মধ্যে রেখে দিলেন প্রিয় কন্যার স্মৃতিচিহ্ন, হাতের একটি ব্রেসলেট।
বিষণ্ণ এই পিতার নাম নীল আর্মস্ট্রং, চাঁদের বুকে প্রথম পা রেখে সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টকারী আমেরিকার মহাকাশ অভিযাত্রী। ৫ই অগাস্ট, ১৯৩০খৃ: আমেরিকার ওহিও প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বংশানুক্রুমে স্কটিশ ও জার্মান ছিলেন। শৈশব থেকেই আকাশে ওড়া এনং বিমান চালানোর ব্যাপারে তাঁর অদম্য উৎসাহ ছিল। স্কুলের শিক্ষাকালীন তিনি নিকটস্থ ওয়াপাকোনেটা এয়ারফিল্ডে বিমান চালানোর প্রশিক্ষন নিতে শুরু করেন এবং মাত্র১৬ বছর বয়সে পাইলটের সার্টিফিকেট লাভ করেন। তিনি একজন দক্ষ স্কাউট ও ছিলেন। সাদার্ন ক্যালিফোর্ণিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে আরোনটিকাল এঞ্জিনীয়ারিং এ স্নাতক হয়ে তিনি মার্কিন নৌবাহিনীর বৈমানিক পদে যোগ দেন ও পরবর্তীকালে কোরীয় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৪৯ থেকে ১৯৫২ সাল মার্কিন নৌবাহিনীর বৈমানিক হিসাবে নিযুক্ত থাকার পর১৯৫৫ সালে আর্মস্ট্রং ন্যাশানাল আডভাইসরি কমিটি ফর আরোনটিক্স ( সংক্ষেপে নাকা) যোগদান করেছিলেন। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে তিনি এখানে একজন এঞ্জিনীয়ার, টেস্ট পাইলট, নভচর এবং প্রশাসক হিসাবে কাজ করেছেন। পরবর্তীকালে এই সংস্থা নাসা নামে পরিচিত হয়। নাসার প্রজেক্ট পাইলট হিসাবে তিনি বহু উচ্চগতিসম্পন্ন বিমান, জেট বিমান, রকেট, হেলিকপ্টার, গ্লাইডারের দু:সাহসিক বৈমানিক ছিলেন।
১৯৬১সালে নাসার এক্স ১৫ রকেটে নীল আর্মস্ট্রং মহাকাশ অভিযানে যান। কিন্তু মহাকাশ থেকে ফেরার সময় নাসার কন্ট্রোল রুম থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, সেই নির্দেশনা সত্বেও তিনি রকেটটিকে সঠিকভাবে চালিত করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তার ফলে রকেটটি পৃথিবীর কক্ষপথে একটি সঠিক কোণে পৌছতে পারে না এবং তীব্র গতিতে পৃথিবীর দি কে নামতে থাকে। সবাই অনুমান করেছিল রকেটটি ক্রাশ করবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত রকেটটি আয়ত্তে এনে তিনি পৃথিবীতে একটি মরুভূমিতে নামাতে সমর্থ হয়েছিলে। এই অভিযানের পরেই নীল আর্মস্ট্রং হাসপাতালে চলে যান অসুস্থ মেয়েকে দেখতে। কিন্তু তাঁর সর্বাত্মক চেষ্টা সত্ত্বেও তিনি মেয়েকে বাঁচাতে পারেননি। ১৯৬৬তে নাসার জেমিনি৮ নভযানের চালক হিসাবে নীল আর্মস্ট্রং এবং ডেভিড স্কট সর্বপ্রথম মহাকাশে দুটি পৃথক মহাকাশযানকে সফল ভাবে একত্রীকরণ করে যুক্ত করেন যা ছিল চন্দ্র অভিযানের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
মহাকাশ অভিযানে আমেরিকা ও রাশিয়ার তীব্র প্রতিদ্বন্দিতার মধ্যে ১৯৬১সালের ২৫শে মে সংসদে তদানীন্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ঘোষণা করলেন চাঁদে বিশ্বে সর্বপ্রথম নভশ্চর পাঠানো এবং তার সফল ভাবে পৃথিবীতে ফিরে আসা হবে মার্কিন সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আগামী পদক্ষেপ। নাসা বহুদিন থেকেই চাঁদে নভচর পাঠানোর বিভিন্ন প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছিল। কিছু প্রয়াস আংশিকভাবে সফল হয়, কিছু প্রয়াস ব্যর্থ হয়, কয়েকজন অভিযাত্রী মারাও গিয়েছিলেন। অবশেষে ১৯৬৯খৃ: ১৬ই জুলাই আপ্যালো ১১ চন্দ্রাভিযানের দিন স্থিরীকৃত হলো নীল আর্মস্ট্রং, এডুইন আলড্রিন এবং মাইকেল কলিন্স এই তিন নভচরকে নিয়ে। তার আগে সুদীর্ঘ সময় ধরে এই তিনজনকে কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেদের তৈরী করতে হলো। ১৬ই জুলাই, ১৯৬৯ সকাল ৮.৩২ মিনিটে কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে সারা বিশ্বের উত্তেজনার মাঝে চাঁদে পাড়ি দিতে আপ্যালো ১১ পৃথিবী ছেড়ে চাঁদের অভিমুখে যাত্রা শুরু করলো। ৩৮ বছর বয়স্ক তরুন নীল আর্মস্ট্রং ছিলেন এই মিশনের কমান্ডার। মহাকাশে ২৪০,০০০ মাইল অতিক্রম করার পর জুলাই ১৯শে আপ্যালো ১১ চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করলো| পরের দিন দুপুর ১.৪৬ মিনিটে চাঁদে অবতারণকারী ঈগল মূল মহাকাশযান থেকে আলাদা হয়ে আর্মস্ট্রং আর আলড্রিন কে নিয়ে চন্দ্রাভিমুখে এগিয়ে গেল। নভচর কলিন্স থেকে গেলেন মূল মহাকাশযানে। আরো দু ঘন্টা পরে বিকেল ৪.১৮ মিনিটে ঈগল কে সী অফ ট্রানকুইলিটির (কোনো সমুদ্র নয়. চাঁদের অন্ধকার প্রান্তর) দক্ষিন পশ্চিম প্রান্তে নীল আর্মস্ট্রং অবতরণ করাতে সক্ষম হলেন। তৎক্ষনাৎ নীল আর্মস্ট্রং রেডিও ওয়েভে মেসেজ পাঠালেন। সারা পৃথিবী জুড়ে আলোড়ন পড়ে গেল।
অবতরণের প্রায় পাঁচ ঘন্টা পরে ঈগলের যাবতীয় টেকনিকাল চেক-আপের পর, নীল আর্মস্ট্রং ঈগলের কেবিন ডোর খুলে সংলগ্ন ল্যাডার দিয়ে নে মে চাঁদের মাটিতে পা রাখলেন। ক্যামেরায় তাঁর সব মুভমেন্ট রেকর্ড হয়ে পৃথিবীতে সিগন্যাল গেল। চাঁদের মাটিতে তাঁর প্রথম পায়ের ছাপ পড়ার সাথে সাথে তিনি স্বগতোক্তি করেছিলেন এটি একজন মানুষের ছোট পদচিহ্ন কিন্তু সমগ্র মানব সভ্যতার পক্ষে এক বিরাট পদক্ষেপ। তারপর চাঁদের ধূসর পাউডারের মত মিহি মাটির উপর দিয়ে নীল আর্মস্ট্রং তাঁর সর্তক পা ফেলে সামনে এগিয়ে গেলেন। তাঁর হাত ধরে প্রথম শুরু হল রূপালি চাঁদের বুকে মানব সভ্যতার পদচারণা। এর কিছু পরে আলড্রিন তাঁর সাথে যোগ দিলেন। তাঁরা দুজনে মিলে চাঁদের অনেক ফটোগ্রাফ নিলেন, চাঁদের মাটিতে আমেরিকার পতাকা স্থাপন করলেন, কিছু ভূতাত্বিক ও বৈজ্ঞানিক স্যাম্পেল পরীক্ষা করলেন, চাঁদের পাথর ও মাটি পৃথিবীতে আনার জন্য সংগ্রহ করলেন। এইসময় আমেরিকার তদানীন্তন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন নীল আর্মস্ট্রংয়ের সাথে রেডিও ওয়েভে কথা বলেন ও চন্দ্রাভিযাত্রীদের শুভেচ্ছা জানান। চাঁদের মাটিতে তাঁরা একটি ফলক রেখে আসেন যাতে লেখা ছিল "এইখানে পৃথিবী নামক গ্রহ থেকে মানুষ আজ প্রথম চাঁদের বুকে পদক্ষেপ রেখেছে (জুলাই ১৯৬৯)। সমগ্র মানব জাতির হয়ে শান্তি প্রচারে আমরা এখানে এসেছি।"
রাত্রি ১.১১ মিনিটে নীল আর্মস্ট্রং ও আলড্রিন আবার ঈগলের ভিতরে প্রবেশ করলেন। সেই রাত তাঁরা চাঁদেই ঘুমিয়েছিলেন। মোট ২১ ঘন্টা, ৩৬ মিনিট তাঁরা চাঁদে ছিলেন। পরের দিন বিকেল ৫.৩৫ মিনিটে আর্মস্ট্রং এবং আলড্রিন ঈগলকে সফলতার সাথে মূল মহাকাশযানের সাথে যুক্ত করে (যেখানে মাইকেল কলিন্স ছিলেন) পৃথিবীর অভিমুখে যাত্রা শুরু করলেন।
সমগ্র বিশ্বের ইতিহাসে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও আলোড়নকারী এই অভিযানের কমান্ডার হিসাবে নীল আর্মস্ট্রংকে মুখোমুখি হতে হয়েছিল অনেক কঠিন পরিস্থিতি ও শক্ত চ্যালেঞ্জের। চন্দ্রযান ঈগল যখন মূল মহাকাশযান থেকে আলাদা হয়ে নীল আর্মস্ট্রং এবং আলড্রিনকে নিয়ে চাঁদের কাছাকাছি চলে এসেছিল, সেইসময় নীল আর্মস্ট্রং লক্ষ্য করলেন যে ঈগল কোনো কারণবশত:নির্ধারিত সময়ের থেকে ৪ সেকেন্ড এগিয়ে চলেছে। যার অর্থ হল নির্দিষ্ট জায়গায় ল্যান্ড না করে ঈগল এমন জায়গায় ল্যান্ড করবে যে জায়গা সম্বন্ধে তাঁদের কোন নির্দিষ্ট ধারণা নেই। এইসময় মহাকাশযান থেকে চাঁদের দূরত্ব মাত্র কয়েক কিলোমিটার রয়ে গেছিল। যা একটি বড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। তাঁদের কম্পিউটারে এরর ফুটে ওঠে। এই ক্রিটিকাল মূহুর্তে আর্মস্ট্রং ঈগলের অটো কন্ট্রোল বন্ধ করে নিজের হাতে কন্ট্রোল তুলে নেন এবং সফল, সুরক্ষিত ভাবে চাঁদে ঈগলের ল্যান্ডিং করান। এছাড়াও চাঁদের মাটিতে নামার পর ঈগলের ফুয়েল পাইপের প্রেসার বাড়তে থাকে এবং রুম টেম্পারেচার ক্রমশ:কমতে থাকে। ফুয়েল পাইপে থাকা আদ্রর্তা বরফে পরিণত হয়। যার ফলে পাইপের প্রেসার মহাকাশ- বিজ্ঞাণীদের অনুমানের থেকে বেশি হয়ে যায়। এই প্রেসার এতোটাই বেড়ে যায় যে মহাকাশ যানটি যে কোনো সময় ধ্বংস হতে পারত। মহাকাশ অভিযাত্রীরা চিরদিনের মত হারিয়েই যেতেন। কিন্তু সৌভাগ্যবশত:আচমকাই পাইপের বরফ গলতে শুরু করে এবং পাইপের প্রেসার নেমে যায়। এই সমস্যা থেকে বার হওয়ার পর ঈগলের একটি অংশে গন্ডগোল দেখা যায়। বিমানের একটি সুইচ ভেঙ্গে নীচে পড়ে যায়। সেই অংশে সম্পূর্ণ পাওয়ার কাট হয়ে ঈগলের সার্বিক ব্রেক ডাউন হয়ে যায়। দীর্ঘ ছয় ঘন্টা ধরে অনলস চেষ্টা চালিয়ে আর্মস্ট্রং ও আলড্রিন সব কিছু আয়ত্তে আনেন। পুরো অভিযানের প্রতিটি সময়েই লুকিয়ে ছিল অনেক বিপদ যা যে কোনো সময়ে অভিযাত্রীদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারত। কিন্তু নীল আর্মস্ট্রং ঠান্ডা মাথায় প্রতিটি সমস্যা সামলেছেন এবং ভাগ্যের সহায়তায় ২৪শে জুলাই প্রশান্ত মহাসাগরে সফলভাবে পৃথিবীতে ল্যান্ড করেছেন। পৃথিবীতে আসার পর তাঁদের তিন সপ্তাহ কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছিল কেননা বিজ্ঞানীদের আশংকা ছিল যদি তাঁরা চাঁদের কোনো অজানা ভাইরাস বহন করে আনেন তাহলে সারা মানব জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে।
চাঁদে ইতিহাস সৃষ্টিকারী দু:সাহসিক অভিযানের পর সারা বিশ্ব জুড়ে অভিনন্দন এবং নানা রকম সম্মান প্রাপ্ত নীল আর্মস্ট্রং জনপ্রিয়তার শিখরে চলে যান। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত শান্ত, স্থিতধী নীল আর্মস্ট্রং এইসব থেকে দূরে থাকতেই স্বস্তি বোধ করতেন। ১৯৭১ সালে নাসা ছেড়ে তিনি ওহাইয়ো তে আরোস্পেস এঞ্জিনীয়ারিং এ অধ্যাপক হিসাবে তাঁর বাকী কর্মজীবন অতিবাহিত করেন। বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠতম নভচর হয়েও তিনি প্রচারের থেকে অনেক দূরে থাকতে পছন্দ করতেন। মিডিয়া থেকে অনেক দূরে নিজেকে সরিয়ে রাখতেন। মিডিয়াকে দেওয়া তাঁর একটি বিরল ইন্টারভিউ আছে একঘন্টারট। সেই ইন্টারভিউতে তিনি ইন্টারভিউয়ার ইড ব্রাডলিকে জানিয়েছিলেন দিনের বেলায় সূর্যালোকে চাঁদ অসাধারণ হয়ে ওঠে। দিগন্তরেখারা মনে হয় কাছে চলে এসেছে। আজো সেই অভিজ্ঞতা ভোলা যায় না। সেই বৎসরেই লেখক জেমস আর হান্সেন নীল আর্মস্ট্রং এর একটি বায়োগ্রাফি লেখেন "ফার্স্ট ম্যান, দ্য লাইফ অফ নীল আর্মস্ট্রং। তাঁর জীবনীর উপর "ফার্স্ট ম্যান" নামে একটি চলচিত্র নির্মান হয়। অতি জনপ্রিয় সেই চলচিত্রের একটি দৃশ্যে চাঁদের মাটিতে নীল আর্মস্ট্রং সাশ্রুনয়নে রাখছেন সাত বৎসর আগে চলে যাওয়া তাঁর প্রিয় কন্যা মাফির ব্যবহৃত ব্রেসলেট। যদিও আপ্যালো ১১ র তিনজন নভচরকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ছোটখাটো ব্যক্তিগত স্মারক চাঁদে নিয়ে যাওয়ার কিন্তু সিনেমার এই দৃশ্যটি নীল আর্মস্ট্রংয়ের ক্ষেত্রে বাস্তবিক ছিল কিনা তা এখনো রহস্যই রয়ে গেছে। যাকে জিজ্ঞাসা করলে এর উত্তর পাওয়া যেত সেই মিতভাষী দু:সাহসিক ইতিহাস সৃষ্টিকারী অভিযাত্রী আগাগোড়া নীরব থেকেছেন এই ব্যাপারে।
২৫শে অগাস্ট, ২০১২ বাইপাস সার্জারির পরবর্তী কালীন জটিলতায় আমেরিকার ওহাইয়োতে ৮২বৎসর বয়সে পৃথিবীর সীমানা ছাড়িয়ে নীল আর্মস্ট্রং চলে গেলেন এমন এক নক্ষত্রের দেশে যেখান থেকে আর কখনো ফেরা যায় না।

 

নবনীতা চট্টোপাধ্যায়
পশ্চিম বঙ্গ, ভারত

 

এই লেখকের অন্যান্য লেখা



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


Developed with by
Top